টাউঙ্গু

মিয়ানমারের বাগো অঞ্চলের নগরী

টাউঙ্গু (বর্মী: တောင်ငူမြို့; স'গাও কারেন: တီ အူ; টউঙ্গু হিসেবেও লেখা হয়) ইয়াঙ্গুন থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের বাগো অঞ্চলের একটি শহর। এর পূর্ব এবং পশ্চিমে পর্বতমালা আছে এবং এটি বাগো অঞ্চলের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। এই শহরের প্রধান শিল্প হলো বনজ পণ্য। পাহাড়ে সেগুনসহ অন্যান্য কাঠ পাওয়া যায়।

টউঙ্গু
တောင်ငူမြို့
শহর
টউঙ্গুর স্কাইলাইন
টউঙ্গু মিয়ানমার-এ অবস্থিত
টউঙ্গু
টউঙ্গু
মিয়ানমারে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ১৮°৫৬′ উত্তর ৯৬°২৬′ পূর্ব / ১৮.৯৩৩° উত্তর ৯৬.৪৩৩° পূর্ব / 18.933; 96.433
দেশ মিয়ানমার
বিভাগবাগো অঞ্চল
জেলাটাউঙ্গু জেলা
প্রতিষ্ঠা১৭ এপ্রিল, ১২৭৯
সরকার
 • ধরনজেলা সরকার ও শহরাঞ্চল সরকার
জনসংখ্যা (২০১৪)[১]
 • পৌর এলাকা১,০৮,৫৬৯
 • নৃগোষ্ঠীবামার কারেন
 • ReligionsTheravada Buddhism Christianity
সময় অঞ্চলমায়ানমার মান সময় (ইউটিসি+৬:৩০)
পুরানো পোস্টকার্ড

টউঙ্গু রাজবংশের জন্য শহরটি বর্মী ইতিহাসে বিখ্যাত। এই রাজবংশ ১৬শ থেকে ১৮শ শতাব্দী পর্যন্ত ২০০ বছরেরও বেশি সময় মিয়ানমার শাসন করে। টাউঙ্গু ১৫১০-১৫৩৯ এবং ১৫৫১-১৫৫২ সালে বার্মার রাজধানী ছিল।

টাউঙ্গু শহর হলো সামরিক বাহিনীর দক্ষিণ কমান্ড বিভাগ অঞ্চলের কেন্দ্রীয় কমান্ড। হানতাওয়াদি ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব টাউঙ্গুতে অবস্থিত।

টাউঙ্গুর পালি নাম হলো কেতুমাদি (ကေတုမဒီ)।[২]

ইতিহাস সম্পাদনা

দক্ষিণ দিকে সম্প্রসারণের অংশ হিসাবে পাগান সাম্রাজ্যের শেষের দিনগুলোতে ১২৭৯ সালে টাউঙ্গু প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১২৮৭ সালে পাগান সাম্রাজ্যের পতনের পরে, টাউঙ্গু মিনসেইং রাজ্য এবং পরে পিন্যা রাজ্যের অধীনে আসে। ১৩৫৮ সালে টাউঙ্গু সাফল্যের সাথে বিদ্রোহ করেছিল এবং ১৩৬৭ সাল পর্যন্ত স্বাধীন থাকে। এরপর আভা রাজ্যের নামমাত্র অংশ হয়ে যায়। এর শাসকরা বৃহত্তর আভা ও হানতাওয়াদি রাজ্যের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করে স্বায়ত্তশাসন বজায় রেখেছিল। ১৪৭০ সালে, আভা আরও একটি বিদ্রোহ বাতিল করে এবং বিদ্রোহকে পরাজিতকারী জেনারেল, সিথু কিয়াউতিনকে গভর্নর হিসেবে পদোন্নতি দেন। সিথু কিয়াউতিনের নাতি মিংগি নিয়ো ১৪৮৫ সালে টাউঙ্গুর গভর্নর হন। মিংগি নিয়োর নেতৃত্বে রাজত্বটি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ১৫১০ সালের অক্টোবরে মিংগি নিয়ো আনুষ্ঠানিকভাবে আভা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে টাউঙ্গু রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।[৩]

মিংগি নিয়ের উত্তরসূরীরা তাবিনেশোয়েহতি এবং বায়িনাউং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাসের বৃহত্তম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল।[৪] তবে টাউঙ্গু বেশিদিন রাজধানী ছিল না। ১৫৯৯ সালে তাবিনেশোয়েহতি রাজ্যের রাজধানী পেগুতে (বাগো) স্থানান্তরিত করেন। ১৫৯৯ সালে টাউঙ্গুর দ্বিতীয় ভাইসরয় মিনিয়ে থিহাথু নিজেকে রাজা হিসেবে ঘোষণা করার পর শহরটি স্বল্প সময়ের জন্য আবারও একটি রাজধানী হয়। ১৫৯৯ সালের ডিসেম্বরে, পর্তুগিজ সৈন্যদের সহায়তায় আরাকানিজ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় টাউঙ্গুর বাহিনী বাগোকে আক্রমণ করে। ১৬০৯ সালে নাটশিনাউং যখন টাউঙ্গুর সিংহাসনে আরোহণ করে, তখন বিদ্রোহী নগররাষ্ট্র আরও দশ বছর ধরে স্বাধীন ছিল। পরের বছর, রাজা আনউকপেটলুন টাউঙ্গুকে দখল করেছিলেন এবং শাসকদের বংশের অবসান ঘটিয়েছিলেন।[৫] কিছু দৃশ্যমান ঐতিহাসিক নিদর্শন এখনো আছে। দক্ষিণ প্রাচীরের অংশ ব্যতীত ইটের শহরের প্রাচীরের চারদিক এখনো রয়েছে। ৯.৬ মিটার প্রশস্ত দুর্পগরিখার শুধুমাত্র পূর্ব দিকের একটি অংশটি এখনও বজায় রয়েছে।

উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, টাউঙ্গু কোনবাউং রাজদের দ্বারা নিযুক্ত স্থানীয় গভর্নর দ্বারা পরিচালিত ছিল। টাউঙ্গু জেলাতে আজকের প্যিনমানা (এবং নাইপ্যিডাও) অঞ্চল সহ ৫২টি ওয়ার্ড ছিল। দ্বিতীয় অ্যাংলো-বার্মিজ যুদ্ধের পরে জেলাটিকে দুইভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। ব্রিটিশরা টাউঙ্গু শহর সহ দক্ষিণের অর্ধেক অংশ দখল করেছিল এবং প্যিনমানা ও ইলা সহ উত্তর অংশটি বর্মীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।[৬]

১৯৪০ সালে, ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্স শহরের উত্তরে একটি বিমানঘাঁটি তৈরি করেছিল। এই বিমানঘাঁটি ১৯৪১ সালের আগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ পর্যন্ত প্রথম আমেরিকান স্বেচ্ছাসেবক দলের জন্য প্রশিক্ষণ ও সহায়তা কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আমেরিকান এই দল জনপ্রিয়ভাবে 'ফ্লায়িং টাইগার' বা 'উড়ন্ত বাঘ' হিসাবে পরিচিত ছিল।২০১০ সালের ১৬ অক্টোবর শহরের অনেকগুলো স্থান পুনর্গঠন ও সংস্কারের মধ্য দিয়ে টাউঙ্গুর ৫০০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।[৩]

জলবায়ু সম্পাদনা

কোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, টাউঙ্গুর ক্রান্তীয় সাভানা জলবায়ু রয়েছে। এর জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর কাছাকাছি। সারা বছরের তাপমাত্রা উষ্ণ। বর্ষার কয়েক মাস আগে (মার্চ-মে) অনেক গরম থাকে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫° সে (৯৫ ° ফাঃ) ছাড়িয়ে যায়। এখানে শীতকালীন শুকনো মরসুম (নভেম্বর-মার্চ) এবং গ্রীষ্মকালীন ভেজা মরসুম (এপ্রিল-অক্টোবর) থাকে।

টাউঙ্গু (১৯৮১–২০১০)-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) ৩৫.৬
(৯৬.১)
৪০.০
(১০৪.০)
৪২.৮
(১০৯.০)
৪২.৮
(১০৯.০)
৪২.২
(১০৮.০)
৩৮.৯
(১০২.০)
৩৭.২
(৯৯.০)
৩৬.১
(৯৭.০)
৩৭.২
(৯৯.০)
৩৭.২
(৯৯.০)
৩৫.০
(৯৫.০)
৩৮.৯
(১০২.০)
৪২.৮
(১০৯.০)
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) ৩০.৯
(৮৭.৬)
৩৩.৯
(৯৩.০)
৩৬.৬
(৯৭.৯)
৩৭.৯
(১০০.২)
৩৫.১
(৯৫.২)
৩১.১
(৮৮.০)
৩০.২
(৮৬.৪)
৩০.১
(৮৬.২)
৩১.৬
(৮৮.৯)
৩২.৭
(৯০.৯)
৩১.৫
(৮৮.৭)
৩০.২
(৮৬.৪)
৩২.৭
(৯০.৯)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) ১৫.০
(৫৯.০)
১৬.৫
(৬১.৭)
২০.৪
(৬৮.৭)
২৪.৩
(৭৫.৭)
২৪.৬
(৭৬.৩)
২৩.৯
(৭৫.০)
২৩.৭
(৭৪.৭)
২৩.৮
(৭৪.৮)
২৩.৮
(৭৪.৮)
২৩.৩
(৭৩.৯)
২০.৪
(৬৮.৭)
১৬.৫
(৬১.৭)
২১.৪
(৭০.৫)
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) ৮.৩
(৪৬.৯)
৮.৩
(৪৬.৯)
১২.২
(৫৪.০)
১৬.১
(৬১.০)
১৩.৯
(৫৭.০)
১৮.৩
(৬৪.৯)
২১.১
(৭০.০)
২০.০
(৬৮.০)
১৭.৮
(৬৪.০)
১৭.৮
(৬৪.০)
১২.২
(৫৪.০)
৯.৪
(৪৮.৯)
৮.৩
(৪৬.৯)
বৃষ্টিপাতের গড় মিমি (ইঞ্চি) ২.৬
(০.১০)
৪.০
(০.১৬)
৭.৩
(০.২৯)
৩২.৬
(১.২৮)
২০৪.৩
(৮.০৪)
৩৫৫.৯
(১৪.০১)
৪১৭.৭
(১৬.৪৪)
৪৫১.৭
(১৭.৭৮)
২৮২.৫
(১১.১২)
১৪৯.৯
(৫.৯০)
৪৮.০
(১.৮৯)
২.৬
(০.১০)
১,৯৫৯.১
(৭৭.১৩)
উৎস ১: Norwegian Meteorological Institute[৭]
উৎস ২: Sistema de Clasificación Bioclimática Mundial (records)[৮]

প্রশাসন সম্পাদনা

  • টাউঙ্গু জেলা (জেলার মধ্যে ৬টি শহরাঞ্চল আছে। যথা- টাউঙ্গু, ফিউ, ইয়েদাশে, তান্তাবিন, কিয়াউকী, অকতুইন)
  • টাউঙ্গু শহরাঞ্চল
  • টাউঙ্গু ওয়ার্ড- ২৩টি ওয়ার্ড
  • টাউঙ্গু পৌরসভা
  • জেলা এবং শহরাঞ্চল অভিবাসন বিভাগ
  • মিয়ানমার কাঠ এন্টারপ্রাইজ
  • অর্থ ও কর বিভাগ
  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
  • জেলা ও শহরাঞ্চল শিক্ষা বিভাগ
  • স্বাস্থ্য বিভাগ
  • জেলা ও শহরাঞ্চল বন বিভাগ
  • এমপিপিই
  • টাউঙ্গু সংশোধন বিভাগে টাউঙ্গু কারাগার
  • টাউঙ্গু ডাকঘর
  • টাউঙ্গু টেলিকম স্টেশন
  • মিয়ানমার টেলিভিশন সাব স্টেশন
  • মায়াওয়াদি টেলিভিশন সাব-স্টেশন
  • ইউনিয়ন সংহতি ও উন্নয়ন সমিতি
  • মায়ানমার মাতৃ ও শিশু কল্যাণ সমিতি
  • মিয়ানমার মহিলা বিষয়ক ফেডারেশন
  • টাউঙ্গু শহরাঞ্চল এবং জেলা আদালত
  • "মহা মাইত্তার" শিক্ষা ফাউন্ডেশন

জরুরী বিভাগ সম্পাদনা

  • ১ নং থানা টাউঙ্গু
  • ২ নং থানা টাউঙ্গু
  • ৩ নং থানা টাউঙ্গু
  • টাউঙ্গু জেলা পুলিশ বাহিনী
  • টাঙ্গু শহরাঞ্চল পুলিশ বাহিনী
  • ৫ নং বিভাগ রেলওয়ে পুলিশ বাহিনী, টাউঙ্গু
  • টাউঙ্গু মোটর যানবাহন থানা
  • টাউঙ্গু ফায়ার স্টেশন কমান্ড (একটি সহায়তা যান রয়েছে)
  • টাউঙ্গু শহরাঞ্চল ফায়ার স্টেশন নং ১ (৩টি ইঞ্জিন)
  • টাউঙ্গু শহরাঞ্চল ফায়ার স্টেশন নং ২ (২টি ইঞ্জিন)
  • মইয়ানমার রেড ক্রস সোসাইটি, টাঙ্গু - অ্যাম্বুলেন্স
  • বৈদ্যুতিক বিভাগ
  • টাউঙ্গু আবহাওয়া স্টেশন

সামরিক এবং অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা সম্পাদনা

  • দক্ষিণ কমান্ড - কায়তুমাদি নতুন শহর
  • টাউঙ্গু বিমান বাহিনী
  • বেস নং. ৪৭ হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রন
  • অস্ত্রাগার বিভাগ
  • আর্টিলারি বিভাগ
  • পুলিশ ব্যাটালিয়ন, টাউঙ্গু - প্রশিক্ষণ স্কুল
  • ৩ নং ফিল্ড মেডিকেল ব্যাটালিয়ন
  • বিশেষ তদন্ত প্রশিক্ষণ ব্যুরো
  • টাউঙ্গু কারা অধিদপ্তর

আকর্ষণসমূহ সম্পাদনা

 
রাজা মিংগি নিয়োর মূর্তি
  • শোয়ে সান তাও প্যাগোডা (রাজা মিংগি নিয়ো নির্মিত)
  • কাউং হমু তাও প্যাগোডা
  • মায়া সি গন প্যাগোডা
  • মিয়াত সো নি নাউং প্যাগোদা
  • কায়লাজার্তি প্যাগোডা (রাজা বায়িনাউং দ্বারা নির্মিত)
  • রাজা বায়িনাউং এর মূর্তি
  • রাজা মিংগি নিয়োর মূর্তি
  • বগ্যোক অং সানের মূর্তি
  • কান্তাওগি বাগান
  • রয়েল কায়তুমাদি হোটেল
  • টাউঙ্গু কিওন
  • টাউঙ্গু গাই পুরাতন শহর
  • টাউঙ্গু নেগে পুরাতন শহর
  • দ্বারাইয়ারওয়ডি পুরাতন শহর
  • দানিয়াওয়াদি পুরাতন শহর
  • ফো কিয়ার হাতির বাগান
  • পাথি চিক
  • সীততাং নদী
  • নাও বু পাও পর্বত (কায়িন রাজ্যে, সমুদ্র পৃষ্ঠের উপরে ৪,৮২৪ ফুট)
  • থাউ দাউং কি পাহাড়ি শহর

তদন্তকারী সংস্থা সম্পাদনা

  • সামরিক গোয়েন্দা নং ৩ (এমআই)
  • বিশেষ গোয়েন্দা (বিশেষ শাখা) এসবি
  • বিশেষ তদন্ত ব্যুরো (বিএসআই)
  • বিশেষ পুলিশ বাহিনী
  • মাদক

জনমিতি সম্পাদনা

২০১৪ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী টাউঙ্গুর জনসংখ্যা ছিল ১,০৮,৫৬৯ জন। ১৯৮৩ সালে ছিল ৬৫,৮৫১ জন।[১]

টাউঙ্গুর সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী হলো বামার (বার্মান)। শহরের পূর্ব দিকে কিছুসংখ্যক কায়িন (কারেন) গোষ্ঠীও রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে চীনা, ভারতীয়, শান এবং কায়াহ জনগোষ্ঠী।

বেশিরভাগ বাসিন্দাই থেরবাদ বৌদ্ধ। এরপরে আছে ব্যাপ্টিস্ট ও রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টান। টাউঙ্গুতে কারেন খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকটি সদরদপ্তর ও গির্জা রয়েছে।

পরিবহন সম্পাদনা

টাউঙ্গু যাওয়ার প্রধান পরিবহন হলো রেলপথ ও মোটরযান।

 
টউঙ্গু রেলস্টেশন।

রেল সম্পাদনা

টাঙ্গু রেলওয়ে স্টেশনটি মিয়ানমার রেলপথের প্রধান উত্তর লাইনে অবস্থিত এবং টাউঙ্গু হাইওয়ে বাস স্টেশনটি দেশীয় বাস লাইন দ্বারা পরিবেশন করা হয়।

ইন্ট্রা শহর পরিবহনটি মূলত একটি বৃত্তাকার রেল লাইনের মাধ্যম যা টাউঙ্গু জেলা এবং বাস লাইনের আশেপাশে সেবা দেয়।

  • গন্ডাভিন এক্সপ্রেস বাস
  • ইওমা এক্সপ্রেস বাস
  • জায়ে ইয়ার শোয়ে পী এক্সপ্রেস বাস
  • সায় তামান এক্সপ্রেস বাস
  • সেইন ম্যিত্তার এক্সপ্রেস বাস
  • শ্যু ম্যান থু এক্সপ্রেস বাস
  • তাও উইন এক্সপ্রেস বাস (নাইপাইটাও)
  • তাবিন শোয়েহতি এক্সপ্রেস বাস
  • মায়া ইয়াদানা এক্সপ্রেস বাস (মান্দালয়)
  • শো লোন পাইয়ান এক্সপ্রেস বাস (টাংগেই)
  • পিউ মিন থার (পাই)

রাস্তা সম্পাদনা

দুটি প্রধান স্থলসেতু রয়েছে: সীততাং নদী ও কাফং নদীর ওপরে।

আকাশপথ সম্পাদনা

টাউঙ্গু বিমানবন্দর এই অঞ্চলের একমাত্র বিমানবন্দর এবং মিয়ানমার বিমান বাহিনীর সামরিক-একমাত্র বিমান ঘাঁটি। এমএএফ নং.৪৭ হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রন এই বিমানবন্দরে অবস্থান করছে।

শিক্ষা সম্পাদনা

 
বেসিক এডুকেশন উচ্চ বিদ্যালয় নং ৪

উচ্চ বিদ্যালয় সম্পাদনা

টাঙ্গুর এগারোটি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ সম্পাদনা

  • টাউঙ্গু বিশ্ববিদ্যালয়
  • টাউঙ্গু শিক্ষা কলেজ
  • কম্পিউটার শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়
  • প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  • সরকারি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট

নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি স্কুল সম্পাদনা

  • টাউঙ্গু নার্সিং প্রশিক্ষণ স্কুল
  • টাউঙ্গু মিডওয়াইফারি প্রশিক্ষণ স্কুল

ধর্মীয় স্কুল সম্পাদনা

  • পাকু ধর্মীয় স্কুল
  • সেন্ট পিটারের বাইবেল স্কুল (অ্যাংলিকান)

স্বাস্থ্যসেবা সম্পাদনা

  • টাউঙ্গু জেনারেল হাসপাতাল
  • টাউঙ্গু রেলওয়ে হাসপাতাল
  • টাউঙ্গু ঐতিহ্যগত হাসপাতাল
  • প্রতিরক্ষা পরিষেবা জেনারেল হাসপাতাল
  • থো থি কো হাসপাতাল
  • কায়তু হাসপাতাল
  • রয়েল হাসপাতাল
  • মিয়াত থিটসার হাসপাতাল
 
কান্দাওগি

প্রধান স্থানসমূহ সম্পাদনা

  • থারগায়া এলিফ্যান্ট ক্যাম্প
  • কান্দাওগি বাগান
  • কায়তুমাদী বাগান
  • কাফং ক্রিক বসেতু
  • সীততাং ব্রিজ
  • বৈদ্যুতিন গ্রন্থাগার
  • টাউঙ্গু জিম
  • টাউঙ্গু স্টেডিয়াম
  • খা বাউং হল
  • টাউঙ্গু পৌর বাজার
  • টাউঙ্গু বাজার
  • বায়িনাউং বাজার

উল্লেখযোগ্য বাসিন্দা সম্পাদনা

  • ডঃ স দুর্মায় (পো মিন), বার্মা-ভারতের লোয়াল কারেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সাদা হাতির মালিক এবং কারেনের প্রধান পুরোহিতের বংশধর[৯][১০]
  • রিঙ্গো ওরফে মাউং ​​মাউং লুইন, গায়ক, সুরকার, এবং গিটারিস্ট[১১]
  • নাও লি জার, গায়ক এবং সুরকার[১২]
  • পূর্ব বাগো বিভাগ মাদকবিরোধী অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও পুলিশ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান (উপপরিচালক)[১৩]
  • সোয়ে পিয়ায়ে থাজিন, অভিনেত্রী

গ্যালারি সম্পাদনা


তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Myanmar"City Population। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৮ 
  2. The Baptist Missionary Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮৫৬। 
  3. Shwe Yinnma Oo (২০১০-০৮-০২)। "Taungoo prepares for 500th birthday"The Myanmar Times। ৪ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. Victor B Lieberman (২০০৩)। Strange Parallels: Southeast Asia in Global Context, c. 800-1830, volume 1, Integration on the Mainland। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 150–154। 
  5. Maung Htin Aung (১৯৬৭)। A History of Burma। New York and London: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 140 
  6. Sir James George Scott, John Percy Hardiman (১৯০১)। Gazetteer of Upper Burma and the Shan States, Part 23। Printed by the superintendent, Government printing, Burma। পৃষ্ঠা 374। 
  7. "Myanmar Climate Report" (পিডিএফ)। Norwegian Meteorological Institute। পৃষ্ঠা 23–36। ৮ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮ 
  8. "Toungoo (Myanmar)" (পিডিএফ)। Centro de Investigaciones Fitosociológicas। ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  9. "Saw Durmay (Po Min) in Myanmar"। Dan_Koehl#Elephant_Encyclopedia|Koehl D, Elephant Encyclopedia। ১ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১২ 
  10. San C. Po, Dr. (১৯২৮)। "VII Karen Celebrities"Burma and the Karens। London: Elliott Stock। 
  11. "MyanmarMp3.net"। ২৫ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১২ 
  12. "MyanmarMp3.net"। ২৫ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১২ 
  13. "Kayin People's Party"। ৬ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা