কাঁকড়া নদী
কাঁকড়া নদী বা আত্রাই নদী (দিনাজপুর) বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিনাজপুর জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৯৬ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক কাঁকড়া নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ০৩।[১][২][৩]
আত্রাই নদী (কাঁকড়া নদী) | |
চিরিরবন্দর উপজেলার কাছে রেলসেতু থেকে কাঁকড়া নদীর দৃশ্য।
| |
দেশ | বাংলাদেশ |
---|---|
অঞ্চল | রংপুর বিভাগ |
জেলা | দিনাজপুর জেলা |
উৎস | আত্রাই নদী |
মোহনা | আত্রাই নদী |
দৈর্ঘ্য | ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) |
নামকরণ
সম্পাদনাএ নদীর নামকরণ নিয়ে দুটি মতবাদ আছে। কেউ কেউ মনে করেন জলজ প্রাণী কাঁকড়ার নামে নদীটির নামকরণ হয়েছে। আবার মনে করা হয় একসময় নদীটি জলের সাথে কাঁকর বয়ে আনত। এই শব্দটিই কালক্রমে কাঁকর+ইয়া>কাঁকরিয়া এবং এর অপভ্রংশ থেকেই পরবর্তীকালে এ নদীর নাম কাঁকড়া হয়েছে।[৩]
প্রবাহ পথ
সম্পাদনাকাঁকড়া নদী বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার আত্রাই নদী থেকে বের হয়ে একই উপজেলায় পুনরায় আত্রাই নদীতে মিলিত হয়েছে।[২][৩]
অন্যান্য তথ্য
সম্পাদনাকাঁকড়া নদীর দৈর্ঘ্য ২৫ কিলোমিটার, প্রস্থ ২০০ মিটার এবং গভীরতা ৩.৫ মিটার। নদী অববাহিকার আয়তন ১০০ বর্গকিমি। নদীতে সারা বছর জলের প্রবাহ থাকে। এই প্রবাহের কারণ আত্রাই নদীর পানিপ্রবাহ। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে পানিপ্রবাহ বেশি থাকে। তখন প্রবাহের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫০০ ঘন মিটার/সেকেন্ড। এই নদীতীরে গড়ে উঠেছে কারেন্টের হাট। নদীটির উপরে কারেন্টের হাট সড়ক সেতু ও চিরিরবন্দর রেলসেতু আছে। এছাড়াও নদী অববাহিকায় একটি রাবারড্যাম প্রকল্প ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের আত্রাই-কাঁকড়া উপপ্রকল্প রয়েছে।[২][৩]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৮৯-৯০। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ ক খ গ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১৫৫।
- ↑ ক খ গ ঘ বাংলাদেশের নদীঃ মোকাররম হোসেন; পৃষ্ঠা ১২৫; কথাপ্রকাশ; দ্বিতীয় সংস্করণ: আগস্ট ২০১৪