দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিঃ
দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিঃ (অর্থ: নিরাপত্তা মুদ্রণ সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান (বাংলাদেশ) লিঃ) হল বাংলাদেশে ব্যাংকনোট ও সরকারি ডাকটিকিটের প্রধান ছাপাখানা।[১][২][৩]
![]() | |
ধরন | দেশের উপস্থিত আইনের আওতাধীন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান |
---|---|
শিল্প | মুদ্রণ ছাপাখানা, করপোরেশন (সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান), স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, নিরাপত্তা মুদ্রণ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৮৮ |
সদরদপ্তর | গাজীপুর, বাংলাদেশ |
প্রধান ব্যক্তি | আশ্রাফুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক |
পণ্যসমূহ | ব্যাংকনোট, সরকারি ডাকটিকিট, নিরাপত্তা-বিষয়ক কাগজপত্র |
মাতৃ-প্রতিষ্ঠান | বাংলাদেশ ব্যাংক |
ওয়েবসাইট | https://spcbl.portal.gov.bd/ |
ইতিহাস ও বিবরণ
সম্পাদনা১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রকল্প হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৯২ সালের এপ্রিল থেকে, এটি দেশের উপস্থিত আইনের আওতাধীন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ শুরু করে।[৪][৫] এটি আন্তর্জাতিক সরকারি ছাপাখানা সমিতির নিয়মিত সদস্য। নেপালসহ আরও বহু দেশ এর চাররঙা উন্নত ডাকটিকিটের ক্রেতা।[৬] এটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত একটি অতি নিরাপত্তামূলক কেপিআই-১ (এ) (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) মর্যাদা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান।[৬]
২০১৩ সালে এর রজতজয়ন্তী উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি সীমিত পরিমাণে ২৫ টাকার স্মারক নোট অবমুক্ত করে।[৭][৮][৯]
পণ্যসমূহ
সম্পাদনা- মুদ্রা, ব্যাংকনোট ও সম্পর্কিত অন্যান্য
- ১ টাকা, ২ টাকা, ২ টাকা দোয়েল, ৫ টাকা
- ৫ টাকা পুরাতন, ৫ টাকায়, ১০ টাকায় পুরনো, ১০ টাকায়
- ১০ টাকা পুরাতন, ১০ টাকা ওডেল ১, ২০ টাকা, ২০ টাকা পুরনো
- ৫০ টাকা, ৫০ টাকা পুরাতন, ৫০ টাকা পুরাতন ১, ৭০ টাকা, ১০০ টাকা এন
- ১০০ টাকা ও, ১০০ টাকা পুরাতন, ১০০ টাকা
- ৫০০ টাকা এন, ৫০০ টাকা ও, ৫০০ টাকা ও, ৫০০ টাকা ও ১
- ১০০০ টাকা বি এন এন, ১০০০ টাকা ও,
- প্রাইজবন্ড, ২৫ টাকা, ৪০ টাকা, ৬০ টাকা,
- অন্যান্য
- ডাক ও রাজস্ব স্ট্যাম্প
- ডাকের খাম
- পোস্টকার্ড
- অ-বিচারিক স্ট্যাম্প
- কোর্টের ফি স্ট্যাম্প
- চেক বই এবং সময়সূচি এবং ব্যক্তিগত ব্যাংকের অন্যান্য নিরাপত্তা আইটেম
- শেয়ার সার্টিফিকেট
- ট্রেজারি বন্ড
- অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট
- বিড়ি ব্যান্ড রোলস (ট্যাক্স লেবেল)
- স্ট্যাম্প এবং সিগারেট বক্সের জন্য ব্যান্ড (ট্যাক্স লেবেল)
- টয়লেট সাবান প্যাকেট জন্য ব্যান্ড (ট্যাক্স লেবেল)
- গাড়ির রুট পারমিট, গাড়ির ফিটনেস এবং গাড়ির করের জন্য করের লেবেল
সর্বশেষ সিরিজ
সম্পাদনা২০২৪ সালে জুলাই বিপ্লব-এ আওয়ামী লীগের পতনের পর, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৫ সালের মধ্যে টাকার নোট পুনরায় ডিজাইন করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা ও নকশা উপদেষ্টা কমিটি, নয় সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত, অর্থ মন্ত্রণালয়-এর কাছে থিম প্রস্তাব জমা দেওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়।[১০][১১][১২] শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি সরানো হয় এবং এই সিরিজে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়।
- নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য: নতুন নোটগুলোতে উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যেমন রঙ পরিবর্তনকারী সুতা, মাইক্রোপ্রিন্টিং, সি-থ্রু প্যাটার্ন এবং অপটিক্যালি ভ্যারিয়েবল কালি অন্তর্ভুক্ত হয়। শুধুমাত্র ১০০০ টাকার নোটে ১০টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য আছে।
একাদশ সিরিজ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
চিত্র | মূল্য | প্রধান রং | বিবরণ | প্রথম উদ্বোধন | |||
সম্মুখ | বিপরীত | সম্মুখ | বিপরীত | ||||
৳২ | হালকা সবুজ | শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ, মিরপুর | শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ, রায়ের বাজার | ২ জুন ২০২৫[১৩] | |||
৳৫ | গোলাপী | তারা মসজিদ | জুলাই বিপ্লব এর গ্রাফিতি | ২ জুন ২০২৫[১৩] | |||
৳১০ | গোলাপী | বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ | জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি | ২ জুন ২০২৫[১৩] | |||
৳২০ | সায়ান | কান্তজিউ মন্দিরা | সোমপুর মহাবিহার | 1 জুন ২০পি [১৪] | |||
৳৫০ | ডিপ ব্রাউন | আহসান মঞ্জিল | দ্য স্ট্রাগল লেখক: জয়নুল আবেদীন | ১ জুন ২০২৫[১৫] | |||
৳১০০ | আকাশী নীল | ষাট গম্বুজ মসজিদ | সুন্দরবন | ২ জুন ২০২৫[১৩] | |||
৳২০০ | গোল্ডেন ইয়েলো | অপরাজেয় বাংলা | জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি | 2 জুন 2025[১৩] | |||
৳৫০০ | জলপাই সবুজ | কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার | বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট | ১ জুন ২০২৫[১৩] | |||
৳১০০০ | ভায়োলেট | জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধ | জাতীয় সংসদ ভবন | ১ জুন ২০২৫ [১৬] |
টাকা ছাপানোর প্রক্রিয়া, খরচ ও নিরাপত্তা
সম্পাদনাঅন্যান্য দেশের মত তুলা নির্মিত কাগজ দ্বারা ব্যাংকনোট তৈরি হয়, যা উজবেকিস্তান, ইন্দোনেশিয়ার পিটি পুরা ও ইউরোপসহ বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে আমদানি হয়, মুদ্রণ মেশিনসমূহও ইউরোপ থেকে আমদানি করা হয়, এবং পরিবর্তনশীল কালিসহ নোট মুদ্রণের অন্যান্য কালি জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডের সিকপা থেকে আমদানি করা হয়।[১৭][১৮] ১৯৮১ সালে ১ম দফার মেশিন (জার্মানি থেকে ক্রয় করা কেবিএ-নোটাসিস সুইস) ও দ্বিতীয় দফায় ২০১০ সালে ও ২০১৪ সালে জার্মানির প্রতিষ্ঠান কেবিএ-নোটাসিস সুইসের কাছ থেকে ‘ইনটাগলিও প্রিন্টিং মেশিন’ নামে টাকা ছাপানোর দুটি মেশিন কেনা হয়, ২০১০ সালে ক্রয়কৃত মেশিনটির মূল্য প্রায় ১২৪ কোটি টাকা ও ২০১৪ সালে ক্রয়কৃত মেশিনটির দাম ১৪২ কোটি টাকা, ১১৫০-১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি মেশিন ক্রয় করা হয়।[১৯][২০] প্রতিষ্ঠানটির দ্বারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইস্যু করা বিভিন্ন মূল্যমানের নোট ছাপাতে বছরে গড়ে খরচ হয় ৪০০ কোটি টাকা থেকে ৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি।[২১] নিয়োগপ্রাপ্ত প্রথম সারির নকশাকাররা টাকার নকশা করেন, যাদের মধ্যে প্রধানতম হলেন মুসলিম মিয়া।[২২] ১৯৮৮ সালের আগে টাকা আমদানি করা হত। টাকার নোট ছাপানোর প্রথম বছর ২৬ কোটি ৪৩ লাখ পিস নোট ছাপানো হয়। আর ২০১৫ সালে ছাপনো হয় প্রায় ১১০ কোটি লাখ পিস নোট।[২০] ২০২২ এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি এক হাজার টাকার নোট ছাপাতে বাংলাদেশ সরকারের খরচ হয় প্রায় ৮ টাকা। একটি পাঁচশো টাকার নোট ছাপাতে খরচ হয় প্রায় ৬ টাকা এবং ৫, ১০, ২০, ৫০ টাকা প্রতিটি নোট ছাপাতে সরকারের গড় খরচ প্রায় ৩ টাকা।[২৩] ২০২৫ এর মার্চে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বলা হয়, এক হাজার টাকার নোট ছাপাতে পাঁচ টাকা ও ৫০০ টাকার নোট ছাপাতে চার টাকা ৭০ পয়সা খরচ হয়। এছাড়া ২০০ টাকার নোটে তিন টাকা ২০ পয়সা, ১০০ টাকার নোটে চার টাকা এবং ১০, ২০, ৫০ টাকার সব নোটেই দেড় টাকা। আর পাঁচ টাকা ও দুই টাকার নোট ছাপাতে খরচ পড়ে এক টাকা ৪০ পয়সা।[২৪][২৫][২৬] টাকা ছাপানোর শেষে প্রতিটি বান্ডিল হাতে এবং মেশিনে দুইভাবেই গুণে দেখা হয়।[২৩]
দুর্নীতির অভিযোগ
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটিপতি হওয়াসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে।[২৭][২৮] ডিসেম্বর ২০২৪ এ ট্রান্সকম গ্রুপ-এর সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প জালিয়াতির অভিযোগে আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ডাক বিভাগ ২ ডিসেম্বর ২০২৪ এ দাখিল করা প্রতিবেদনে স্ট্যাম্পের সহকারী নিয়ন্ত্রক, শুভ্র সূত্রধর, নিশ্চিত করেন যে, প্রশ্নবিদ্ধ স্ট্যাম্পগুলি ২০২৩ সালের মে মাসে সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড দ্বারা জারি করা হয়েছিল।[২৯][৩০][৩১] উক্ত জালিয়াতির বিষয়ে ১৮ মে ২০২৫ ইলিয়াস হোসেন-এর ফিফটিন মিনিটস নামক ইউটিউব তদন্ত প্রতিবেদন অনুষ্ঠানে দেখানো হয়, এ বিষয়ে টাকশালে তার নিজস্ব প্রতিবেদক প্রেরণ করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়।[৩২][৩৩] একটি সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, প্রতিষ্ঠানটির কর্মরত ৭১৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কারোর কারেন্সি ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি বা সিকিউরিটি প্রিন্টিং টেকনোলজিতে ন্যূনতম শিক্ষা প্রশিক্ষণ নেই।[৩৪] ২০২৪ সালে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির ব্যাপারে ডিবির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে সন্দেহ ও নজরদারি করা হয়।[৩৫]
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
সম্পাদনা২০১৬ সালে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে একাধিকবার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, যেখানে জিয়াউদ্দিন আহমেদ নামক কর্মকর্তাকে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত-এর সুপারিশক্রমে নিয়মবহির্ভূতভাবে পুনরায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক করার তদবির করা হয় বলে দাবি করা হয়,[৩৬] যার বিরুদ্ধে নিয়োগ ও যন্ত্রাংশ ক্রয় সম্পর্কিত বহু দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, যার মধ্যে অন্যতম ছিল প্রতিষ্ঠানটিকে কব্জায় নিতে নিজস্ব বলয় তৈরি করে তাদেরকে দিয়ে সবকিছু পরিচালনা, এমআইসিআর মেশিন মেরামতের নামে প্রায় কোটি টাকার পার্টস আমদানি দেখিয়ে ভুয়া বিল উঠানো, ১০ লাখ টাকার দুটি রোটারী নাম্বারিং মেশিন ৬০ লাখ টাকা করে ক্রয়, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গ্রাফিক এসোসিয়েটসের সাথে যোগসাজশ করে ২৫/৩০ লাখ টাকার কাটিং ফিনিশিং মেশিন ২ কোটি টাকার দিয়ে ক্রয়, বোর্ড সদস্যদের ভুয়া কাগজপত্রাদি দেখিয়ে ৫০/৬০ লাখ টাকার কম্ব পারফরেটিং মেশিন ৩ কোটি টাকা দিয়ে ক্রয়, অবৈধ সুবিধা নিয়ে ২০০৩ সালে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকে রাখা প্রতিষ্ঠানটির ৩ কোটি টাকার এফডিআরের তথ্য গোপন, দশ টাকা মূল্যমানের নোটের ইন্টেগলিও প্রিন্ট পুনরায় চালু করে অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কমিশন খাওয়া, রিসার্চ ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল শাখার কালি-কাগজের মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে রসায়নে উচ্চ ডিগ্রীধারী ৩ কর্মকর্তাকে সরিয়ে মানবিক শাখায় পাশ করা নিজের লোককে দিয়েই নিম্নমানের কাগজ-কালির মান নির্ণয়, কমকর্তা-কর্মচারীদের শিক্ষা সহায়তা তহবিলের টাকা থেকে কর্তন করে ঘুষ দিয়ে মহাহিসাব নিরীক্ষক দপ্তর থেকে আসা বিভিন্ন অনিয়মের অডিট আপত্তি মিটানো, কর্পোরেশনের বৃক্ষ নিধন, নিজে এবং আত্মীয়-স্বজনকে প্রদান করে লেকের মাছ হরিলুট, দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিকদের হাজিরা দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন অনিয়মে ব্যস্ত থাকায় প্রতিষ্ঠানের সঠিক তদারকিতে ছেদ ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনে ধস, এক বছরে শতাধিক লোক নিয়োগ ও কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে নতুন মেশিন ক্রয় এবং মেরামত, এসব অনিয়ম ঢাকতে আরও কিছু সময় দরকার হওয়ায় অর্থমন্ত্রীকে পুনঃনিয়োগের অনুরোধ ইত্যাদি।[৩৭] এছাড়াও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিষ্ণুপদ সাহা নামে সমালোচিত কর্মকর্তার নাম উক্ত পদে প্রস্তাব করা হয়।[৩৮] ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আজিজুল হকের অবসরের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও টেন্ডারজনিত দুর্নীতি করার উদ্দেশ্যে তাকে স্বপদে বহাল রাখার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ও একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তদবিরের অভিযোগ আনা হয়।[৩৯] ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর আওয়ামী লীগ আমলে ৬০ হাজার কোটি টাকার নোট দুর্নীতি করে ছাপার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ প্রতিষ্ঠানটির কতিপয় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আশ্রাফুল আলম ও ফোরকান হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।[৪০]
অন্যান্য বিশেষত্ব
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ভবনের ভেতরে একটি টাকার জাদুঘর রয়েছে।[৪১]
বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় পারুল প্রজাতির মোট নয়টি পরিণত গাছ রয়েছে, যার পাঁচটি প্রতিষ্ঠানটির অন্তর্ভূক্ত সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়-এর পশ্চিম প্রাঙ্গণে অবস্থিত।[৪২][৪৩]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "টাকশালের প্রিন্টিং নিরাপত্তা ও আমাদের প্রস্তাবনা"। দৈনিক সংগ্রাম। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "সিকিউরিটি প্রিন্টিংয়ে ৮টি নতুন পদ সৃষ্টি"। দৈনিক যুগান্তর। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "ঈদ সালামিতে নতুন নোট নিয়ে সংশয়"। bdnews24.com। ২৩ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫।
- ↑ ইসলাম, আমিনুল (২১ জুন ২০১৫)। "বাঙলা মুদ্রণের সেকাল একাল"। দৈনিক আমার দেশ। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "25 gangs active circulating fake notes"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২৭ জুন ২০১৫। ১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৫।
- ↑ ক খ "The Security Printing Corporation (Bangladesh) Ltd. official website"। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন এর উৎপাদনের ২৫ বছর পূর্তির রজত জয়ন্ত্মী উদ্যাপন উপলক্ষে মুদ্রিত স্মারক নোট অবমুক্তকরণ"। bizbdnews.com। ২৪ জানুয়ারি ২০১৩। ৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনের উৎপাদনের ২৫ বছর পূর্তি উপলÿে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গভর্নরের অংশগ্রহণ"। bizbdnews.com। ২৭ জানুয়ারি ২০১৩। ৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "স্মারক মুদ্রা বিক্রয় : Bangladesh Bank"। finedu.bb.org.bd। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ https://businesspostbd.com/national/govt-to-redesign-taka-remove-sheikh-mujibs-image
- ↑ https://www.tbsnews.net/bangladesh/banknotes-redesign-likely-without-image-bangabandhu-958491
- ↑ https://www.dhakatribune.com/bangladesh/360895/government-plans-major-redesign-of-taka-notes
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "BB unveils six redesigned banknotes"। Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০২।
- ↑ "New notes featuring historic, archaeological structures of Bangladesh to be circulated from 1 June"। The Business Standard। ২৯ মে ২০২৫।
- ↑ "New notes featuring historic, archaeological structures of Bangladesh to be circulated from 1 June"। The Business Standard। ২৯ মে ২০২৫।
- ↑ "New notes featuring historic, archaeological structures of Bangladesh to be circulated from 1 June"। The Business Standard। ২৯ মে ২০২৫।
- ↑ "নতুন নোট, নতুন বিতর্ক : জিয়াউদ্দীন আহমেদ"। sangbad.net.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- ↑ "বাংলাদেশে যেভাবে তৈরি হয় টাকা | How Taka is Made | Channel 24"। Channel 24 YouTube page। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০২৫।
- ↑ আহমেদ, জিয়াউদ্দিন (জানুয়ারি–মার্চ ২০২৫)। "সব কথা বলতে নেই (টাকশাল পরিক্রমা)" (পিডিএফ) (১ম সংস্করণ)। টাকশাল কর্তৃপক্ষ: ৮–১০।
- ↑ ক খ "সঙ্কট কাটছে না টাকশালের"। Sunbd24 - Latest News Update About DSE, CSE Stock market. (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "নোট ছাপাতে বছরে খরচ ৪০০ কোটি টাকা"। Jugantor। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ "টাকার নকশা করেন যিনি"। www.kalerkantho.com। মে ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২৫।
- ↑ ক খ নিউজ, সময় (৪ জানুয়ারি ২০২২)। "এক হাজার টাকার নোট বানাতে খরচ কত?"। Somoy News। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ "১০০০ টাকার একটি নোট ছাপাতে কত খরচ হয়"। www.kalerkantho.com। ১৪ মার্চ ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ "নতুন টাকা কীভাবে ছাপা হয়, কোন নোট ছাপাতে কত খরচ?"। Jugantor। ১৬ মার্চ ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ "১০০০ টাকার নোট ছাপাতে খরচ হয় যত টাকা"। sharenews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ মার্চ ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ নোভা, নূসরাত জাহান (৬ এপ্রিল ২০১৯)। "টাকশালের কর্মচারী শামসুজ্জামান চাকুরির সুবাদে কোটি পতি"। Daily Gazipur Online (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ "(গুলশান থানা, মামলা নং – ৪৯, তারিখ – ১৯/০৬/২০০৭) মামলায় দাখিলকৃত চুড়ান্ত রিপোর্ট বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পর আসামীকে (জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক, বর্তমানে মহাব্যবস্থাপক, আদার সিকিউরিটি প্রোডাক্ট (ওএসপি) সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন লিঃ, গাজীপুর) অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। (তারিখ: ১৩/০৯/২০১৮ খ্রি:)" (পিডিএফ)। দুদক দাপ্তরিক ওয়েবসাইট। ২ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "ট্রান্সকমের দলিল জালিয়াতি"। banglanews24.com। ৬ ডিসেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ Sun, Daily (ডিসেম্বর ২০২৪)। "Forgery in Transcom documents"। daily-sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ "RJSC papers doctored with fake stamps"। The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ ডিসেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ জনকণ্ঠ, দৈনিক (২ মে ২০২৫)। "তিন মাসের অনুসন্ধান শেষ করেছে টিম ফিফটিন মিনিটস: ইলিয়াস হোসেন"। দৈনিক জনকণ্ঠ || Daily Janakantha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২৫।
- ↑ "এ যেন কেয়ামতের আলামত! #elias_hossain"। ইলিয়াস হোসােনের অফিসিয়াল ইউটিউব পাতা। ১৮ মে ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২৫।
- ↑ "টাকশালের নিরাপত্তা ও বিদেশ নির্ভরতা"। Risingbd Online Bangla News Portal (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ "সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসের ওপর নজর ডিবির"। Jugantor। ২৫ এপ্রিল ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২৪ জুন ২০১৬)। "টাঁকশালে আবারও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ!"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০২৫।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (১০ জুন ২০১৬)। "অনিয়ম পিছু ছাড়ছে না টাকশালে"। DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ "বিতর্কিত কর্মকর্তাকে টাকশালের এমডি করতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক - অর্থনীতি"। Premier News Syndicate Limited (PNS)। ৭ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ Sharebiz, Daily (১০ অক্টোবর ২০১৮)। "টাঁকশালের শীর্ষ পদ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদবির! | শেয়ার বিজ"। শেয়ার বিজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ "টাকা ছাপিয়ে গড়েছেন ভাগ্য"। দেশ রূপান্তর। ৬ নভেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ "টাকশালে টাকার জাদুঘর | A Money Museum at the security printing corp"। The Business Standard Bangladesh YouTube page। ২৬ মার্চ ২০২২।
- ↑ হোসেন, মোকারম (৩০ মে ২০১৬)। "তবে কি পারুলের দেখা মিলল"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ চৌধুরী, সাহানা (৪ মে ২০১৯)। "পারুলের মোহন মায়া"। দেশ রূপান্তর। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।