জামেয়া আরাবিয়া শামছুল উলুম কারবালা মাদ্রাসা
জামিয়া আরাবিয়া শামসুল উলুম ( আরবি: الجامعة العربية شمس العلوم ) যা সংক্ষেপে কারবালা মাদরাসা নামে পরিচিত– হল বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে অবস্থিত বগুড়া জেলার একটি দেওবন্দী কওমি মাদরাসা। [১][২] এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ১ বছর পর ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উত্তরবঙ্গে ইসলাম প্রচার এবং ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক অবদান স্বীকৃত। [৩] এটি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ ও বাংলাদেশের দারুল উলুম হাটহাজারি মাদরাসার আদলে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত হয়। [৪] এটি কওমি মাদরাসাসমূহের শিক্ষাবোর্ড তানযিমুল মাদারিসিদ্দিনিয়া বাংলাদেশের অধিভুক্ত এবং বোর্ড নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষার ফলাফলে কৃতিত্বের দাবিদার। [৫][৬]
অন্যান্য নাম | কারবালা মাদ্রাসা |
---|---|
ধরন | কওমি মাদ্রাসা |
স্থাপিত | ১৯৭২ |
প্রতিষ্ঠাতাগণ | খন্দকার ইয়াসীন আলী |
মূল প্রতিষ্ঠান | দারুল উলুম দেওবন্দ |
অধিভুক্তি | তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ |
ধর্মীয় অধিভুক্তি | ইসলাম |
বাজেট | ২,০০,০০০০০ |
শায়খুল হাদিস | মাওলানা কাজি ফজলুল করিম |
প্রধান মুফতি | মুফতি ছাইফুল ইসলাম |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৪০+ (২০২৩) |
শিক্ষার্থী | ১৫০০+ (২০২৩) |
দাওরায়ে হাদিস | আছে। |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | বগুড়া |
অবস্থান | |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
সিলেবাস ও শিক্ষাব্যবস্থা
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠাকাল থেকে এটি দরসে নিজামি অনুসরণ করে পরিচালিত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে এটি উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড তানযীমের অধিভুক্ত হয় এবং এতে কওমি সিলেবাসের সর্বনিম্ন স্তর মক্তব বিভাগ থেকে শুরু করে দাওরায়ে হাদিস তথা হাদিসে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। এর শিক্ষাস্তর থেকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়:
- ফোরকানিয়া (মক্তব বিভাগ)
- তাহফিজুল কোরআন ( হেফজ বিভাগ)
- আদ দিরাসাতুল ইসলামিয়া (কিতাব বিভাগ)
- কিসমুত তাজবিদ (কেরাত বিভাগ)
প্রশাসনিক কাঠামো
সম্পাদনাএটি একটি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধায় এটিতে অবস্থানকারী সকল ছাত্র ছাত্রাবাসে থাকা আবশ্যক। ছাত্রাবাসে কোনো রকমের রাজনৈতিক মিটিং মিছিল বা কার্যকলাপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
অন্যান্য কার্যক্রম
সম্পাদনামাদরাসায় মূল সিলেবাসের বাইরেও বেশ কিছু বিভাগ চালু রয়েছে। এমন অধিনস্ত বিভাগসমূহ হল :
- গ্রন্থাগার বিভাগ।
- প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ।
- ইসলামী আইন ও ফাতওয়া বিভাগ।
- ফ্রি চিকিৎসা বিভাগ।
- সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংক্রান্ত বিভাগ।
কৃতিত্ব
সম্পাদনাতানযীম ও আল হাইয়াতুল উলয়ার অধীনে অনুষ্ঠিত বোর্ড পরীক্ষায় প্রতি বছর মাদরাসার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান অর্জনে সক্ষম হয়। [৭]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "দেওবন্দী ফির্কা - AUTHENTIC ISLAM IN BANGLA"। sites.google.com। ২০২২-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৭।
- ↑ "কওমি মাদ্রাসার ইতিহাস | PDF"। Scribd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৭।
- ↑ "Aljamiatul Arabia Shamshul Ulum, Nishindara,(Karbala Madrasha) Bogura, - Religious school in"। www.indiainfo.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৭।
- ↑ Editor। "এলেঙ্গায় সাওতুল কুরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ"। দৈনিক ঢাকার ডাক (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৭।
- ↑ "তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ শিক্ষাবোর্ডের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফল প্রকাশ"। আওয়ার ইসলাম। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৭।
- ↑ লাইভ (ডেস্ক), বগুড়া (২০১৯-০৩-১০)। "বগুড়া কারবালা মাদরাসার খতমে বুখারী"। বগুড়া লাইভ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফল প্রকাশ | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। ২০১৪-০৭-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৭।