প্রবেশদ্বার:বিজ্ঞান

(প্রবেশদ্বার:Science থেকে পুনর্নির্দেশিত)


ইকিপিডিয়া
বিজ্ঞা


বিজ্ঞান

বিজ্ঞান হল এমন এক ধরণের জ্ঞান যা পর্যবেক্ষণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন, পরীক্ষণ এবং কোন বিষয়ের ব্যাখ্যা বা ঘটনার ভবিষ্যৎবাণীর কারণ দেখানোর ক্ষেত্রে যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে গঠিত হয়। পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ এবং সূক্ষ্ণতর কারণ ব্যাখ্যন, এ সবই বিজ্ঞানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এর পাশাপাশি বিজ্ঞানের জগতে নিয়মানুবর্তিতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাজ করার জন্য আবশ্যক। এ ধরণের পদ্ধতির মথ্যে প্রথমেই আসে প্রস্তাবিত প্রকল্পকে উপযুক্ত পরীক্ষণ এবং যুক্তির মাধ্যমে সত্যায়িতকরণ। এ ধরণের সত্যায়িত প্রকল্প সময়ের প্রয়োজনে এক সময় সত্যের মানদন্ড হিসেবে পরিগণিত হয় এবং কালক্রমে একটি সূত্রের মর্যাদা পায়; তবে বিজ্ঞানে কোন কিছুই অপরিবর্তনীয় নয়। পরবর্তীতে অধিক নির্ভরযোগ্য তত্ত্ব এই প্রতাষ্ঠিত তত্ত্বকেও নাকচ করে দিতে পারে। এভাবেই এগিয়ে চলে বিজ্ঞান।


নিবন্ধ


বড় ম্যাজেলানিয় মেঘপুঞ্জ অঞ্চলে একটি তারকা গঠিত হচ্ছে।

তারা (ইংরেজি: Star) প্লাজমা দশাস্থিত অতি উজ্জ্বল এবং সুবৃহৎ গোলাকার বস্তুপিণ্ড। উচ্চ তাপে তারা নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগত নিজের জ্বালানী উৎপন্ন করে। নিউক্লীয় সংযোজন থেকে উদ্ভুত তাপ ও চাপ মহাকর্ষীয় সঙ্কোচনকে ঠেকিয়ে রাখে। জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে একটি তারার মৃত্যু হয়ে শ্বেত বামন অথবা নিউট্রন তারা আবার কখনো কৃষ্ণ বিবরের সৃষ্টি হয়। পৃথিবী হতে সবচেয়ে কাছের তারা হচ্ছে সূর্য। তারা জ্বলজ্বল করার কারণ হচ্ছে, এর কেন্দ্রে নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা তারার পুরো অভ্যন্তরভাগ পার হয়ে বহিঃপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত হয়। হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম অপেক্ষা ভারী প্রায় সকল মৌলই তারার কেন্দ্রে প্রথমবারের মত উৎপন্ন হয়েছিল।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তারার বর্ণালি, দীপন ক্ষমতা বা গতি পর্যবেক্ষণ করে এর ভর, বয়স, রাসায়নিক গঠন এবং অন্যান্য অনেক ধর্মই বলে দিতে পারেন। তারাটির সর্বমোট ভরই মূলত তার বিবর্তন এবং চূড়ান্ত পরিণতি নির্ধারণ করে দেয়। অন্যান্য ধর্মগুলো নির্ণয় করা হয় বিবর্তনমূলক ইতিহাসের মাধ্যমে যার মধ্যে রয়েছে ব্যাস, ঘূর্ণন, চাপ এবং তাপমাত্রা। অনেকগুলো তারার তাপমাত্রাকে তাদের দীপন ক্ষমতার বিপরীতে একটি লেখচিত্রে স্থাপন করলে যে চিত্র পাওয়া যায় তাকে হের্টস্‌স্প্রুং-রাসেল চিত্র বলা হয়। এই চিত্রের মাধ্যমেই তারার বিবর্তনের বর্তমান দশা এবং এর বয়স নির্ণয় করা যায়। বিস্তারিত...


১৯৫০ সালের পূর্বেকার সংগৃহীত স্থিরচিত্রে মেঘনাদ সাহা

মেঘনাদ সাহা এফআরএস (শুনুন) (৬ অক্টোবর ১৮৯৩ – ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬) ছিলেন একজন ব্রিটিশ ভারতীয় বাঙালি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানীজ্যোতির্বিজ্ঞানী। তিনি গণিত নিয়ে পড়াশোনা করলেও পদার্থবিজ্ঞানজ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়েও গবেষণা করেছেন। তিনি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে তাপীয় আয়নীকরণ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। তার আবিষ্কৃত সাহা আয়নীভবন সমীকরণ নক্ষত্রের রাসায়নিক ও ভৌত ধর্মগুলো ব্যাখ্যা করতে অপরিহার্য। তিনি ভারতে নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানে আধুনিক গবেষণার জন্য ১৯৫০ সালে পশ্চিমবঙ্গে সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স প্রতিষ্ঠা করেন। পদার্থবিজ্ঞানে তার অবদানের জন্য ১৯২৭ সালে লণ্ডনের রয়াল সোসাইটি তাকে এফআরএস নির্বাচিত করে।

তিনি ও তার সহপাঠী এবং সহকর্মী সত্যেন্দ্রনাথ বসু সর্বপ্রথম আলবার্ট আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতার সূত্রকে জার্মান থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন যা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়। স্বনামধন্য এই পদার্থবিজ্ঞানী পদার্থবিজ্ঞান ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি বিজ্ঞানসম্মত ধারায় পঞ্জিকা সংশোধন করেন। এছাড়া ভারতের নদীনিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি ভারতে পদার্থবিজ্ঞানের বিকাশ ও প্রসারের জন্য ১৯৩১ সালে ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্স, ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও ১৯৩৪ সালে ভারতে পদার্থবিজ্ঞানীদের সংগঠন ইন্ডিয়ান ফিজিক্যাল সোসাইটিও প্রতিষ্ঠা করেন। তার উদ্যোগেই ভারতে ইন্ডিয়ান ইন্সটিউট অব সায়েন্সের সূচনা হয়, যা বর্তমানে ইন্ডিয়ান ইন্সটিউট অব টেকনোলজি (আই.আই.টি.) নামে পরিচিত। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)


নির্বাচিত চিত্র



এপিনেফ্রাইন (অ্যাড্রেনালিন), একটি ক্যানকোলামিন ধরনের হরমোন

আজকের ভিডিও


(ভিডিও দেখার জন্য ক্লিপ চালান বোতামে ক্লিক করুন। যদি ভিডিও না দেখা যায়, তাহলে মেনুতে ক্লিক করে অন্য ভিডিও প্লেয়ার নির্বাচন করুন।)


Impatto di una sfera di rame a 4,5 km/sec contro un letto di polvere di pomice.

বিজ্ঞান বিষয়ক আরও ভিডিওর জন্য এখানে খুঁজুন commons:Category:Science videos, commons:Category:Technology videos এবং commons:Category:Industry videos

আপনি জানেন কি...


  • ... মানুষের লৈঙ্গিক পার্থক্য বিষয়ক গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারীর প্রতি ঘন মিলিলিটার রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ যথাক্রমে প্রায় ৫২ ও ৪৬ লক্ষ?
  • ... ভেসপুলা ফ্লাভিসেপস নামক বোলতার শুককীট জাপানে একটি অন্যতম জনপ্রিয় সুস্বাদু খাবার হিসেবে স্বীকৃত?
  • ... গবেষণায় দেখা গেছে ডলফিনহাতিরাও তাদের নিজেদের আলাদাভাবে পরিচয় দিতে সাংকেতিক নাম ব্যবহার করে?
  • ... আটলান্টিক মহাসাগরের ৮,৩৭০ মিটার গভীরে প্রাপ্ত অ্যাবিসোব্রোটুলা গ্যালাথি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গভীর জলের মাছ?
  • ... সাদা পদার্থ, জেনডাইট ও অ্যাক্সনের সূক্ষ্ম তন্তু দিয়ে তৈরি হয় - যা নিউরনকে সংকেত পাঠানোর ক্ষেত্র সৃষ্টি করে?
  • ... মস্তিষ্কে একশ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে?
বিষয়শ্রেণী ধাঁধা
বিষয়শ্রেণী ধাঁধা

নিচের বিষয়শ্রেণীগুলোর অধীনে সবগুলো নিবন্ধ সাজানো আছে। [►] চিহ্নে ক্লিক করলেই উপ-বিষয়শ্রেণী দেখতে পাবেন।


প্রবেশদ্বার:বিজ্ঞান/আপনি যা করতে পারেন


উইকিসংবাদে বিজ্ঞান
উন্মুক্ত সংবাদ উৎস


উইকিউক্তিতে বিজ্ঞান
উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন


উইকিসংকলনে বিজ্ঞান
উন্মুক্ত পাঠাগার


উইকিবইয়ে বিজ্ঞান
উন্মুক্ত পাঠ্যপুস্তক ও ম্যানুয়াল


উইকিবিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান
উন্মুক্ত শিক্ষা মাধ্যম


উইকিমিডিয়া কমন্সে বিজ্ঞান
মুক্ত মিডিয়া ভাণ্ডার


উইকিঅভিধানে বিজ্ঞান
অভিধান ও সমার্থশব্দকোষ


উইকিউপাত্তে বিজ্ঞান
উন্মুক্ত জ্ঞানভান্ডার


উইকিভ্রমণে বিজ্ঞান
উন্মুক্ত ভ্রমণ নির্দেশিকা

সার্ভার ক্যাশ খালি করুন