চিরিরবন্দর উপজেলা
চিরিরবন্দর উপজেলা বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র।
চিরিরবন্দর | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() মানচিত্রে চিরিরবন্দর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৩৯′৪৭″ উত্তর ৮৮°৪৬′৪৫″ পূর্ব / ২৫.৬৬৩০৬° উত্তর ৮৮.৭৭৯১৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | দিনাজপুর জেলা |
সংসদীয় আসন | দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর- খানসামা) |
সরকার | |
• এমপি | আবুল হাসান মাহমুদ আলী (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ৩১২.৮৫ বর্গকিমি (১২০.৭৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৯২,৫০০ |
• জনঘনত্ব | ৯৩০/বর্গকিমি (২,৪০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | % |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫২৪০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ২৭ ৩০ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাজেলা সদর হতে ১৬ কি.মি পূর্বে এর অবস্থান। এ উপজেলার উত্তরে খানসামা উপজেলা ও নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা, দক্ষিণে ফুলবাড়ী উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে পার্বতীপুর উপজেলা, পশ্চিমে দিনাজপুর সদর উপজেলা।
ইতিহাস
সম্পাদনাব্রিটিশ আমলে চিরির নদীর তীরে সওদাগররা বড় বড় নৌকায় করে পণ্য আনা নেয়া করত। ব্যবসার কারণে এ নদীর তীরে একটি বন্দর গড়ে ওঠে। চিরির নদীর নামানুসারে এ বন্দরটির নাম হয় চিরিরবন্দর। ১৯১৪ সালে চিরিরবন্দর থানা গঠিত হয়। এরপর ১৯৮৩ সালে চিরিরবন্দর উপজেলায় পরিণত হয়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনা২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ২,৯২,৫০০ জন; এর মধ্যে পুরুষ - ১,৪৬,৬১৯ জন এবং মহিলা - ১,৪৫,৮৮১ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব ৮৫৯।
শিক্ষা
সম্পাদনাপ্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে:
- স্কুল
- মেহের হোসেন রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল
- সিটি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ
- আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল
- আমেনা বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল
- চিরিরবন্দর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
- চিরিরবন্দর গার্লস স্কুল
- আলোকডিহি জে.বি উচ্চ বিদ্যালয়
- দক্ষিণ পলাশ বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়
- সুখিপীর প্রাথমিক বিদ্যালয়
- সুখিপীর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
- বিন্নাকুড়ী উচ্চ বিদ্যালয়
- সানলাইট স্কুল
- হাশিমপুর মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়
- বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান
- জগন্নাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়
- রাজাপুর এস.সি দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়
- ডেফোডিল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল
- কলেজ
অর্থনীতি
সম্পাদনা- কৃষি
চিরিরবন্দর উপজেলার অধিকাংশ মানুষই কোন না কোনভাবে কৃষি কাজের সাথে জড়িত। ধান, গম, ভুট্টা, কলা ও আলু প্রধান অর্থকরী ফসল। এছাড়া পেঁয়াজ, রসুন, লিচুও অন্যতম। নদীতে প্রাপ্ত মাছ ছাড়াও এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করা হয়।
- শিল্প
উপজেলার ৩নং ফতেজংপুর ইউনিয়ন পরিষদে নির্মাণাধীন রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা "ট্রিলিয়ন গোল্ড লিমিটেড" বেকার সমস্যা সমাধানের সাথে সাথে এলাকার উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে।
নদীসমূহ
সম্পাদনাচিরিরবন্দরে তিনটি নদী রয়েছে। নদী তিনটি হচ্ছে আত্রাই নদী, ছোট যমুনা নদী এবং কাঁকড়া নদী[২]
বিবিধ
সম্পাদনাপ্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাচিরিরবন্দর উপজেলায় ইউনিয়ন রয়েছে ১২ টি।
- ১ নং নশরতপুর ইউনিয়ন
- ২ নং সাতনালা ইউনিয়ন
- ৩ নং ফতেজংপুর ইউনিয়ন
- ৪ নং ইসবপুর ইউনিয়ন
- ৫ নং আব্দুলপুর ইউনিয়ন
- ৬ নং অমরপুর ইউনিয়ন
- ৭ নং আউলিয়াপুকুর ইউনিয়ন
- ৮ নং সাইতারা ইউনিয়ন
- ৯ নং ভিয়াইল ইউনিয়ন
- ১০ নং পুনট্টি ইউনিয়ন
- ১১ নং তেতুলিয়া ইউনিয়ন
- ১২ নং আলোকডিহি ইউনিয়ন
গ্যালারি
সম্পাদনা-
চিরিরবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের কার্যালয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে চিরিরবন্দর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫।
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৪।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |