গ্রাহাম বিল্বি

নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার ও ফুটবলার

গ্রাহাম পল বিল্বি (ইংরেজি: Grahame Bilby; জন্ম: ৭ মে, ১৯৪১) ওয়েলিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবলার[১][২] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

গ্রাহাম বিল্বি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামগ্রাহাম পল বিল্বি
জন্ম (1941-05-07) ৭ মে ১৯৪১ (বয়স ৮২)
ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড
উচ্চতা১.৭৫ মিটার (৫ ফুট ৯ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১১০)
২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৪ মার্চ ১৯৬৬ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৫৭ ১০
রানের সংখ্যা ৫৫ ২,৯৩৬ ২০৬
ব্যাটিং গড় ১৩.৭৫ ৩২.৬২ ২৫.৭৫
১০০/৫০ ০/০ ৩/১৫ ০/০
সর্বোচ্চ রান ২৮ ১৬১ ৩৮
বল করেছে ১২৬
উইকেট
বোলিং গড় ৩৪.০০ ২.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২ ২/৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/- ৫৫/- ৩/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ অক্টোবর ২০২০
ফুটবল খেলোয়াড়ি জীবন
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৬৪-এর পূর্বে - ১৯৭০ সীট্যুন
১৯৭১ - ? ওয়েলিংটন সিটি
জাতীয় দল
১৯৬৭ - ১৯৭১ নিউজিল্যান্ড (১)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওয়েলিংটন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন গ্রাহাম বিল্বি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯৬২-৬৩ মৌসুম থেকে ১৯৭৬-৭৭ মৌসুম পর্যন্ত গ্রাহাম বিল্বি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ওয়েলিংটনের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতেন। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমের শুরুতে ওতাগোর বিপক্ষে ১৬১ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন। এরফলে, তার টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের পথ সুগম হয়। সবমিলিয়ে ৫৭টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৩ শতক ও ১৫টি অর্ধ-শতক সহযোগে ৩২.৬২ গড়ে রান সংগ্রহ করেছেন।

১৯৬২-৬৩ মৌসুম থেকে ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম পর্যন্ত চলমান প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়ে ১৯৭৪ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট অ্যালমেনাক কর্তৃক বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদা লাভ করেছিলেন তিনি।[১]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন গ্রাহাম বিল্বি। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ৪ মার্চ, ১৯৬৬ তারিখে ডুনেডিনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। তবে, কোন খেলাতেই তিনি উল্লেখযোগ্য সাফল্যের সন্ধান পাননি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।

১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চ ও ডুনেডিনে দুই টেস্টে অংশ নেন। উভয় খেলাই ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে তার খেলা তেমন দর্শনীয় ছিল না। প্রথম টেস্টে ২৮ ও ৩ এবং দ্বিতীয়টিতে ৩ ও ২১ রানের ইনিংস খেলেন। এরফলে, তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে ব্যাটিং গড় দাঁড়ায় ১৩.৭৫। তিনবার উইকেটের পিছনে ও একবার কটে বিদেয় নেন তিনি। এছাড়াও, নিজে তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন।[১]

ফুটবলে অংশগ্রহণ সম্পাদনা

অল হোয়াইটসের পক্ষে পূর্ণাঙ্গভাবে খেলেন। ৮ নভেম্বর, ১৯৬৭ তারিখে নিউ ক্যালেডোনিয়ার বিপক্ষে অভিষেক ঘটা খেলায় তার দল ০-৪ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।[৩] এ-পর্যায়ের আটটি আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নিয়ে ১ গোল করে খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি টানেন।[২][৪] ১৮ জুলাই, ১৯৭১ তারিখে সর্বশেষ খেলায় অংশ নেন। অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন। ঐ খেলায়ও নিউ ক্যালেডোনিয়ার কাছে নিউজিল্যান্ড দল ২-৪ ব্যবধানে পরাভূত হয়েছিল।[৩]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

গ্রাহাম বিল্বি রঙ্গোতাই কলেজে অধ্যয়ন করেন। এরপর, তথ্য প্রযুক্তিবিদ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। জয় নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির দুই কন্যা ও এক পুত্র রয়েছে।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Grahame Bilby"। CricketArchive.com। ৪ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০০৯ 
  2. "A-International Appearances – Overall"। The Ultimate New Zealand Soccer Website। ১৫ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০০৯ 
  3. "A-International Lineups"। The Ultimate New Zealand Soccer Website। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০০৯ 
  4. "A-International Scorers – Overall"। The Ultimate New Zealand Soccer Website। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০০৯ 
  5. Millmow, Jonathan। "On double time with dual international Bibly [sic]"stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৮ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা