জামিল উদ্দিন আহমেদ
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল উদ্দিন আহমেদ যিনি কর্ণেল জামিল নামেই বেশি পরিচিত। (জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬- মৃত্যু: ১৫ আগস্ট ১৯৭৫) ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা। তিনি ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ছিলেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সামরিক সচিব হয়েও বিশ্বস্ত দেহরক্ষীর মত কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হন।[১]
জামিল উদ্দিন আহমেদ | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬![]() |
মৃত্যু | আগস্ট ১৫, ১৯৭৫ | (বয়স ৩৯)
আনুগত্য | ![]() ![]() |
পদমর্যাদা | ব্রিগেডিয়ার জেনারেল |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ |
পুরস্কার | বীর উত্তম |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবনসম্পাদনা
কর্ণেল জামিল ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ সালে গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
স্বীকৃতিসম্পাদনা
কর্ণেল জামিলের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২০০৯ সালে তাকে বীর-উত্তম খেতাবে ভূষিত করে সরকার। সেনাবাহিনীও তাদের এই বীর সেনাকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদা দিয়ে সম্মানিত করে। ১৯৯৭ সালে পরিবারের উদ্যোগে গঠন হয় কর্নেল জামিল ফাউন্ডেশন।[২]
পারিবারিক জীবনসম্পাদনা
কর্নেল জামিল আহমেদের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা জামিল সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। ২৯ নভেম্বর ২০১২ সালে তিনি মারা যান। চার মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে তাহমিনা এনায়েত তনু ঢাকায় থাকেন। মেজ মেয়ে আফরোজা জামিল পেশায় চিত্রশিল্পী। সেজ মেয়ে ফাহমিদা আহমেদ শ্বেতা যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। আর সবার ছোট কারিশমা জামিল মেকআপ আর্টিস্ট।[৩]
মৃত্যুসম্পাদনা
কর্ণেল জামিল ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের দেহরক্ষী হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হন।[২]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলকে মরণোত্তর বীর উত্তম পদক প্রদান"। দৈনিক প্রথম আলো। ১৬ এপ্রিল ২০১০। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৮।
- ↑ ক খ "বাবার লাশ দেখার শর্ত ছিল, কাঁদা যাবে না | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৬।
- ↑ "কর্নেল জামিল: অন্ধকারে অবিচল আত্মদান"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৬।