ট্যুরিস্ট পুলিশ বা পর্যটন পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষ শাখা। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও পর্যটকদের বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্তে ২০১৩ সালে ট্যুরিস্ট পুলিশের যাত্রা শুরু হয়।[২][৩] বর্তমানে টুরিস্ট পুলিশের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত আছেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান[৪][৫]

ট্যুরিস্ট পুলিশ
ট্যুরিস্ট পুলিশের মানোগ্রাম
ট্যুরিস্ট পুলিশের মানোগ্রাম
সংস্থা পরিদর্শন
প্রতিষ্ঠাকাল২০১৩
অঞ্চল কাঠামো
পরিচালনার অঞ্চল বাংলাদেশ
পরিচালনামূলক কাঠামো
প্রধান কার্যালয়ফারইষ্ট টাওয়ার (লেভেল-১৮), তোপখানা রোড, পুরান পল্টন, ঢাকা - ১০০০।

মোবাইলঃ ০১৩২০২২২২২২, টেলিফোনঃ +৮৮-০২২২৪৪০৫৭২১,

ফ্যাক্সঃ +৮৮-০২-৮৩৯৬৬১৩
সংস্থার কার্যনির্বাহক
মাতৃ-সংস্থাবাংলাদেশ পুলিশ
ওয়েবসাইট
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

বিবরণ সম্পাদনা

৩১ ডিসেম্ব ২০১৩ সালে ট্যুরিস্ট পুলিশের পূর্ণাঙ্গ যাত্রা শুরু হয়। কক্সবাজার, টেকনাফ, কুয়াকাটা, সিলেটের জাফলং, বিছানাকান্দি, মাধবকুণ্ড, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, সোনারগাঁ জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ও জাতীয় চিড়িয়াখানায় সহ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, নাটোর, নওগাঁ, বগুড়া ও সুন্দরবন এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ২০১৭ সালে মোবাইল অ্যাপ 'হ্যালো ট্যুরিস্ট ' চালু করে পর্যটন শিল্পে ট্যুরিস্ট পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।[৬][৭][৮][৯]

ট্যুরিস্ট পুলিশ খুলনা অঞ্চল সম্পাদনা

ভ্রমণপিপাসুদের ভ্রমণ উপভোগময় এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনে খুলনা বিভাগ পর্যটন আকর্ষণ এলাকাসমুহ[১০] ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ খুলনা অঞ্চল। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন ও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া সুন্দরবন[১১] রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের খুলনা অঞ্চলের আওতায়। একজন অতিরিক্ত ডিআইজি ও একজন পুলিশ সুপার (বর্তমান দায়িত্বে) দেওয়ান লালন আহমেদ এর নেতৃত্বে পাঁচটি উপ-অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশের দক্ষিণের এই অঞ্চল। [১২] মোট ছয়টি পর্যটন এলাকা রয়েছে এর আওতায়, যেগুলো হলো- সুন্দরবন, বাগেরহাট[১৩], সাতক্ষীরা [১৪], গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া[১৫], কুষ্টিয়া[১৬] ও মেহেরপুরমেহেরপুর

২০০৯ সালে বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাবেলা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমনরত স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে গঠিত হয় পর্যটন পুলিশ। এরপর পর্যটন শিল্পে গতি আনার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের নভেম্বরে গঠিত হয়-ট্যুরিস্ট পুলিশ। পুলিশের বিশেষায়িত এই ইউনিটের সব তৎপরতাই পর্যটকদের কেন্দ্র করে। পর্যটকদের সহায়তায় ৫টি বিষয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে আসছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এগুলো হচ্ছে- পর্যটকদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা, ভ্রমণ অনুকুল পরিবেশ নিশ্চিত করা, পর্যটকদের আইনগত সহায়তা প্রদান, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব বজায় রাখা। ট্যুরিস্ট পুলিশের খুলনা অঞ্চলের পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ [১৭] জানান,দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ পর্যটন সম্পদ ধ্বংস প্রতিরোধ ও প্রত্নসম্পদ চুরি ঠেকাতেও কাজ করছেন তারা। পর্যটকদের যে কোনো সমস্যা সমাধান, হয়রানি রোধ, বখাটে ও সন্ত্রাসীদেরতৎপরতা প্রতিহত করতে প্রতিটি দর্শনীয় এলাকায় ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত আছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান হলেন ডিআইজি হাবিব"ঢাকা পোষ্ট। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২২ 
  2. ঢাকা, নিজস্ব প্রতিবেদক। "ট্যুরিস্ট পুলিশের কাজকে ইতিবাচক মনে করেন ৮৬ ভাগ পর্যটক: জরিপ"www.prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৭ 
  3. "ট্যুরিস্ট পুলিশের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সোমবার | বাণিজ্য"সময় সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ 
  4. "ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান হলেন ডিআইজি হাবিবুর রহমান"www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৭ 
  5. sun, daily। "Habib made Tourist Police chief | Daily Sun"daily sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৭ 
  6. "Tourist police to ensure security of tourists"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ আগস্ট ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৭ 
  7. "বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০"bdlaws.minlaw.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৭ 
  8. "Bangladesh Police"police.gov.bd। ১৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৭ 
  9. "Tourist Police Bangladesh unveils Hello Tourist safety app | Dhaka Tribune"Dhaka Tribune। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৭ 
  10. খুলনা বিভাগ: পর্যটন আকর্ষণ
  11. সুন্দরবন
  12. ট্যুরিস্ট পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ
  13. বাগেরহাট
  14. সাতক্ষীরা
  15. গোপালগঞ্জ
  16. কুষ্টিয়া
  17. ট্যুরিস্ট পুলিশ খুলনা অঞ্চলের পুলিশ সুপার

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা