চৌধুরী এ.টি.এম মাসুদ
চৌধুরী এ.টি.এম মাসুদ (১৯২৪–২২ নভেম্বর ২০১৩) বাংলাদেশী আইনজীবী যিনি হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার।[১][২]
চৌধুরী এ.টি.এম মাসুদ | |
---|---|
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার | |
কাজের মেয়াদ ১৭ মে ১৯৮৫ – ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | এ কে এম নূরুল ইসলাম |
উত্তরসূরী | সুলতান হোসেন খান |
বাংলাদেশের আপিল বিভাগের বিচারক | |
কাজের মেয়াদ ১৯ জুন ১৯৭৩ – ১৭ এপ্রিল ১৯৮২ | |
বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক | |
কাজের মেয়াদ ১৭ এপ্রিল ১৯৮২ – ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯২৪ সিলেট, আসাম, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ২২ নভেম্বর ২০১৩ ঢাকা |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
দাম্পত্য সঙ্গী | আমিনুন নেছা খাতুন |
সন্তান | সালমা মাসুদ চৌধুরী সহ ৩ জন |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | মুরারিচাঁদ কলেজ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
জীবিকা | আইনজীবী ও বিচারপতি |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাচৌধুরী এ.টি.এম মাসুদ ১৯২৪ সালে সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সিলেট এম সি কলেজ ও কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ লেখাপড়া করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ ও বি.এল ডিগ্রি নেন।[৩]
তার স্ত্রী আমিনুন নেছা খাতুন। এক পুত্র, দুই কন্যার মধ্যে জ্যেষ্ঠ মেয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী।[৪]
কর্মজীবন
সম্পাদনাচৌধুরী এ.টি.এম মাসুদ ১৯৫১ সালে সিলেট জেলা বারে ওকালতি শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন। তিনি ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তাকে ১৯৬৬ সালে পূর্বপাকিস্তান হাই কোর্টে 'ডেপুটি লিগ্যাল রিমেম্ব্রান্সার' পদে নিয়োগ করা হয়।[৫]
বাংলাদেশ হওয়ার পর তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯ জুন ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি পদে নিয়োগ পান এবং ১৭ এপ্রিল ১৯৮২ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন।[৩]
তিনি ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পান এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের জাতীয় নির্বাচন তার কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়৷[২][৩]
তিনি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করেন।[৫]
গ্রন্থ
সম্পাদনাচৌধুরী এ.টি.এম মাসুদের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:[৪]
- রিমিনিস্ক্যানস অফ ফিউ ডিকাডেস এণ্ড প্রবলেমস অফ ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ।
মৃত্যু
সম্পাদনাচৌধুরী এ.টি.এম মাসুদ ২২ নভেম্বর ২০১৩ সালে ঢাকার মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের কার্যকাল"। www.ec.org.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ ক খ "ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন"। ডয়চে ভেলে বাংলা। ৬ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ ক খ গ ঘ সালমা মাসুদ চৌধুরী (২৪ নভেম্বর ২০১৭)। "আমার বাবা বিচারপতি চৌধুরী এ টি এম মসউদ"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ ক খ জাস্টিস চৌধুরী এ টি এম মাসুদ (২০০৮)। Reminiscence of Few Decades and Problems of Democracy in Bangladesh। বাংলাদেশ: একাডেমিক প্রেস এন্ড পাবলিশার্স লাইব্রেরি। পৃষ্ঠা ১৫৮। আইএসবিএন 9840801988।
- ↑ ক খ "Justice ATM Masud dies"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১।