টেড পিট

ইংরেজ ক্রিকেটার

এডমন্ড টেড পিট (ইংরেজি: Ted Peate; জন্ম: ২ মার্চ, ১৮৫৫ - মৃত্যু: ১১ মার্চ, ১৯০০) ইয়র্কশায়ারের লিডসের হলবেক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এডমন্ড পিট নামে পরিচিত টেড পিট। ১৮৭৯ থেকে ১৮৯০ সাল পর্যন্ত তার খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।

টেড পিট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
এডমন্ড পিট
জন্ম(১৮৫৫-০৩-০২)২ মার্চ ১৮৫৫
হলবেক, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১১ মার্চ ১৯০০(1900-03-11) (বয়স ৪৫)
হর্সফোর্থ, ইয়র্কস., ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট আর্ম অর্থোডক্স
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩২)
৩১ ডিসেম্বর ১৮৮১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট৭ জুলাই ১৮৮৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৭৯–১৮৮৭ইয়র্কশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২০৯
রানের সংখ্যা ৭০ ২,৩৮৪
ব্যাটিং গড় ১১.৬৬ ১০.৬৪
১০০/৫০ ০/০ ০/৩
সর্বোচ্চ রান ১৩ ৯৫
বল করেছে ২,০৯৬ ৪৭,১১৬
উইকেট ৩১ ১,০৭৬
বোলিং গড় ২২.০৩ ১৩.৪৯
ইনিংসে ৫ উইকেট ৯৪
ম্যাচে ১০ উইকেট ২৭
সেরা বোলিং ৬/৮৫ ৮/৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ১৩২/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ

সম্পাদনা

১৮৭৯ সালে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে খেলার সুযোগ পান তিনি। মৌসুম শেষ হবার পূর্বেই ডব্লিউ. জি. গ্রেস লিখেছিলেন, ইংল্যান্ডের সেরা বোলার হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। প্রত্যেক বছরই তিনি সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন। দল সহযোগিতা করুক বা না করুক নিজেকে প্রকাশ করেছেন তিনি স্ব-মহিমায়। উল্লেখ্য, গ্রেস তার বিপক্ষে সফলতা পেয়েছেন বেশি।[]

১৮৮০ সালে ক্রিকেট জগতের শীর্ষে আরোহণ করেন ও ১৮৮৪ সাল পর্যন্ত এ স্থান দখল করে রেখেছিলেন। আলফ্রেড শয়ের শূন্যস্থান দখল করেন। তার সময়ে আলফ্রেড শ ছিলেন ইংল্যান্ডের প্রথম-পছন্দের স্লো-বোলার। গোঁড়ালীর আঘাতের কারণে এক পক্ষকাল মাঠের বাইরে অবস্থান করলেও ১৮৮২ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে ২১৪ উইকেট তুলে নিয়ে নতুন রেকর্ডের জন্ম দেন। গ্রেসের ভাষায়, পিট এখন ইংল্যান্ডের সেরা স্লো-বোলার হিসেবে স্বীকৃত।[] ১৮৮১ সালে প্লেয়ার্সের সদস্যরূপে জেন্টলম্যানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলেন। পরবর্তী ছয় বছরও খেলাগুলোয় অংশ নিতেন। ১১ খেলার ২১ ইনিংসে অংশ নিয়ে ৯৯৬ রান খরচায় ২৫.৫৩ গড়ে ৩৯ উইকেট লাভ করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

সম্পাদনা

৩১ ডিসেম্বর, ১৮৮১ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়। একই দলের বিপক্ষে ৭ জুলাই, ১৮৮৬ তারিখে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন।

তার সেরা সময়ের পাশাপাশি বাজে সময় সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৮৮২ সালের ওভাল টেস্টে। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের সর্বশেষ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন। তখন দলের জয়ের জন্য মাত্র দশ রানের প্রয়োজন ছিল। হ্যারি বয়েলের বলে বোল্ড হবার পূর্বে তিনি মাত্র দুই রান তুলতে পেরেছিলেন। এরফলে অস্ট্রেলীয়রা প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদের প্রথম টেস্ট জয়ে সমর্থ হয়। ড্রেসিং-রুমে ফেরার পর তিনি তার তুলনায় সেরা চার্লস স্টাডের প্রতি অসন্তুষ্টিজ্ঞাপন করেন। পিট মন্তব্য করেন যে, আমি জনাব স্টাডকে বিশ্বাস করি না। তবে, ইংরেজ ক্রিকেটের মৃত্যুর বিষয়ে ২ সেপ্টেম্বর, ১৮৮২ তারিখে দ্য স্পোর্টিং টাইমস এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ৩০ আগস্ট, ১৮৮২ তারিখে সি. ডব্লিউ. অ্যালককের ক্রিকেটেও একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।[]

তার সামনে অনেক বছর খেলার সুযোগ থাকলেও ওজন এবং অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে তা থেকে তাকে বঞ্চিত হতে হয়। ১৮৮৬ সালের গ্রীষ্মে দেখা যায় যে, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অংশগ্রহণ অনেকাংশেই সীমিত হয়ে এসেছে। জীবনের প্রতি আরও যত্নশীল হলে তিনি হয়তো আরও বেশিদিন জীবিত থাকতেন।

খেলোয়াড়ী জীবনে বোলার হিসেবে তিনি কখনো পুরোপুরি দক্ষতা হারাননি। এমনকি জীবনের শেষদিকে বা দুই বছর পূর্বেও তিনি লিডসের সর্বত্র ক্লাব ক্রিকেটে সফলতা পেয়েছেন।

১১ মার্চ, ১৯০০ তারিখে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ইয়র্কশায়ারের হর্সফোর্থের নিউলে এলাকায় তার দেহাবসান ঘটে। জন্ম নিবন্ধন সনদে তিনি এডমন্ড পিট নামে উল্লেখিত হন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Grace, W.G.: Cricket (J.W. Arrowsmith, 1891), p. 353.
  2. Grace, op. cit., p. 168.
  3. Alcock, C. W., (ed.), Cricket: a Weekly Record of The Game dated 31 August 1882

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা