ফুলবাড়ী উপজেলা, দিনাজপুর

দিনাজপুর জেলার একটি উপজেলা

ফুলবাড়ী বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। দিনাজপুর সদর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে ফুলবাড়ী উপজেলা অবস্থিত। সংসদীয় আসন দিনাজপুর-৫ এর অধীনে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর উত্তরে পার্বতীপুর উপজেলা, পূর্বে নবাবগঞ্জ উপজেলাবিরামপুর উপজেলা, দক্ষিণে বিরামপুর উপজেলা এবং ভারত সীমান্ত এবং পশ্চিমে চিরিরবন্দর উপজেলা অবস্থিত।

ফুলবাড়ী
উপজেলা
মানচিত্রে ফুলবাড়ী উপজেলা, দিনাজপুর
মানচিত্রে ফুলবাড়ী উপজেলা, দিনাজপুর
স্থানাঙ্ক: ২৫°২৯′৪২.১৪″ উত্তর ৮৮°৫৭′১.০৪″ পূর্ব / ২৫.৪৯৫০৩৮৯° উত্তর ৮৮.৯৫০২৮৮৯° পূর্ব / 25.4950389; 88.9502889 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
জেলাদিনাজপুর জেলা
আয়তন
 • মোট২২৯.৫৫ বর্গকিমি (৮৮.৬৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১,৭৬,০২৩[]
সাক্ষরতার হার
 • মোট৫২.৬০%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৫২৬০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ২৭ ৩৮
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

অবস্থান ও আয়তন

সম্পাদনা

দিনাজপুর জেলার একটি উপজেলা হল ফুলবাড়ী। এ উপজেলার পার্বতীপুর উপজেলাচিরিরবন্দর উপজেলা, দক্ষিণে বিরামপুর উপজেলা, পূর্বে নবাবগঞ্জ উপজেলাবিরামপুর উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ

নামকরণ

সম্পাদনা

দিনাজপুর জেলার অন্যতম জনপ্রিয় এই উপজেলাটি ছোট যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। এককালে ফুলবাড়ী ছিলো একটি দুর্গনগরী, একে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিলো নগর ও জনবসতি। সেইপ্রাচীনকালের নগরীর রেশ ও ক্রমধারায় নতুন আধুনিক শহর ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু দুর্গটির কোনো চিহ্ন আজ আর খুঁজে পাওয়া যায় না। বর্তমানে শহরের হাট বাজার ও ব্যবসাকেন্দ্র প্রাচীন দুর্গের অভ্যন্তরেই গড়ে উঠেছে। জনশ্রুতি রয়েছে যে, প্রাচীন আমলে এই অঞ্চলে প্রচুর ফুলের বাগান ছিল। ফুলের বাগানের আধিক্যের কারণে এই জায়গাটির নাম ফুলবাড়ী হয়েছে।

ইতিহাস

সম্পাদনা

সাম্প্রতিক ইতিহাস

সম্পাদনা

ফুলবাড়ি চুক্তি

সম্পাদনা

২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট ফুলবাড়ি কয়লাখনি থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের জন্য এশিয়া এনার্জি কোম্পানির বিরুদ্ধে স্থানীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিডিআর গুলি চালালে তিনজন নিহত হন ও প্রায় দুই শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হন। পরবর্তীতে আন্দোলন পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর, বিরামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার ফুলবাড়ী চুক্তি করতে বাধ্য হয়। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ বিভিন্ন বামপন্থী রাজনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতি বছর ২৬ আগস্ট "ফুলবাড়ী দিবস" হিসেবে পালন করে।[]

ফুলবাড়ী কৃষক সম্মেলনঃ- ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ ১৯৪৪ সনে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ীতে অনুষ্ঠিত হয় প্রাদেশিক কিষাণ সভার সপ্তম সম্মেলন। সম্মেলনে রক্তবর্ণ পতাকা উত্তোলন করেন ভারতের কম্যুনিস্ট আন্দোলনের পুরোধা কমরেড মুজাফফর আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবদুল্লাহ রসুল, গোপাল হালদার, মনি সিংহ, মনসুর হাবিব, বগলা গুহ, শ্যামাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, বঙ্কিম মুখার্জী, ননী ভৌমিক, আবদুর রাজ্জাক খান, কৃষ্ণবিনোদ রায়, রণধীর দাশগুপ্ত, শচীন্দ্র ঘোষ, সুধীর মুখার্জী প্রমুখ। এছাড়া বিভূতি গুহ, সুশীল সেন, হাজী দানেশ, কালী সরকারসহ জেলার সকল নেতা উপস্থিত ছিলেন।

তেভাগা আন্দোলনকেন্দ্রিক উপন্যাস কোনটি? রংপুরের দীনেশ লাহিড়ী, ইলা মিত্র,বদরগঞ্জের মনিকৃষ্ণ সেনসহ গনেশ দে, অম্বিকা চক্রবর্তী, কমরেড ইসমাইল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এই সম্মেলনে। এছাড়া আসাম প্রাদেশিক কিষাণ সভা, কম্যুনিস্ট পার্টি, শ্রমিক সংগঠন, ছাত্র ফেডারেশন, মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি ও সোভিয়েত সুহৃদ সমিতির পক্ষ থেকে অনেক মিত্র প্রতিনিধিও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

প্রাদেশিক কৃষক কমিটির ৬৫ জন মেম্বরসহ চব্বিশটি জেলা থেকে মোট ৪০০-এর অধিক প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগদান করেন। দিনাজপুরের বিভিন্ন থানা এবং রংপুরের নিকটবর্তী এলাকাসমূহ থেকে কর্মীরা মিছিল সহযোগে ফুলবাড়ীতে এসে পৌঁছান। এই মিছিলগুলির মধ্যে বিশেষতঃ পেলিয়া রমনীদের মিছিলগুলি বিশেষ উল্লেখের দাবী রাখে। ইটাহার, কশমুন্ডী, বালিয়াডাঙ্গি, রাণীসংকল, গঙ্গারামপুর, তপন প্রভৃতি এলাকা থেকে রওনা হয়ে পঁচিশ, ত্রিশ, পয়ত্রিশ বা চল্লিশ মাইল পথ পায়ে হেঁটে এঁরা সম্মেলন স্থলে এসে পৌঁছান। পিঠের সঙ্গে বাঁধা কাপড়ে কোলের ছোট্ট বাচ্চাকে ঝুলিয়ে নিয়ে, পথের খাবার হিসাবে মুড়ি-মুড়কী বা চিড়া-গুড় সম্বল করে, এক বা একাধিক দিন মিছিল করে এসে এরা সম্মেলনে যোগদান করেন। এই উপলক্ষে যে কৃষক সমাবেশ হয় তাতে দু'হাজার নারীসহ প্রায় ত্রিশ হাজার লোকের সমাগম ঘটে। ৪৫০ জন কৃষকের একটি দল প্রায় ৮০ মাইল হেঁটে এসে সম্মেলনে যোগদান করেন। তখন জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি ছিলেন ফুলবাড়ীর ডাঃ গণেন্দ্রনাথ সরকার। তার বাসা ছিল যোগাযোগের প্রধান কেন্দ্র। প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা আলাদা ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ফুলবাড়ীর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকেরা এগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং দক্ষ বিধায় গুরুদাস তালুকদারের ওপর ছিল রান্নার সামগ্রিক দায়িত্ব। সম্মেলনে উপস্থিতির সংখ্যা ও আয়োজনের ব্যাপকতা এমন এক পরিবেশের সৃষ্টি করেছিল যে স্থানীয় মাড়োয়ারী, বড় ব্যবসায়ী বা জোতদারের ছেলেরাও লাল টুপী মাথায় দিয়ে লাঠি খেলায় অংশগ্রহণ করে। ফুলবাড়ী ও আশপাশের থানাগুলোর মানুষ এর আগে কখনো কোনো ব্যারিস্টারকে সামনাসামনি যোগদান করতে কলকাতা থেকেএসেছিলেন ৭/৮ জন ব্যারিস্টার। এইব্যারিস্টারদের দেখার জন্য দূর দূরাঞ্চল থেকে বহু মানুষ সমাগত হয়েছিলেন সম্মেলন স্থলে।সম্মেলন শেষে আয়োজন করা হয়েছিলগণসঙ্গীত ও গণনাট্য অভিনয়ের ময়মনসিংহ-এর নিবারণ পন্ডিত এক হাজার দুর্ভিক্ষের ওপর নিজের লেখা নিম্নলিখিত গানটি গেয়ে

শোনায়—

গণসঙ্গীতের আসরে

ঘোর কলিকাল আইলো আকাল সোনারই বাঙলায় শ্মশান ঘাটে ডাকে শকুনী হা অন্ন হা অন্ন ধ্বনী চারদিকে শুনি। আপন মা'য়ে নিজ সন্তান বিক্রি করে খায় ঘোর কলিকাল আইলো আকাল সোনারই বাঙলায়।

সম্মেলনে সেদিন বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান উঠেছিল। তবে সর্বাধিক গুরুত্ব পায় 'আধি নয়, তেভাগা চাই' শ্লোগানটি। অপরাপর শ্লোগানের মধ্যে ছিল 'লাঙল যার জমি তার’, ‘বিনা খেসারতে জমিদারী প্রথার উচ্ছেদ চাই’, ‘আবওয়ার বন্ধ কর', ‘তোলাবাটি চলবে না', ইত্যাদি। কিন্তু এই সম্মেলন কোন কর্মসূচী দিতে ব্যর্থ হয়, ব্যর্থ হয় পাঁজিয়া সম্মেলনে গৃহীত তেভাগার দাবী পুনরুচ্চারণ করতে। সম্মেলন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, সরকারকে ৫ কোটি মণ চাল কিনতে হবে এবং সমস্ত শহরে রেশনিং চালু করতে হবে, কুইনিনের চোরাকারবার বন্ধ করতে হবে (তখন দুর্ভিক্ষ পরবর্তীকালে মহামারী অবস্থা চলছিল) এবং ৫ লক্ষ পাউন্ড কুইনিন বণ্টন করতে হবে। দুঃস্থদের জন্য কর্মক্ষেত্র স্থাপন করতে হবে, নিত্যপ্রয়োজনী জিনিসপত্রের রেশনিং ব্যবস্থা করে ফুড কমিটি মারফত বণ্টন করতে হবে, দুর্ভিক্ষের বছরে কৃষকদের যেসব জমি হস্তান্তরিত হয়েছিল তা ফেরত দেওয়াতে হবে। তাছাড়া পূর্ববঙ্গে যে কচুরিপানার উপদ্রব বিস্তর জমির ফসল নষ্ট হচ্ছিল অথচ বাঁশ ও নৌকার অভাবে তা রক্ষা করা যাচ্ছিল না, সেই উপদ্রব থেকে ফসল রক্ষায় আবেদন জানান হয়। (৯) আন্দোলনের কর্মসূচী গ্রহণে ফুলবাড়ী সম্মেলন সাফল্যের ছাপ রাখতে না পারলেও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক ব্যাপারে এই সম্মেলন উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কৃষক বাহিনী গঠন সম্পর্কে এই সভাতেই নীতি নির্ধারিত হয়। ঠিক করা হয় যে কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স্ক ও সপ্তাহে অন্ততঃ একদিন কাজ করতে ইচ্ছুক যে কোন সদস্য বাহিনীতে যোগদান করতে পারবে। প্রত্যেক গ্রামে অন্ততঃ দশজন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে একটি স্কোয়াড গঠিত হবে। প্রত্যেক ইউনিয়নে অন্ততঃ ত্রিশ, মহকুমায় কমপক্ষে ২১০ এবং জেলায় ৫০০ জনকে নিয়ে বাহিনী গঠিত হবে। প্রাদেশিক অফিস থেকে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবককে কাস্তে-হাতুড়ি চিহ্নিত ও কৃষক বাহিনী লিখিত ব্যাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রত্যেক পরিবার থেকে অন্ততঃ একজন কৃষককে কৃষক বাহিনীতে যোগ দেবার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

কৃষক আন্দোলনের অপরিহার্য অংশ হিসাবে কৃষকদের মধ্য থেকে শিল্পী সংগ্রহ করে কৃষি বাহিনী গঠন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঠিক হয় যে গ্রামে প্রচলিত নাচ, গান পরিবর্ধিত ও সংশোধিত করে বা নতুনভাবে রচনা করে কৃষক সভার চিন্তার প্রতিফলন তার মাধ্যমে ঘটাতে হবে। এই সম্মেলনে কৃষক সভার সভ্যদের জন্য একটি ফরমের নমুনা গৃহীত হয়। ইউনিয়ন সমিতির নাম, থানা ও মহকুমা সমেত পূর্ণ ঠিকানার সঙ্গে ফরমে সভ্যের নাম, ইউনিয়নের ক্রমিক নম্বর, রসিদ নম্বর, গ্রামের নাম, স্ত্রী/পুরুষ, হিন্দু/মুসলিম, জমিহীন ভাগ-চাষী, জমিহীন কৃষি মজুর, গরীব চাষী, মধ্যম চাষী, ধনী চাষী, অকৃষক (হস্তশিল্পী/অন্যান্য শ্রেণী) বয়স, নতুন না পুরাতন সদস্য, তারিখ প্রভৃতি লেখার জন্য আলাদা আলাদা ঘর রাখা হয়েছিল। প্রাদেশিক অফিসের জন্য এই ফরমে সভ্য তালিকা পাঠাবার নিয়ম চালু করা হয় এবং তা কয়েক বছর চালু ছিল। (১০)

ফুলবাড়ী সম্মেলন থেকে কোন আন্দোলনের ডাক না দেয়া হলেও এই উপলক্ষে দিনাজপুরে সংগঠিত কৃষকের যে ব্যাপক সমাগম হয় তা জেলার কৃষক কর্মীদের মনে গভীরভাবে রেখাপাত করে। ২৪টি জেলার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ তাদের মনোবলকে বৃদ্ধি করে অনেক গুণ বেশি। তারা সংগঠনের কাজে আরো বেশি মনোযোগী এবং সংগঠনের প্রতি আরো বেশি আস্থাশীল হয়ে ওঠেন। সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহকে সাধারণ দাবীগুলির পাশাপাশি শ্লোগান আকারে সামনে নিয়ে এসে সেগুলোকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য জেলা কৃষক সমিতি ব্যাপক প্রচার অভিযান শুরু করে।

  • মোট আয়তনঃ ২২৯.৫৫ বর্গ কিঃ মিঃ
  • মোট ইউনিয়নের সংখ্যাঃ ৭ টি
  • পৌরসভার সংখ্যাঃ ১ টি
  • মোট মৌজা/মহল্লার সংখ্যাঃ ১৭১ টি
  • মোট গ্রামের সংখ্যাঃ ১৭১ টি

জনসংখ্যা

সম্পাদনা

২০১১ খ্রিঃ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী

  •     মোট পুরুষঃ  ৮৮৯৮৪ জন
  •     মোট মহিলাঃ ৮৭০৩৯ জন
  •     মোট জন সংখ্যাঃ ১৭৬০২৩ জন
  •     মোট পরিবারের সংখ্যাঃ   ৪৩১৩৭ টি

কৃষি ও ভূমির ব্যবহার

সম্পাদনা
  •    বন ভূমিঃ    ৯৯ হেক্টর
  •    জলা ভূমিঃ    ৩০০ হেক্টর

যোগাযোগ ও যানবাহন

সম্পাদনা
  •     পাকা রাস্তাঃ      ১৫৫ কিঃ মিঃ
  •     আধাপাকা রাস্তাঃ   ১৮ কিঃ মিঃ
  •     কাঁচা রাস্তাঃ  ৩৪৫ কিঃ মিঃ
  •     রেল পথঃ  ১২ কিঃ মিঃ
  •     রেলস্টেশনঃ       ১ টি
  •     বাস স্টপেজঃ       ৪ টি
  •     বাস ও মিনি বাসের সংখ্যাঃ   ২৫ টি
  •     ডাক ঘরের সংখ্যাঃ    ৭ টি
  •     টি,এন্ড টি অফিসঃ  ১ টি

প্রশাসনিক এলাকা

সম্পাদনা

ফুলবাড়ী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন হলো—

স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন

সম্পাদনা
  •    হাসপাতালের সংখ্যাঃ    ১ টি।
  •    স্বাস্থ্য ও ক্লিনিকের সংখ্যাঃ   ৭ টি।
  •    ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংখ্যাঃ   ২টি
  •    কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যাঃ  ২১ টি
  •    ডায়াগনস্টিক সেন্টার সংখ্যাঃ   ৪ টি
  •    দাতব্য চিকিৎসালয়     সংখ্যাঃ      ×
  •    মোট টিউবওয়েলের সংখ্যাঃ  ১৭৫০ (তারা- ৬৫৬টি ও অগভীর টিউবওয়েল- ১০৯৪টি)
  •    সরবরাহকৃত স্যানিটেশন ল্যাট্রিনের সংখ্যাঃ  ২৮২৭৩ সেট
  •     স্যানিটেশনের হারঃ  ৯০.০১%

শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

সম্পাদনা
  •    শিক্ষার হার :    ৫২.৬০%
  •    কলেজের সংখ্যাঃ   সরকারী- ২ টি, বে-সরকারী- ৪ টি, বিএম কলেজ- ২টি।
  •    স্কুল এন্ড কলেজঃ     ০২ টি
  •    মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ     ৩২ টি
  •    নিম্ন- মধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ   ৬ টি
  •    সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ   ৪৭ টি
  •    বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ   ৬২ টি
  •    কমিউনিটি স্কুল সংখ্যাঃ      ×
  •    মোট মাদ্রাসার সংখ্যাঃ ১৫ টি
  •    কামিল মাদ্রাসার সংখ্যাঃ  ×
  •    ফাজিল মাদ্রাসার সংখ্যাঃ  ৪ টি
  •    আলিম মাদ্রাসার সংখ্যাঃ   ১ টি
  •    দাখিল মাদ্রাসার সংখ্যাঃ   ১০ টি
  •    এবতেদায়ী মাদ্রাসার সংখ্যাঃ   ৮ টি
  •    মসজিদের সংখ্যাঃ   ৩১৮ টি
  •    মন্দিরের সংখ্যাঃ  ৫৪ টি
  •    গীর্জার সংখ্যাঃ  ১৫ টি
  •    ঈদগাহ্র সংখ্যাঃ  ৪১ টি
  •    হাট-বাজারের সংখ্যাঃ  ১২ টি

উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

সম্পাদনা

মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা

সম্পাদনা

১৭ এপ্রিল দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার গণহত্যা দিবস।১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল দেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি খানসেনা ও তাদের এ দেশীয় রাজাকার, আলবদর ও আল-শামসদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে মুক্তিকামী মানুষ যখন বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল ঠিক এমনই এক সময় আজকের এই দিনে ফুলবাড়ি উপজেলার পার্শ্ববর্তী আফতাবগঞ্জ, বিরামপুর, শেরপুর, খোলাহাটি, বদরগঞ্জ ও ভবানীপুর এলাকার অর্ধশত হিন্দু পরিবারের দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ, শিশু ও কিশোর-কিশোরীকে ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে নিরাপদে ভারতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ফুলবাড়িতে নিয়ে আসে পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর উপজেলার (বর্তমান ফুলবাড়ি) রামচদ্রপুর গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার কেনান সরকার। কিন্তু কেনান সরকার ঐ পরিবারগুলোকে ভারতে পৌঁছে না দিয়ে তুলে দেয় ফুলবাড়িতে অবস্থানরত খানসেনাদের হাতে। এর পরিবর্তে কেনান সরকার হাতিয়ে নেয় ঐ পরিবারগুলোর সাথে থাকা বিপূল অংকের নগদ অর্থসহ স্বর্ণালংকার। খানসেনারা আটক পরিবারের নারী-পুরুষ, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ধরে নিয়ে আসে আঁখিরা পুকুর পাড়ে। সকাল ১১টায় সকলকে পুকুর পাড়ে লাইন ধরে দাড়িয়ে রেখে স্টেনগানের ব্রাশ ফায়ারে গুলি করে পাখির মতো হত্যা করে। এ সময় দু’একজন শিশু-কিশোর প্রাণে বেঁচে গেলেও পরে তাদেরকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। স্বাধীনের পর ঐ এলাকায় বীর ঐসব শহীদদের হাঁড়, মাথার খুলি ছিড়িয়ে ছটিয়ে দেখতে পায় এলাকাবাসী। দেশ স্বাধীনের পর রাজাকার কেনান সরকারকে মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করে প্রতিশোধ নেন। দেশ স্বাধীনের পর থেকে আঁখিরা বধ্যভূমিটি সংরণসহ সেখানে বীর ঐসব শহীদদের স্মৃতি উদ্দেশ্যে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

অর্থনীতি

সম্পাদনা

কৃষি ক্ষেত্র: এখানে অধিকাংশ মানুষই কোন না কোন ভাবে কৃষির সাথে যুক্ত।এখানে প্রধান ফসল ধান হলেও তার পাশাপাশি গম,ভুট্টা,আলু ও বিভিন্ন শাক-সবজির চাষ হয়।

নদীসমূহ

সম্পাদনা
 
পার্বতীপুর উপজেলার নিকটে রেলসেতু থেকে তোলা খড়খড়িয়া নদীর দৃশ্য।

ফুলবাড়ীতে দুটি নদী রয়েছে। নদী দুটি হচ্ছে খড়খড়িয়া নদী এবং ছোট যমুনা নদী[]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

সম্পাদনা

দর্শনীয় স্থান

সম্পাদনা

প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্যে মণ্ডিত এ উপজেলায় তেমন কোন উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান নেই।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "এক নজরে ফুলবাড়ী"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৮ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬ 
  2. "ফুলবাড়ী দিবস আজ"। দৈনিক প্রথম আলো। ২৬ আগস্ট ২০১৯। পৃষ্ঠা ৫। 
  3. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৫।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা