পাকিস্তান পূর্ব রেলওয়ে
পাকিস্তান পূর্ব রেলওয়ে (উর্দু: پاکستان مشرقی ریلویز) পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) একটি রেল সংস্থা যা পাকিস্তান রেলওয়ের দুটি বিভাগের মধ্যে অন্যতম। এটি ১৯৬১ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত চালু ছিলো। সংস্থাটির সদর দপ্তর চট্টগ্রামে অবস্থিত।[২] বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের সাথে সাথে এটি বাংলাদেশ রেলওয়েতে পরিণত হয়।[৩]
স্থানীয় নাম | پاکستان مشرقی ریلویز |
---|---|
ধরন | রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজ |
শিল্প | |
পূর্বসূরী | আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে |
উত্তরসূরী | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬১[১] |
বিলুপ্তিকাল | ১৯৭১ |
সদরদপ্তর | |
বাণিজ্য অঞ্চল | পূর্ব বাংলা (সাথে ভারতে সীমিত আকারে) |
মালিক | পাকিস্তান সরকার |
মাতৃ-প্রতিষ্ঠান | রেলপথ মন্ত্রণালয় |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করলে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। প্রায় ২৬০৩.৯২ কিলোমিটার রেলপথ পূর্ব বাংলার মধ্যে পড়ে। পরবর্তীতে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের নাম পরিবর্তন করে "ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে" নামকরণ করা হয়। ১৯৬১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি পূর্ব বাংলা রেলওয়ের নাম পরিবর্তন করে "পাকিস্তান ইস্টার্ন রেলওয়ে" রাখা হয় এবং পরের বছরেই সংস্থাটির নিয়ন্ত্রণ ফেডারেল সরকার থেকে পূর্ব পাকিস্তান সরকারে নিকট স্থানান্তরিত হয়। ১৯৬২ সালের ৯ই জুন রাষ্ট্রপতি আদেশে ১৯৬২-৬৩ অর্থবছরে সংস্থাটি পাকিস্তান ইস্টার্ন রেলওয়ে বোর্ডের পরিচালনার আওতায় পড়ে। [৪]
উত্তরসূরি
সম্পাদনা১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথে পাকিস্তান ইস্টার্ন রেলওয়ের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে রাখা হয়।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Archived copy" (পিডিএফ)। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "History"। Bangladesh Railways। ১৫ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-২৪।
- ↑ কাজী আবুল ফিদা (২০১২)। "রেলওয়ে"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ Rao, M.A. (1988). Indian Railways, New Delhi: National Book Trust, p.39