সূরা ত্বোয়া-হা
সূরা ত্বোয়া-হা , (আরবি: سورة طه, (ত্বোয়া-হা) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের বিশ নম্বর সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১৩৫ টি।[১]
শ্রেণী | মাক্কী |
---|---|
নামের অর্থ | (ত্বোয়া-হা) |
পরিসংখ্যান | |
সূরার ক্রম | ২০ |
আয়াতের সংখ্যা | ১৩৫ |
← পূর্ববর্তী সূরা | সূরা মারইয়াম |
পরবর্তী সূরা → | সূরা আম্বিয়া |
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ |
আয়াতসমূহ
সম্পাদনাبِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ আল্লাহর নাম দিয়ে শুরু করছি যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
- طه
১) ত্বোয়া-হা
- مَا أَنزَلْنَا عَلَيْكَ الْقُرْآنَ لِتَشْقَى
২) আপনাকে ক্লেশ দেবার জন্য আমি আপনার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ করিনি।
- إِلَّا تَذْكِرَةً لِّمَن يَخْشَى
৩)কিন্তু তাদেরই উপদেশের জন্য যারা ভয় করে।
- تَنزِيلًا مِّمَّنْ خَلَقَ الْأَرْضَ وَالسَّمَاوَاتِ الْعُلَى
৪) এটা তার কাছ থেকে অবতীর্ণ, যিনি ভূমন্ডল ও সমুচ্চ নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন।
- الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى
৫) তিনি পরম দয়াময়, আরশে সমাসীন হয়েছেন।
- لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَمَا تَحْتَ الثَّرَى
৬) নভোমন্ডলে, ভুমন্ডলে, এতদুভয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এবং সিক্ত ভূগর্ভে যা আছে, তা তারই।
- وَإِن تَجْهَرْ بِالْقَوْلِ فَإِنَّهُ يَعْلَمُ السِّرَّ وَأَخْفَى
৭) যদি তুমি উচ্চকন্ঠেও কথা বল, তিনি তো গুপ্ত ও তদপেক্ষাও গুপ্ত বিষয়বস্তু জানেন।
- اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَهُ الْأَسْمَاء الْحُسْنَى
৮) আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য ইলাহ নেই। সব সৌন্দর্যমন্ডিত নাম তারই।
- وَهَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ مُوسَى
৯) আপনার কাছে মূসার বৃত্তান্ত পৌঁছেছে কি?
- إِذْ رَأَى نَارًا فَقَالَ لِأَهْلِهِ امْكُثُوا إِنِّي آنَسْتُ نَارًا لَّعَلِّي آتِيكُم مِّنْهَا بِقَبَسٍ أَوْ أَجِدُ عَلَى النَّارِ هُدًى
১০) তিনি যখন আগুন দেখলেন, তখন পরিবারবর্গকে বললেনঃ তোমরা এখানে অবস্থান কর আমি আগুন দেখেছি। সম্ভবতঃ আমি তা থেকে তোমাদের কাছে কিছু আগুন জালিয়ে আনতে পারব অথবা আগুনে পৌছে পথের সন্ধান পাব।
- فَلَمَّا أَتَاهَا نُودِي يَا مُوسَى
১১) অতঃপর যখন তিনি আগুনের কাছে পৌছলেন, তখন আওয়াজ আসল হে মূসা,
- إِنِّي أَنَا رَبُّكَ فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ إِنَّكَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى
১২) আমিই তোমার পালনকর্তা, অতএব তুমি জুতা খুলে ফেল, তুমি পবিত্র উপত্যকা তুয়ায় রয়েছ।
- وَأَنَا اخْتَرْتُكَ فَاسْتَمِعْ لِمَا يُوحَى
১৩) এবং আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, অতএব যা প্রত্যাদেশ করা হচ্ছে, তা শুনতে থাক।
- إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي
১৪) আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর।
- إِنَّ السَّاعَةَ ءاَتِيَةٌ أَكَادُ أُخْفِيهَا لِتُجْزَى كُلُّ نَفْسٍ بِمَا تَسْعَى
১৫) কেয়ামত অবশ্যই আসবে, আমি তা গোপন রাখতে চাই; যাতে প্রত্যেকেই তার কর্মানুযায়ী ফল লাভ করে।
- فَلاَ يَصُدَّنَّكَ عَنْهَا مَنْ لاَ يُؤْمِنُ بِهَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ فَتَرْدَى
১৬) সুতরাং যে ব্যক্তি কেয়ামতে বিশ্বাস রাখে না এবং নিজ খাহেশের অনুসরণ করে, সে যেন তোমাকে তা থেকে নিবৃত্ত না করে। নিবৃত্ত হলে তুমি ধবংস হয়ে যাবে।[২]
নামকরণ
সম্পাদনাআরবি طه বা ত্বোয়া-হা বর্ণ দুটি সুরার প্রথমে এসেছে। এজন্য এ সুরার নামকরণ সুরা ত্বোয়া-হা করা হয়েছে।
বিষয়বস্তু
সম্পাদনাএই সুরাটি পবিত্র কোরআনের একটি প্রসিদ্ধ সুরা। এটি মাক্কী সুরা। যার আয়াত সংখ্যা ১৩৫ টি। এই সুরাটিতে কতিপয় বিষয়ের উপর আলোচনা করেছেন মহান আল্লাহ। প্রথম অংশে ব্যপকভাবে আলোচিত হয়েছে মুসা (আলাইহিস সালাম) বনী ইসরাইল এবং ফেরাউনের ঘটনাপ্রবাহ। এবং পরবর্তী অংশে আল্লাহ আদম (আলাইহিস সালাম) কে সৃষ্টি ও ফেরেশতাদের দ্বারা সিজ্বদাহ প্রাপ্তি সংক্রান্ত বিষয়াদি বর্ণিত হয়েছে।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "(২০) ত্ব-হা | (20) Ta-Ha | سورة طه-অনুবাদ/তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৫।
- ↑ "Surah Ta-ha - ত্বোয়া-হা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ, Audio, Arabic Ayat & English Meaning"। alqurans.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৫।