তাজকিয়াহ (تزكية) হল একটি আরবি-ইসলামিক পরিভাষা, সংক্ষেপে তাজকিয়া আল-নফস যার অর্থ "আত্মশুদ্ধি"। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে নফস (আত্ম-প্রবৃত্তি বা কামনা) কে প্রবৃত্তি-কেন্দ্রিক দশা থেকে পরিবর্তন করে শুদ্ধি ও আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণের দশায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর ভিত্তি হল বিশুদ্ধ সুন্নত থেকে শরিয়াহ ও কর্ম অধ্যয়ন এবং নিজ কর্মে তার প্রয়োগ ঘটানো ও তার ফলশ্রুতিতে আল্লাহ সম্পর্কে আধ্যাত্মিক সচেতনতা লাভ করা (সর্বদা এই চেতনা নিয়ে থাকা যে, তিনি তার জ্ঞাতের দিক থেকে আমাদের সাথেই আছেন এবং আমরা যা কিছু করি তা জানেন, পাশাপাশি সর্বদা তার যিকির করা বা তাকে স্মরণ করা চিন্তা ও কর্মের মাধ্যমে), যাকে ইহসানের সর্বোচ্চ পর্যায় বলা হয়। পরিভাষাটির আরেকটি নিকতবর্তী সমার্থক শব্দ হল ইসলাহ।
বিস্তারিত
এইখানের ‘’’নির্বাচিত নিবন্ধ’’’ গুলি প্রধান পাতায় দেখা যাবে , অবস্থান অনুযায়ী নম্বরযুক্ত ভাবে দেওয়া হল :
নং
নিবন্ধর সারসংক্ষেপ
১
আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) ইসলামের মহান বানী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য দুনিয়াতে যুগে যুগে যেসকল ওলি আল্লাহর আবির্ভাব ঘটেছে তন্মধ্যে অন্যতম। সেকারণে তাঁকে গাউসুল আজম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ইংরেজি: Syed Ahmed Ullah Maizbhanderi) বা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (জন্ম: ১৮২৬- মৃত্যু: ১৯০৬) হলেন মাইজভান্ডারী তরীকার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ছিলেন একজন সুফি সাধক বা পীর। তিনি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী নামেই বহুল পরিচিত। তাঁর অনুসারীগণ শুরু হতে যে সকল প্রচার প্রকাশনা বাংলা, আরবি, উর্দু এবং ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় ছাপিয়ে আসছে, তাতে তাঁর নাম গাউছুল আজম হযরত মৌলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী কেবলা ক্বাবা কাদ্দাছাল্লাহু ছিরহুল আজিজ / (কঃ) লিখতে দেখা যায়।
তাজকিয়াহ (تزكية) হল একটি আরবি-ইসলামিক পরিভাষা, সংক্ষেপে তাজকিয়া আল-নফস যার অর্থ "আত্মশুদ্ধি"। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে নফস (আত্ম-প্রবৃত্তি বা কামনা) কে প্রবৃত্তি-কেন্দ্রিক দশা থেকে পরিবর্তন করে শুদ্ধি ও আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণের দশায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর ভিত্তি হল বিশুদ্ধ সুন্নত থেকে শরিয়াহ ও কর্ম অধ্যয়ন এবং নিজ কর্মে তার প্রয়োগ ঘটানো ও তার ফলশ্রুতিতে আল্লাহ সম্পর্কে আধ্যাত্মিক সচেতনতা লাভ করা (সর্বদা এই চেতনা নিয়ে থাকা যে, তিনি তার জ্ঞাতের দিক থেকে আমাদের সাথেই আছেন এবং আমরা যা কিছু করি তা জানেন, পাশাপাশি সর্বদা তার যিকির করা বা তাকে স্মরণ করা চিন্তা ও কর্মের মাধ্যমে), যাকে ইহসানের সর্বোচ্চ পর্যায় বলা হয়। পরিভাষাটির আরেকটি নিকতবর্তী সমার্থক শব্দ হল ইসলাহ।
তরিকা (or tariqah; আরবি: طريقةṭarīqah, plural طرقṭuruq, from طريق "way, path"; ফার্সি: طريقتtariqat, তুর্কি: tarikat) বলে বোঝায় সুফিবাদের কোনো একটি ধারা বা মতাদর্শ। তরিকাতে একজন মুর্শিদ থাকেন যিনি আধ্যাত্মিক নেতার ভূমিকা পালন করেন। তরিকার অনুসারীদেরকে মুরিদ বলা হয়।
সালাফিবাদ ও সুফিবাদ নামক ইসলামের দুটি পৃথক ব্যাখ্যাবিশিষ্ট আন্দোলনের মধ্যকার সম্পর্ক হল ঐতিহাসিকভাবে বৈচিত্র্যময় এবং এটি আজকের দিনে মুসলিম বিশ্বের কিছু পরিবর্তন ও দ্বন্দ্বকে তুলে ধরে।
সালাফিবাদ হল ইসলামের আক্ষরিক, কঠোর ও সনাতন পদক্ষেপ। পশ্চিমা বিশ্বে একে প্রায়শই সালাফি জিহাদী-মতবাদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সুফিবাদ হল আত্মার পরিশুদ্ধি (তাসাউফ-তাজকিয়া) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং জান্নাত বা স্বর্গে উচ্চমর্যাদা অর্জনের জন্য ভালো মুসলিম ও ভালো মানুষ হওয়ার দিকে নজর দেয়।