নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-শামুকতলা রোড লাইন
নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-শামুকতলা রোড রেল লাইন হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি রেল পথ।এই রেল পথ ১৮২ কিলোমিটার (১১৩ মা) দীর্ঘ।এই রেল পথটি উত্তর বঙ্গের জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার একটি গুরুত্ব রেল পথ।বিভিন্ন আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার রেল চলাচল করে এই রেল পথে।
নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-শামুকতলা রেলপথ | |
---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
অবস্থা | সক্রিয় |
অঞ্চল | উত্তর বঙ্গ, ডোয়ার্চ |
বিরতিস্থল | নিউ জলপাইগুড়ি জংশন রেল স্টেশন শামুকতলা রোড রেল স্টেশন |
স্টেশনসমূহ | ২৪ |
ক্রিয়াকলাপ | |
উদ্বোধন | ১৯৫০ |
মালিক | ভারতীয় রেল |
পরিচালক | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল |
প্রযুক্তিগত | |
রেলপথের দৈর্ঘ্য | ১৮২ কিমি (১১৩ মা) |
ট্র্যাক গেজ | ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) broad gauge |
নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-শামুকতলা রোড রেলপথ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
Source:Google maps, Indian Railway – East Zone Time Table, |
ইতিহাসসম্পাদনা
১৯৪৭ সালের আগে ভারতের উত্তরবঙ্গ ও অসমের রেল যোগাযোগ রক্ষিত হত পূর্ববঙ্গের মধ্যে দিয়ে। দেশভাগের পর সেই যোগসূত্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি অসম রেল লিংক প্রকল্প গৃহীত হয়। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি এই পথে প্রথম ট্রেন চলে। প্রকল্পটি ছিল মূলত একটি ১৪২ মেইল দীর্ঘ ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) মিটার গেজ লাইন। এটি ফকিরাগ্রাম রেল স্টেশনকে কিশানগঞ্জ রেল স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত করেছিল।[১] ২০০৩-০৬ সালে এই রুটটিকে ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হয়।[২]
১৯৬০-এর দশকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শামুকতলা রোড পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইনটি যুক্ত হয়েছিল।[৩]
অবস্থানসম্পাদনা
এই রেল লাইনটি জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার হিমালয় এর পাদদেশে ডুয়ার্চ এলাকায় ১৪০ কিলোমিটার বিস্তৃত।এই পথে রেল লাইনটি তিস্তা নদী অতিক্রম করেছে।রেল পথটি অতিক্তম করেছে বহু ছোট পাহার, চা বাগান।গরুমারা জাতীয় উদ্যান, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান, বক্সা ব্যাঘর প্রকল্প প্রভৃতি বহ ভূমির মধ্য দিয়ে এই রেল পথ অগ্রসর হয়েছে।[৪]
হাতি সমস্যাসম্পাদনা
এই রেল পথের আশেপাশে বহু হাতি বসবাস করে।হাতিদের চলাচলের পথ এই রেল পথ দ্বারা খন্ডিত হয়েছে।ফলে বহু হাতি এই রেল পথ অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ধ্বাকায় মারা যায়।এই বিরুদ্ধে স্থানিয় জনগন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। [৫][৬]
সিকিম সংযোগসম্পাদনা
সিকিম এর সঙ্গে বাকি ভারতের রেল সংযোগ ঘটাতে সিকিম রেল সংযোগ প্রকল্প নিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল ।এই রেল পথটি নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-শালুখতলা রোড রেল লাইন-এর সেবক রেল স্টেশন থেকে একটি রেল পথ নির্মাণ করা হবে সিকিমের রংপো পর্যন্ত।এই রেল পথটি ব্রডগেজ রেল পথ হিসাবে নির্মাণ করা হবে।এই পথের মোট দৈর্ঘ্য হবে ৪৪.৪ কিলোমিটার (২৭.৬ মা) ।পড়ে রেল পথটি সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক পর্যন্ত নিয়ে যায়া হবে।সেবক থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত রেল পথটি ৫৩ কিলোমিটার (৩৩ মা) দীর্ঘ হবে।[৭][৮]
শাখা লাইনসম্পাদনা
মালবাজার থেকে একটি মিটার গেজ লাইন কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা পর্যন্ত রয়েছে।আবার এই রেল পথ সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের বুড়ি মারি হয়ে লালমনিরহাট পর্যন্ত গেছে।ভারতের অংশে বর্তমানে কোনো রেল পরিসেবা চালু নেই ।বর্তমানে এই রেল পথটি ব্রডগেজে রূপান্তরের কাজ চলছে।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "History of NFR"। Northeast Frontier Railway। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-২২।
- ↑ Srivastava, V.P.। "Role of Engineering Deptt in Meeting Corporate Objectives of Indian Railways" (PDF)। ২০১৪-০৩-৩০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-২১।
- ↑ "India: the complex history of the junctions at Siliguri and New Jalpaiguri"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-১২।
- ↑ "Dooars"। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২০।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি: অবৈধ
<ref>
ট্যাগ;elephant
নামের সূত্রের জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Dooars protests train speed control"। The Telegraph। Calcutta, India। ২৭ নভেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১০।
- ↑ "Work commences on new railway line connecting Sikkim"। Business Standard। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২০।
- ↑ Jayanta Gupta (২৯ অক্টোবর ২০০৯)। "Finally, Sikkim railway project on track"। Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২০।