ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন
ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের একটি বিলুপ্ত রেলওয়ে স্টেশন যা ঢাকায় অবস্থিত ছিল। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন চালু হওয়ার পূর্বে এটিই ছিলো বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন। ১৯৬৮ সালের ১লা মে থেকে কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন চলাচল শুরু হলে এই স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।[১][২]
ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন | |
---|---|
বাংলাদেশের বিলুপ্ত রেলওয়ে স্টেশন | |
![]() | |
অন্যান্য নাম | ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন |
অবস্থান | ঢাকা ঢাকা বিভাগ ![]() |
মালিকানাধীন | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
লাইন | ৩টি |
প্ল্যাটফর্ম | ১টি |
রেলপথ | ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) |
অন্য তথ্য | |
অবস্থা | বিলুপ্ত |
ইতিহাস | |
চালু | ১৮৯৫ |
বন্ধ হয় | ১ মে ১৯৬৮ |
ইতিহাসসম্পাদনা
১৮৯৫ সালে তৎকালীন ঢাকার প্রধান শহর (বর্তমানে যা পুরান ঢাকা)-এর দক্ষিণ দিকে ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন স্থাপন করা হয়। একই বছরে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ রেল সংযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর ঢাকা হয়ে উঠে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান শহর ও রাজধানী। তখন ফুলবাড়িয়া অঞ্চল ঘনবসতিতে পরিনত হয় যা ট্রেন চলাচলে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে এই স্টেশন সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করা হয়। পরে ১৯৫০-এর শেষ দিকে ঢাকার কমলাপুর, শাহজাহানপুর এলাকায় বৃহৎ পরিসরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ ও রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয় এবং ১৯৬৮ সালে তা শেষ হয়।
পূর্বে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে রেলপথ সোজা গিয়ে ফুলবাড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত যেতো। কমলাপুর স্টেশন চালু করার কারনে তেজগাঁও থেকে রেলপথ স্থানান্তর করা হয়। তেজগাঁও থেকে লাইন বাম দিকে নিয়ে কমলাপুর নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে পূর্বের ফুলবাড়িয়া-তেজগাঁও লাইন পরিত্যক্ত হয়ে যায়। পরে লাইনটি তুলে ফেলে সড়কপথ বানানো হয়। অন্যদিকে ফুলবাড়িয়া স্টেশনেরও সমস্ত স্থাপনা তুলে ফেলা হয়। বর্তমানে এখানে বিআরটিসির বাস কাউন্টার, বিপণিবিতান, উড়ালসড়ক ইত্যাদি স্থাপনা রয়েছে।
অবকাঠামোসম্পাদনা
ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে একটি স্টেশনঘর ও তার সামনে তিনটি লাইন ছিলো। স্টেশনটি মিটার-গেজ রেলপথের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। স্টেশনের নাম ফুলবাড়িয়া হলেও প্ল্যাটফর্মের দুই মাথায় নামফলকে "ঢাকা" খোদাই করা ছিলো, কারণ স্টেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে "ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন" হিসেবে পরিচালিত হতো। একই নিয়ম পরবর্তীতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রয়োগ করা হয়।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশনের কোনো চিহ্নই আর নেই"। দৈনিক কালের কন্ঠ। ২০১৭-০৫-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০২।
- ↑ "ফুলবাড়িয়া স্টেশন নেই, আছে শুধুই স্মৃতি"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০১৬-০৯-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০২।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
উইকিমিডিয়া কমন্সে ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন