পার্সি ব্রাউন (১৮৭২–১৯৫৫) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ব্রিটিশ পণ্ডিত, শিল্পী, শিল্পী সমালোচক, ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্তিক। [১] তিনি ভারতীয় স্থাপত্য ও শিল্প বিশেষ করে গ্রিক-ব্যাক্টিয় রাজ্যের শিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে সুপরিচিত ছিলেন। [২]

পার্সি ব্রাউন
জন্ম১৮৭২
মৃত্যু১৯৫৫ (1956) (বয়স ৮৩)
জাতীয়তাব্রিটিশ
মাতৃশিক্ষায়তনরয়েল কলেজ অব আর্ট , লন্ডন
পেশাঅধ্যক্ষ, মেয়ো স্কুল অফ আর্টস, লাহোর
কিউরেটর, লাহোর জাদুঘর
অধ্যক্ষ, গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, কলকাতা
সম্পাদক ও কিউরেটর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল, কলকাতা

সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পাদনা

পার্সি ব্রাউন ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে বার্মিংহামে জন্মগ্রহণ করেন। [৩]। স্থানীয় আর্ট স্কুলে পড়াশোনার পর তিনি ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনের রয়েল কলেজ অব আর্ট থেকে স্নাতক হন। তিনি ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় আঠাশ বৎসর ইন্ডিয়ান এডুকেশন সার্ভিসে যুক্ত ছিলেন। [৩] [৪] তিনি লাহোরের তৎকালীন মেয়ো স্কুল অব আর্টিস্ (বর্তমানের ন্যাশনাল কলেজ অফ আর্টস, পাকিস্তান-এর অধ্যক্ষ ও লাহোর যাদুঘরের কিউরেটর ছিলেন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে রাম সিং মেয়ো স্কুল অব আর্টের অধ্যক্ষদের স্থলাভিষিক্ত হলে তিনি লাহোর ছাড়েন। রাম সিং ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অধ্যক্ষ পদে ছিলেন[৩] ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দেরই ১২ জুন তিনি কলকাতার সরকারি আর্ট কলেজে অধ্যক্ষ হন এবং ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে অবসর নেন। বাংলার খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী গোবর্ধন আশ, ইন্দুভূষণ রক্ষিত প্রমুখেরা সেই সময় আর্ট কলেজের ছাত্র ছিলেন। অবসরের পর তিনি কলকাতারই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের সম্পাদক ও কিউরেটর হন এবং ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ওই পদে আসীন ছিলেন। তারপর তিনি তার বাকি জীবন শ্রীনগরে অতিবাহিত করেন। [৫]

উল্লেখযোগ্য কাজ সম্পাদনা

পার্সি ব্রাউন ভারতীয় ও বৌদ্ধীয় স্থাপত্যের উপর মনোনিবেশ করেন এবং তিনিই এই বিষয়ে প্রথম লেখালেখি করেন। [৬] তিনি স্থাপত্য ও শিল্পকলার উপর বহু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন তন্মধ্যে ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত দুই খণ্ডের ইন্ডিয়ান আর্কিটেকচার :বুদ্ধিস্ট অ্যান্ড হিন্দু পিরিয়ডস (প্রথম খণ্ড) এবং ইন্ডিয়ান আর্কিটেকচার: ইসলামিক পিরিয়ডস (দ্বিতীয় খণ্ড [৭] তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল-

  • এ ডেসক্রিপটিভ গাইড টু দ্য ডিপার্টমেন্ট অব আর্কিওলজি অ্যান্ড অ্যান্টিকুইটিজ (১৯০৮),[৮]
  • পিকচার্সকিউ নেপাল(১৯১২), [৮]
  • ইন্ডিয়ান পেন্টিং (১৯১৮) [৮] এবং
  • ট্যুরস ইন সিকিম অ্যান্ড দার্জিলিং ডিস্ট্রিক্ট (১৯২২)। [৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Sir George Watt (১৯৮৭)। Indian Art at Delhi 1903। Motilal Banarsidass। পৃষ্ঠা 546। আইএসবিএন 9788120802780। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১২ 
  2. "The Popular Science Monthly"। ১৯০৭: 494। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১২ 
  3. Archer, Mildred (১৯৯৫)। British Drawings in the India Office LibraryH.M.S.O.। পৃষ্ঠা 65। আইএসবিএন 9780118804165। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১২ 
  4. Rothenstein, William; Tagore Rabindranath (১৯৭২)। Imperfect encounter: letters of William Rothenstein and Rabindranath Tagore, 1911–1941Harvard University Press। পৃষ্ঠা 174। আইএসবিএন 9780674445123। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১২ 
  5. Vernoit, S. J. (২০০৩)। "Brown, Percy"Grove Art Online (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসবিএন 978-1-884446-05-4ডিওআই:10.1093/gao/9781884446054.article.T011616। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১৪ 
  6. Le Huu Phuoc (২০১০)। Buddhist Architecture। Grafikol। পৃষ্ঠা 4। আইএসবিএন 9780984404308। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১২ 
  7. Messerschmidt, Donald Alan; Dina Bangdel (২০০৪)। Against the current: the life of Lain Singh Bangdel, writer, painter, and art historian of Nepal। Orchid Press। পৃষ্ঠা 33। আইএসবিএন 9745240524। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১২ 
  8. "Online books by Percy Brown"। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১২