জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম

খুলনা জেলার একটি কওমি মাদ্রাসা

জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মুসলমান পাড়ায় অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসা। ১৯৬৭ সালে শামসুল হক ফরিদপুরীর অনুপ্রেরণায় সমাজসেবক আবদুল হাকিম জমাদ্দারের পৃষ্ঠপোষকতায় মাওলানা মুজিবুর রহমান এটি প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসার বর্তমান মহাপরিচালক মুশতাক আহমদ। মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ২২৬ ফুট উচ্চতার মিনার বিশিষ্ট একটি মসজিদ রয়েছে। নাম তালাবওয়ালা জামে মসজিদ।

জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম
ধরনকওমি মাদ্রাসা
স্থাপিত১৯৬৭
প্রতিষ্ঠাতাআবদুল হাকিম জমাদ্দার
মূল প্রতিষ্ঠান
দারুল উলুম দেওবন্দ
অধিভুক্তিআল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ
ধর্মীয় অধিভুক্তি
ইসলাম
আচার্যমুশতাক আহমদ
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৪৮ (২০২১)
শিক্ষার্থী১২০০ (২০২১)
অবস্থান
মুসলমান পাড়া, খুলনা সিটি কর্পোরেশন
সংক্ষিপ্ত নামখুলনা দারুল উলুম
ওয়েবসাইটwww.darululoom-khulna.com

ইতিহাস সম্পাদনা

এই মাদ্রাসায় ১৯৭৯ সালে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স), ২০০০ সালে ইসলামি আইন গবেষণা অনুষদ (ইফতা) এবং তাফসির বিভাগ চালু করা হয়। ২০২১ সাল পর্যন্ত এই মাদ্রাসায় ইসলামি আইনের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী এবং তাফসির বিভাগ থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন প্রায় এক হাজার জন। মাদ্রাসাটি দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতির আলোকে পরিচালিত হয়। ২০২১ সালের তথ্যানুসারে, এই মাদ্রাসায় ৪৮ জন শিক্ষক এবং ১২০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

মাদ্রাসার উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন: জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার মুফতি মুনসুরুল হক, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার অধ্যক্ষ মুফতি মাহমুদুল হাসান, একই মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব মাওলানা হুমায়ুন কবির প্রমুখ।[১][২][৩]

তালাবওয়ালা জামে মসজিদ সম্পাদনা

তালাবওয়ালা জামে মসজিদ নামে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ রয়েছে। সাদা টাইলস দিয়ে তৈরি এই মসজিদের মিনারটি খুলনা বিভাগের সর্বোচ্চ। উচ্চতা ২২৬ ফুট। এটি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। মিনার ছাড়াও মসজিদটিতে চারটি গম্বুজ আছে। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আবদুল হাকিম জমাদ্দারের ছেলে আবদুল জব্বারের উদ্যোগেই এই মসজিদ এবং মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের চারপাশে রয়েছে অসংখ্য সুপারি ও নারকেল গাছ। প্রবেশ গেট থেকে শুরু করে মিনার পর্যন্ত ভারত থেকে আনা বড় সাইজের ক্যাক্‌টাস, টবে বিদেশী ঝাউগাছ ও অর্কিড জাতীয় বিভিন্ন গাছ লাগানো হয়েছে। মসজিদের ভেতর আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের ফিটিংস, লাইট, কাঠের কারুকার্য খচিত কাজ এবং যারা বসে নামাজ পড়েন তাদের জন্য নারকেল ও তাল গাছের গোড়া দিয়ে তৈরি প্রায় ২০টি বসার চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুই হাজার মুসল্লি এখানে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটিতে রমজানে দুই ধরনের তারাবীর নামাজ হয়। ছয় দিনে খতম তারাবীহ এবং ২৭ দিনে খতম তারাবীহ।[৪][৫]

উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. হুসাইন, বেলায়েত (১০ মার্চ ২০২১)। "খুলনার ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা"কালের কণ্ঠ 
  2. গোলাম ছরোয়ার, মুহাম্মদ (নভেম্বর ২০১৩)। বাংলা ভাষায় ফিকহ চর্চা (১৯৪৭-২০০৬): স্বরূপ ও বৈশিষ্ঠ্য বিচার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ২৬০। 
  3. আলম, মো. মোরশেদ (২০১৪)। হাদীস শাস্ত্র চর্চায় বাংলাদেশের মুহাদ্দিসগণের অবদান (১৯৭১-২০১২)বাংলাদেশ: ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ২৪০। 
  4. "খুলনায় দৃষ্টিনন্দন মিনার ও গেট"নয়া দিগন্ত 
  5. "খুলনায় সর্বোচ্চ মিনারের তালাবওয়ালা মসজিদ"বাংলানিউজ২৪.কম। ৪ জুন ২০১৮।