পটুয়াখালী ওয়ায়েজীয়া কামিল মাদ্রাসা
পটুয়াখালী ওয়ায়েজীয়া কামিল মাদ্রাসা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার একটি আলিয়া মাদ্রাসা।[১] মাদ্রাসাটি পটুয়াখালী জেলার অন্যতম প্রধান আলিয়া মাদ্রাসা, এটি টেংরাখালীর পীর সাহেব শাহ মোহাম্মাদ সামসুল হক ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সময় মাদ্রাসাটি দাখিল থেকে কামিল পরীক্ষার কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম স্তর বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং মাদ্রাসার ফাজিল ও কামিল স্তর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রয়েছে।[২] এখানে প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে, মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষের নাম শাহ মো. নেছারুল হক। মাদ্রাসার সমগ্র ক্যাম্পাস প্রায় ১৮২ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত।
ধরন | এমপিও ভুক্ত |
---|---|
স্থাপিত | ১ জানুয়ারি ১৯৮৫ |
প্রতিষ্ঠাতা | শাহ মোহাম্মাদ সামসুল হক |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া (২০০৬- ২০১৬) ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান) |
অধ্যক্ষ | শাহ মো. নেছারুল হক |
মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তি | বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | আনু. ৪০ |
শিক্ষার্থী | আনু. ১২০০ |
ঠিকানা | লোহালিয়া নদীর তীরে , , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
EIIN সংখ্যা | ১২২৫৪১ |
ক্রীড়া | ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন |
এমপিও সংখ্যা | ৬৬০৬০৩২২০৪ |
ওয়েবসাইট | http://102541.ebmeb.gov.bd |
ইতিহাস
সম্পাদনাএই মাদ্রাসাটি পটুয়াখালী জেলা তথা দক্ষিন বাংলার অন্যতম সর্বোচ্চ ধর্মীয় বিদ্যাপীঠ হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এটি সদর উপজেলা থেকে এক কিলোমিটার পূর্বে লোহালিয়া নদীর তীরে অবস্থিত। অত্র অঞ্চলে ইসলামি যথার্থ শিক্ষার বিস্তারে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাদ্রাসাটি ১৯৮৫ সালের জানুয়ারি মাসে কার্যক্রম চালু করার পরেই অতি দ্রুত সেপ্টেমর মাসেই সরকারি নথিভুক্ত এমপিও মাদ্রাসার সুযোগ লাভ করে।[৩]
২০০৬ সালের পূর্বে আলিয়া মাদ্রাসা মূলত বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করত। এরপরে ২০০৬ সালের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ২০০৬ সালের সংশোধনী মোতাবেক আলিয়া মাদ্রাসার ফাযিল (স্নাতক ডিগ্রি) ও কামিল (স্নাতকোত্তর) কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়।[৪] তখন এই মাদ্রাসাটিও ইবি অধিভুক্তি লাভ করে। এরপর ২০১৬ মাদ্রাসাটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হয়।[৫]
শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনাএই মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী থেকে শুরু করে আলিয়া মাদ্রাসার সর্বোচ্চ পর্যায় কামিল শ্রেণী পর্যন্ত রয়েছে। এই মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম পর্যায়ে বিজ্ঞান ও মানবিক উভয় শাখা রয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও ফাজিল ও কামিল পর্যায়ে আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ প্রভৃতি বিভাগ চালু আছে। ফাজিল ও কামিল পর্যায়ের ছাত্রদের বিষয়ভিত্তিক গবেষণার সুযোগ রয়েছে। দাখিল স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
সম্পাদনামাদ্রাসাটিতে নানা আধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
- মসজিদ: মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দুপুরে ক্লাসের অবসরে এই মসজিদে নামাজ আদায় করে থাকে। এছাড়া মাদ্রাসার আবাসিক হোস্টেলের ছাত্ররা এই মসজিদে এসে নামাজ আদায় করে।
- ছাত্রাবাস: মাদ্রাসায় যেসকল ছাত্রদের আর্থিক অবস্থা ভঙ্গুর, তাদেরকে বিনামূল্যে অথবা নামমাত্র মূল্যে এই ছাত্রাবাসে থাকার সুবিধা প্রদান করা হয়।
- ঈদগাহ: মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ থেকে মাদ্রাসার জমিতে একটি সুবিশাল ঈদগাহের জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ঈদগাহে শিক্ষার্থী, শিক্ষকগণের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ নামাজ আদায় করে থাকে।
- খেলার মাঠ: মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা, স্থানীয় যুব ও তরুণ সমাজ এই মাঠে খেলাধুলা করে থাকে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "PATUAKHALI WAEZIA KAMIL MADRASAH"। সহপাঠি। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২৩।
- ↑ "অধিভুক্তি নবায়ন – বরিশাল – Islamic Arabic University"। iau.edu.bd। ২০২৩-০৭-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-২৮।
- ↑ "PATUAKHALI WAEZIA KAMIL MADRASAH"। 102541.ebmeb.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-২৮।
- ↑ "আলিয়া মাদরাসার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ"। lekhapora24.net। ২০২১-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৭।
- ↑ "মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে প্রত্যাশা"। SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১০।