ডন টলন
ডোনাল্ড ডন টলন (ইংরেজি: Don Tallon; জন্ম: ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৬ - মৃত্যু: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৪) কুইন্সল্যান্ডের বুন্দাবার্গ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ছিলেন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৩ সালের মধ্যবর্তী সময়কালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে তাকে সর্বাপেক্ষা সফল ও টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা উইকেট-কিপার হিসেবে চিত্রিত করা হয়ে থাকে।[১] ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন ‘ডিফি’ ডাকনামে পরিচিত ডন টলন।
![]() | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডোনাল্ড টলন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বুন্দাবার্গ, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া | ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯১৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪ বুন্দাবার্গ, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৬৮)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | "ডিফি" | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-কিপার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬৯) | ২৯ মার্চ ১৯৪৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৬ জুন ১৯৫৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৩/৩৪–১৯৫৩/৫৪ | কুইন্সল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাকুইন্সল্যান্ডের বুন্দাবার্গ এলাকায় চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেন। সেখানেই দলীয় অধিনায়ক ও টেস্ট খেলোয়াড় অ্যালান কিপাক্সের দৃষ্টিতে পড়েন তিনি।[২] ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে কুখ্যাত বডিলাইন সফরে আসা ডগলাস জারদিনের ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে খেলার জন্য কুইন্সল্যান্ডের সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন।[২] ইংল্যান্ডের ৩৭৬ রানের ইনিংসে টলন মাত্র পাঁচটি বাই রান দিয়েছিলেন ও টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সফলতম ব্যাটসম্যান হার্বার্ট সাটক্লিফকে স্ট্যাম্পিংয়ে সহায়তা করেন।[৩][৪] সতের বছর বয়সে ডিসেম্বর, ১৯৩৩ সালে ভিক্টোরিয়া বুশর্যাঞ্জার্সের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে।[৫]
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা১৮০ সে.মি. উচ্চতার অধিকারী ডন টলনের শারীরিক গড়ন ছিল আদর্শ উইকেট-কিপারের ন্যায়।[২] স্পিন বলের লাইন ও লেন্থ বুঝে ঝাঁপ দেয়া ও স্ট্যাম্পিংয়ে অসম্ভব দক্ষতা ছিল তার।[৬] সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৫০টি কট ও ৮টি স্ট্যাম্পিংসহ সর্বমোট ৫৮টি ডিসমিসালের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি।
১৯৩৫-৩৬ মৌসুমের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ও কুইন্সল্যান্ডের পক্ষে ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থানে অবস্থান করেন। তা স্বত্ত্বেও ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়নি।[৭] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নিয়মিত সদস্যদের অবসর কিংবা খেলায় আগ্রহ না থাকার প্রেক্ষিতে টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ ঘটে তার। ১৯৪৬ সালে ৩০ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ডন টলনের।
১৯৪৮ সালের ডন ব্র্যাডম্যানের ‘অপরাজেয় দলের’ অন্যতম সদস্য হিসেবে ইংল্যান্ড সফর করেন। ইংল্যান্ডে অপরাজেয় দলের সফরের পর তার স্বাস্থ্য ক্রমশঃ ভেঙ্গে পড়ে। ফলশ্রুতিতে ১৯৪৯-৫০ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে পারেননি।[৮] ১৯৫০-৫১ মৌসুমে অ্যাশেজ সিরিজে তার স্থান হয়।[৯] ক্যাচ নেয়ায় পারঙ্গমতা দেখালেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন তিনি। এরফলে ১৯৫১-৫২ মৌসুমে দলে তার ঠাঁই হয়নি। এ সময়ে তার শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে থাকে।[১০] ফলে তিনি ‘ডিফি’ ডাকনামে পরিচিতি পান।[১১] ১৯৫৩ সালে পুনরায় ইংল্যান্ড সফরে দলের সঙ্গী হন। প্রথম টেস্টে অংশগ্রহণ করলেও পরবর্তী টেস্টগুলোয় তার পরিবর্তে জিল ল্যাংলি স্থলাভিষিক্ত হন। এবার তাকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বাদ দেয়া হয়।[৯]
অবসর
সম্পাদনাজাতীয় দল থেকে উপেক্ষিত হবার ফলে ১৯৫৩ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তিনি বুন্দাবার্গে ফিরে আসেন। সেখানে ভাইয়ের সাথে একটি কর্নার স্টোর পরিচালনা করেন।[১২] ৬৮ বছর বয়সে তার দেহাবসান ঘটে।
১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে তার চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের কারণে উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাকে অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে ঘোষণা করে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Players and Officials - Don Tallon"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-০৮।
- ↑ ক খ গ Perry, p. 187.
- ↑ "Wisden 1949 - Don Tallon"। Wisden। ১৯৪৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৫-৩১।
- ↑ Lemmon, p. 100.
- ↑ Cashman, Franks, Maxwell, Sainsbury, Stoddart, Weaver, Webster (১৯৯৭)। The A-Z of Australian cricketers। পৃষ্ঠা 289–290। আইএসবিএন 0-19-550604-9।
- ↑ Perry, p. 191.
- ↑ Perry, p. 190.
- ↑ Pollard (1990), p. 26.
- ↑ ক খ "Player Oracle D Tallon"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-১৪।
- ↑ Pollard (1990), p. 67.
- ↑ Perry, p. 204.
- ↑ Perry, p. 205.
আরও দেখুন
সম্পাদনাগ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Fingleton, Jack (১৯৪৯)। Brightly fades the Don। London: Collins। ওসিএলসি 2943894।
- Haigh, Gideon (১৯৯৭)। The summer game: Australia in test cricket 1949–71। Melbourne: Text Publishing। আইএসবিএন 1-875847-44-8।
- Lemmon, David (১৯৮৪)। The great wicket-keepers। London: Stanley Paul। আইএসবিএন 0-09-155210-9।
- Perry, Roland (২০০১)। Bradman's best: Sir Donald Bradman's selection of the best team in cricket history। Milsons Point, New South Wales: Random House Australia। আইএসবিএন 0-09-184051-1।
- Piesse, Ken (২০০৩)। Cricket's Colosseum: 125 Years of Test Cricket at the MCG। South Yarra, Victoria: Hardie Grant Books। আইএসবিএন 1-74066-064-1।
- Pollard, Jack (১৯৮৮)। The Bradman Years: Australian Cricket 1918–48। North Ryde, New South Wales: Harper Collins। আইএসবিএন 0-207-15596-8।
- Pollard, Jack (১৯৯০)। From Bradman to Border: Australian Cricket 1948–89। North Ryde, New South Wales: Harper Collins। আইএসবিএন 0-207-16124-0।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ডন টলন (ইংরেজি)