তাজপুর বন্দর

পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রস্তাবিত গভীর-সমুদ্র বন্দর

তাজপুর বন্দর[১] হল পশ্চিমবঙ্গেরর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তাজপুরে একটি প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর। বন্দরটি তাজপুরের নিকট বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নির্মিত হবে বন্দর।[২] বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব আদানি বন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল লিমিটেডকে প্রদানের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সম্মতি জানিয়েছিল।[৩][৪] বন্দর নির্মাণের পর, এটি হবে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর।[৫] অনুমান করা হচ্ছে, যে বন্দরটি ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে।[৫][৬]

তাজপুর বন্দর
মানচিত্র
অবস্থান
দেশ ভারত
অবস্থানতাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ
স্থানাঙ্ক২১°৩৯′ উত্তর ৮৭°৪৩′ পূর্ব / ২১.৬৫° উত্তর ৮৭.৭১° পূর্ব / 21.65; 87.71
বিস্তারিত
পরিচালনা করেআদানি বন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল লিমিটেড
মালিকপশ্চিমবঙ্গ সরকার
পোতাশ্রয়ের ধরনগভীর সমুদ্র বন্দর
উপলব্ধ নোঙরের স্থান
প্রোতাশ্রয়ের গভীরতা১৮ মিটার (৫৯ ফু)
চ্যানেলের (প্রবেশ পথ) দৈর্ঘ্য১৮ কিলোমিটার (১১ মা)

বন্দরটি সমুদ্র প্রাচীর দ্বারা ঘেরা একটি পোতাশ্রয় নিয়ে গঠিত হবে। পোতাশ্রয়ে কন্টেইনার টার্মিনাল, শুকনো কার্গো ও বাল্ক কার্গো টার্মিনাল এবং কন্টেইনার টার্মিনালের মধ্যমে পণ্য-সম্ভার পরিচালনা করা হবে। এটির সর্বোচ্চ ১৮ মিটার গভীরতা থাকবে এবং এটি প্যানাম্যাক্স ও কেপ-আকারের জাহাজগুলিকে মিটমাট করতে সক্ষম হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি বিবৃতি থেকে জানা যায়, যে জোয়ারের সমর্থন সহ বন্দরের ড্রাফ্ট প্রায় ১৬ মিটার হবে, প্রস্তাবিত বন্দরটি ১,০০,০০০ টন পণ্যবাহী (ডেডওয়েট টনেজ) জাহাজ সহ কেপ-আকারের জাহাজগুলিকে প্রবেশের অনুমতি দেবে।[৭]

অবস্থান ও ভূগোল

সম্পাদনা

তাজপুর বন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থানটি হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে তাজপুর এলাকার বঙ্গোপসাগরের উপকূল। বন্দরটি ভারতের তৃতীয়-জনবহুল মহানগর কলকাতা থেকে ১৭০ কিমি (১১০ মাইল) দূরে অবস্থিত।[৮]

ভূতাত্ত্বিকভাবে স্থানটি সমতল ভূমিতে অবস্থিত, যা মৃদুভাবে ঢালু। এই এলাকায় কোয়াটারনারি সময়ের অসংহত পাললিক সঞ্চয় দেখা যায়। এলাকাটি বাংলার ব-দ্বীপ সমভূমির অধীনে পড়ে, এবং বাংলার ব-দ্বীপ সমভূমি অসংহত পলির পুরু স্তূপ দ্বারা চিহ্নিত। বন্দরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলটি তৃতীয় শ্রেণির ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলের অধীনে পড়ে যা ভূমিকম্পের একটি মাঝারি ঝুঁকিকে নির্দেশ করে। কোনো প্রাকৃতিক পোতাশ্রয় না থাকায় সমুদ্র প্রাচীর দ্বারা কৃত্রিম পোতাশ্রয় গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে, সেই সঙ্গে সমুদ্র থেকে পুনরুদ্ধারকৃত জমিতে বন্দর পরিকাঠামো গড়া হবে।

ইতিহাস

সম্পাদনা

পটভূমি

সম্পাদনা

পশ্চিমবঙ্গ এর প্রধান বন্দর হল কলকাতা বন্দর (হলদিয়া বন্দর সহ)। কিন্তু হুগলি নদীর নাবত্য কমে যাওয়ার জন্য সমুদ্রগামী বড় জাহাজ কলকাতা বন্দরহলদিয়া বন্দরে নোঙর করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এই কারণে রাজ্যের শিল্পে গতি কমছে। কলকাতা ও আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পা অঞ্চলের পণ্য-দ্রব্য আমদানি ও রপ্তানি পারাদ্বীপ বন্দর এর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যা রাজ্যের বন্দর শিল্পে ও হলদিয়া শিল্পা অঞ্চলের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। এই কারণে রাজ্য সরকার তাজপুর বন্দর প্রকল্প গ্রহণ করে।

পরিকল্পনা

সম্পাদনা

তাজপুরে বন্দর তৈরি প্রস্তাবটি পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা করা হয়েছিল, যার ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বপ্রথম ২০১৬ সালে করেন। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরের নাব্যতা সমস্যাকে অতিক্রম করা, যা পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে অতিরিক্ত খরচের একটি সমস্যা তৈরি করে ছিল। অন্যান্য সুবিধাগুলি হল পশ্চিমবঙ্গের শিল্প কেন্দ্রগুলিকে গভীর সমুদ্র বন্দরের নৈকট্যতা প্রদান ও পার্শ্ববর্তী ওড়িশা রাজ্যের বন্দরসমূহে উপরে নির্ভরতা হ্রাস, এবং বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সমুদ্র সংযোগ উন্নত করা।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রথমে একক উদ্যোগে এই বন্দর গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এবং বন্দর গড়ার নীতিগত অনুমোদন ২০১৬ সালের ১৭ই আগস্ট অনুষ্ঠিত শিল্প পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদের স্থায়ী কমিটির ৫তম সভায় দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে ভারত সরকার এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। রাজ্য সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রকে প্রস্তাবিত বন্দরের ২৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব দিতে রাজি হয়, কিন্ত ভারত সরকার ৭৬ শতাংশ অংশীদারিত্বের দাবি করেছিল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে জানানো হয়, যে যদি ভারত সরকার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করতে মুড়িগঙ্গার উপর একটি সেতু তৈরিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তাহলে তাজপুর বন্দরের ৭৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব কলকাতা বন্দরকে প্রদান করা হবে। ভারত সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রকের সচিব ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য সচিবের মধ্যে ২০১৭ সালের ১৭ই মে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যৌথভাবে বন্দর গড়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোর সাগর পোর্ট লিমিটেডের অধীনে তাজপুর বন্দরকে প্রথম ধাপে এবং সাগর বন্দর দ্বিতীয় ধাপে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছিল।

পরবর্তীতে, ভারত সরকার সেতু নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।[৯] [১০] অনুমান করা হচ্ছে বন্দরটি নির্মাণ মোট ২৫ হজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। বন্দরে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। সংশ্লিষ্ট বন্দরের জন্য প্রয়োজনীয় মূল অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আরও ১,০০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। এই বন্দর নির্মাণ প্রকল্প প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ২৫,০০০ কর্মসংস্থান এবং পরোক্ষভাবে এক লাখেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।[৮]

উন্নয়ন: দরপত্র ও পরিবেশগত ছাড়পত্র

সম্পাদনা

বন্দর গড়ে তোলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্প নিগম ২০২১ সালের ১৮ই অক্টোবর দরপত্রের আহ্বান করে। দেশ ও বিদেশের চারটি বন্দর নির্মাণকারী সংস্থা দরপত্র জমা করেছিল। সেই সংস্থাগুলি হল—সিঙ্গাপুর বন্দর কর্তৃপক্ষ, দুবাই পোর্ট, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনমিক জোন ও জিন্দাল গোষ্ঠী।‌‌[১১] আরও কিছু সংস্থাকে সুযোগ দিতে দু’বার দরপত্র জমার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল।[১০]

নিউটাউনের ইকো পার্কে ২০২২ সালের ১২ই অক্টোবর সন্ধ্যায় আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানির পুত্র করণ আদানির নিকট নির্মাণের অনুমতিপত্র হস্তান্তর করেন।[৫][১২]

জটিলতা

সম্পাদনা

পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের শিল্প ক্ষেত্রে গতি বৃদ্ধির জন্য তাজপুর বন্দর প্রকল্প গ্রহণ করে। এছারা হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরের নাব্যতা কমে যাওয়ার জন্যও নতুন বন্দর প্রয়োজন ছিল। একই কারণে ভারত সরকারপশ্চিমবঙ্গ সরকার সাগর দ্বীপে ভোর সাগর বন্দর নির্মানের পরিকল্পনা নেয়। তবে রাজ্য সরকার সাগর বন্দর ছাড়াও বেসরকারি উদ্দোগে তাজপুর বন্দর প্রকল্প ঘোষণা করে। এতে সাগর বন্দর নির্মান প্রকল্প থেকে কেন্দ্র সরকার সরে আসার পরিকল্পনা নেয়। কারণ কেন্দ্র সরকারের মতে তাজপুরে বেসরকারি উদ্দোগে বন্দর তৈরি হলে সাগর বন্দর লাভবান হবে না। সঙ্গে হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরে পন্য পরিবহন অনেক কমে যাবে।[১৩] প্রথমে কেন্দ্র সরকার প্রস্তাব দেয় দুটি বন্দর কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথ উদ্দোগে গড়ার। পড়ে রাজ্য সরকার এই প্রস্তাবে রাজি হয়। শেষে ঘোষণা করা হয় সাগর ও তাজপুর দুটি বন্দরই নির্মান করা হবে। তাজপুর বন্দর প্রথম ধাপে নির্মান করা হবে আর সাগর বন্দর দ্বিতীয় ধাপে নির্মিত হবে।

২০১৯ সালের আগেই তাজপুর বন্দরের ‘টেকনো ইকনমিক ফিজিবিলিটি রিপোর্ট’ তৈরি করে মন্ত্রিসভার অনুমোদনও মিলে যাবে বলে জাহাজ মন্ত্রকের আশা। সে ক্ষেত্রে ২০১৯-এই তাজপুর বন্দর তৈরির কাজ শুরু সম্ভব হবে [১৪]

বন্দরের বিবরণ

সম্পাদনা

পোতাশ্রয়

সম্পাদনা

তাজপুর বন্দরের পোতাশ্রয়টি একটি কৃত্রিম পোতাশ্রয় হিসাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা সমুদ্র প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে। পোতাশ্রয়ের জন্য নির্ধারিত জলের গভীরতা ১৮ মিটার; পোতাশ্রয় ও নৌ-চ্যানেলের মাঝে মানউভার বেসিনটি ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন হবে। পোতাশ্রয়টি এক লক্ষ ডিডব্লিউটি আকারের বৃহৎ ক্যাপসাইজ জাহাজকে বন্দরে প্রবেশের অনুমোদন প্রদান করবে। পণ্য-সম্ভার পরিচালনার জন্য অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জমি পলি দ্বারা ভরাট করে সমুদ্র থেকে পুরুদ্ধার করা হবে।[৮]

নৌ-চ্যানেল

সম্পাদনা
নৌ-চ্যানেলে জলের গভীরতা[১৫]
গভীরতা পরিমাপ (মিটার)
শর্ত মান
প্রাকৃতিক গভীরতা ৭–১৪ মিটার (২৩–৪৬ ফু)
খননকৃত ১২.৫ মিটার (৪১ ফু)
জোয়ারের সময় গভীরতা সর্বোচ্চ ১৭.৪ মিটার (৫৭ ফু)
সর্বনিম্ন ১৪.৭০ মিটার (৪৮.২ ফু)

বন্দরের পোতাশ্রয়ে জাহাজ চলাচলের জন্য সমুদ্রস্থিত একটি ১৮.৮ কিলোমিটার (১১.৭ মা) দীর্ঘ নৌ-চ্যানেল ব্যবহৃত হবে। নৌ-চ্যানেলটির গভীরতা ১২.৫ মিটার (৪১ ফু) এবং ন্যূনতম প্রস্থতা ২০০ মিটার (৬৬০ ফু), ফলে পোতাশ্রয়ে জোয়ারের সহায়তায় ব্যতীত ১২ মিটার (৩৯ ফু) ড্রাফ্‌টের জাহাজ প্রবেশ ও প্রস্থান করতে সক্ষম হবে। তবে, বন্দর এলাকায় জোয়ারের সময়ে পরিলক্ষিত সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন জলস্ফীতি যথাক্রমে ৪.৯০ মিটার (১৬.১ ফু) ও ২.২০ মিটার (৭.২ ফু), যা নৌ-চ্যানেলের গভীরতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি ঘটাতে সক্ষম। জোয়ারের সময়ে জলস্ফীতির সহায়তায় চ্যানেলের গভীরতা ১৬ মিটার (৫২ ফু) অধিক হবে; এই সময়ে ১৬ মিটার (৫২ ফু) মিটার (৩০ ফু) ও সর্বনিম্ন ১৪ মিটার (৪৬ ফু) ড্রাফ্ট সম্পন্ন জাহাজ চলাচল করতে সক্ষম।[৮]

যোগাযোগ

সম্পাদনা

বন্দর থেকে সবচেয়ে নিকটতম জাতীয় সড়ক হল ১১৬বি নং জাতীয় সড়ক, যা ৫.৫ কিমি দূরত্বে অবস্থিত। জাতীয় সড়কটি নন্দকুমারে ১১৬ নং জাতীয় সড়ক থেকে শুরু হয় এবং তাজপুররে কাছে দীঘায় সমাপ্ত হয়। বন্দর ও জাতীয় সড়কের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের জন্য ৪ লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বন্দরটিকে বিদ্যমান তমলুক-দীঘা রেলপথের সংযুক্ত করার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। তমলুক-দীঘা রেলপথের মাধ্যমে বন্দরটি ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোরের পূর্ব প্রান্তিক ডানকুনি এবং প্রস্তাবিত পূর্ব-পশ্চিম ফ্রেট করিডোরের পূর্ব প্রান্তিক খড়্গপুরের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। তাজপুর থেকে রেলপথের মধ্যেমে ডানকুনি ২১৭ কিলোমিটার ও খড়গপুর ১১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "তাজপুর হয়ে পণ্য উত্তর-পূর্বে"। আনন্দবাজার প্রত্রিকা। ৯ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৭ 
  2. "তাজপুর বন্দর প্রকল্পের দরপত্র শীঘ্রই"আনন্দবাজার প্রত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  3. "West Bengal govt nod to Adani's Tajpur greenfield port development"। Kolkata: www.business-standard.com। Business Standard। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  4. "WB Govt approves issuance of Letter of Intent to APSEZ for Tajpur Port development"। www.thehindubusinessline.com। The Hindu Business Line। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  5. "বিজয়া সম্মেলনীতে আদানি গোষ্ঠীকে তাজপুরে ১৫ হাজার কোটির বন্দর নির্মাণের অনুমতি দিলেন মমতা"। Kolkata: www.anandabazar.com। Anandabazar। ১২ অক্টোবর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০২২ 
  6. Suman Chakraborti (২০ সেপ্টেম্বর ২০২২)। "Adani bags Rs 25,000 crore Tajpur port development project in WB"। timesofindia.indiatimes.com। Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  7. "Bengal awards Tajpur port to Adani"। Kolkata: www.telegraphindia.com। The Telegraph India। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  8. "Adani Group to get letter of intent from govt for Tajpur port"। Kolkata: www.indianexpress.com। The Indian Express। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  9. "জটিলতা শেষ, কেন্দ্র শরিক হবে তাজপুরে" 
  10. "২৫ হাজার কোটি বিনিয়োগ, তাজপুর বন্দর আদানির"। কলকাতা: www.bartamanpatrika.com। বর্তমান পত্রিকা। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  11. "টেন্ডার খুলবে ফেব্রুয়ারিতে, তাজপুর পরিদর্শনে আদানি সহ চার গোষ্ঠী"। কলকাতা: www.bartamanpatrika.com। বর্তমান পত্রিকা। ২৩ জানুয়ারি ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  12. Jayatri Nag (১২ অক্টোবর ২০২২)। "West Bengal govt hands over LoI to Adani Ports for Tajpur port" (ইংরেজি ভাষায়)। economictimes.indiatimes.com। The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০২২ 
  13. "Tajpur port, productivity crucial for KoPT survival"। India Today। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৭ 
  14. "নতুন বন্দরের জন্য নদীপথ"। আনন্দবাজার প্রত্রিকা। ৯ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৭ 
  15. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; ২০২১-২০২২ নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি