গৌড়ীয় মঠ
গৌড়ীয় মঠ একটি হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর স্থাপিত হয়।[১] ১৯১৮ সালের ৭ মার্চ ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী সন্ন্যাস গ্রহণ করে মায়াপুরে শ্রীচৈতন্য মঠ স্থাপন করেন।[২] শ্রীচৈতন্য মঠ পরে গৌড়ীয় মঠের সকল শাখার মূল সংগঠন বলে স্বীকৃতি পায়।[১] গৌড়ীয় মঠ স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম ও মধ্যযুগীয় বৈষ্ণব সন্ত চৈতন্য মহাপ্রভুর দর্শন উপদেশ দান ও গ্রন্থ প্রকাশনার মাধ্যমে প্রচার করা।
উত্তরসূরী | গৌড়ীয় মিশন এবং শ্রীচৈতন্য মঠ |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ৬ সেপ্টেম্বর ১৯২০ |
প্রতিষ্ঠাতা | ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী |
প্রতিষ্ঠাস্থান | কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত |
বিলীন হয়েছে | ১৯৩৭ |
ধরন | ধর্মীয় সংগঠন |
উদ্দেশ্য | শিক্ষাগত, জনহিতকর, ধর্মীয় অধ্যয়ন, আধ্যাত্মিকতা |
সদরদপ্তর | কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত |
অবস্থান |
|
যে অঞ্চলে কাজ করে | ব্রিটিশ ভারত ব্রিটিশ বার্মা লন্ডন, যুক্তরাজ্য বার্লিন, জার্মানি |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
অনুমোদন | গৌড়ীয় বৈষ্ণব |
চৈতন্য মহাপ্রভুর ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল হিন্দুধর্মের জাতিভেদ প্রথাকে অস্বীকার করা। (যেমন, হরিদাস ঠাকুর চৈতন্য মহাপ্রভুর একজন গুরুত্বপূর্ণ শিষ্য ছিলেন। তিনি মুসলিম ছিলেন। পরে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন। ) উনিশ শতকের ম্যাজিস্ট্রেট ও ভক্তিবাদী লেখক "কায়স্থ" কেদারনাথ দত্ত (ভক্তিবিনোদ ঠাকুর) (১৮৩৮-১৯১৪) এই মতবাদের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হন। তিনি ভক্তি আন্দোলনের উপর অনেক বই লিখেছিলেন।[৩] বিশ শতকে তার পুত্র বিমল প্রসাদ দত্ত (ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী) তার পিতার শিক্ষার পথ অনুসরণ করে এই মতবাদকে সাংগঠনিক রূপ দিয়ে গৌড়ীয় মঠ স্থাপন করেন।[৩]
শাখা
সম্পাদনা১৯৩৭ সালের ১ জানুয়ারি ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের মৃত্যুর সময় গৌড়ীয় মঠের ৬৪টি শাখা ও ১ টি প্রচার কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছিল।[১] এগুলির অধিকাংশই ছিল ভারতে। তবে কিছু সময়ের জন্য গৌড়ীয় মঠ ব্রহ্মদেশ, ইংল্যান্ড ও জার্মানিতেও ধর্মপ্রচার কেন্দ্র চালিয়েছিল।
১৯৩৩ সালে লন্ডনে প্রথম ইউরোপীয় প্রচার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। লন্ডনে (লন্ডন গ্লুস্টার হাউস, কর্নওয়াল গার্ডেন, ডব্লিউ ৭ দক্ষিণ কেনসিংটন) গৌড়ীয় মিশন সোসাইটি অফ লন্ডন নামে পরিচিত। ইংরেজ সচিব লর্ড জেটল্যান্ড এই সমাজের সভাপতি ছিলেন।[৪] দ্বিতীয় ইউরোপীয় প্রচার কেন্দ্র খোলা হয়েছিল স্বামী বি . এইচ . বন মহারাজ দ্বারা বার্লিন এ (ডব্লিউ৩০ ইনিষাচার স্ট্রাসে .২৯)।
ইতিহাস
সম্পাদনাভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতীর মৃত্যুর পর এক বিতর্ক শুরু হয় এবং মূল গৌড়ীয় মঠ মিশনটি দুটি প্রশাসনিক সংস্থাতে বিভক্ত হয়। যারা আজকের দিন পর্যন্ত নিজেদের প্রচার করে চলেছে। এক বন্দোবস্তে তারা ৬৪ টি গৌড়ীয় মঠ কেন্দ্রকে দুটি ভাগে ভাগ করে। শ্রী চৈতন্য মঠ শাখা শ্রীল ভক্তি বিলাস তীর্থ মহারাজের নেতৃত্বে ছিল। [৫]গৌড়ীয় মিশন ছিল অনন্ত বাসুদেব প্রভুর নেতৃত্বে। যিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করার পর শ্রী ভক্তি প্রসাদ পুরি মহারাজ হিসাবে পরিচিত হন । ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতীর অনেক শিষ্য এই নবনির্মিত দুটি ভগ্নাংশের আত্মার সাথে একমত হন নি। তারা কেবল তাদের গুরুের মিশন সম্প্রসারিত করার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।তারা নিজের মিশন শুরু করেছিলেন। এই স্বায়ত্তশাসিত মিশনের অনেকগুলি এখনও গৌড়ীয় মঠ নামে পরিচিত। অন্য কিছু নতুন মিশন হল:
- গৌড়ীয় মিশন, অনন্ত বাসুদেব প্রভু দ্বারা ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত[৬]
- শ্রী গৌড়ীয় বেদান্ত সমিতি , ভক্তি প্রজ্ঞান কেশব গোস্বামী(১৯৪০) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত[৭]
- শ্রী চৈতন্য সারস্বত মঠ , ভক্তি রক্ষক শ্রীধর দেব গোস্বামী (১৯৪১) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত [৮]
- "শ্রী চৈতন্য গৌড়ীয় মঠ" , শ্রীল ভক্তি দ্বৈত মাধব গোস্বামী(১৯৫৩)দ্বারা প্রতিষ্ঠিত [৯]
- শ্রী গুরুপ্রপন্ন আশ্রম প্রতিষ্ঠিত শ্রীল পতিতপাবন গোস্বামী ঠাকুর (১৯৫৩) দ্বারা
- ইসকন , অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ বা হরেকৃষ্ণ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত (১৯৬৬) [১০]
- শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য মিশন ,ভক্তি বৈভব পুরী গোস্বামী (১৯৬৬) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত [১১]
- শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দজী ট্রাস্ট, ভক্তি হৃদয় বন (১৯৭৯) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত
- "শ্রী গোপীনাথ গৌড়ীয় মঠ" শ্রীল ভক্তি প্রমোদ পুরী গোস্বামী (১৯৮৯) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত [১২]
- ভক্তিবেদান্ত নারায়ণ গোস্বামী (২০০৪) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত "আন্তর্জাতিক বিশুদ্ধ যোগব্যায়াম সমিতি" (২০০৪)[১৩]
- শ্রী চৈতন্য সংঘ - স্বামী বি ভি ত্রিপুরারি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত
কিছু খুব বড় মিশন এবং কিছু ছোট শাখা পৃথক বৈষ্ণব দ্বারা শুরু হয়। তারা যা সাধারণভাবে ধরে রেখেছে তা হচ্ছে তারা গৌড়ীয় মঠের গাছের স্বায়ত্বশাসিত শাখা। প্রায় সবাই তাদের বই এবং সাময়িকী প্রকাশ করেছে । তাদের এক বা একাধিক মন্দির আছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ Devamayī dāsi, "A Divine Life: Śrīla Bhaktisiddhānta Saraswatī Ṭhākura Prabhupāda" in Prabhupada Saraswati Thakur: The Life & Precepts of Śrīla Bhaktisiddhānta Saraswatī, Mandala Publishing, Eugene, Oregon: 1997, pp. 24, 26, 49. আইএসবিএন ০-৯৪৫৪৭৫-১০-১.
- ↑ Devamayī dāsi, "A Divine Life: Śrīla Bhaktisiddhānta Saraswatī Ṭhākura Prabhupāda" in Prabhupada Saraswati Thakur: The Life & Precepts of Śrīla Bhaktisiddhānta Saraswatī, Mandala Publishing, Eugene, Oregon: 1997, pp. 24, 26, 49. আইএসবিএন ০-৯৪৫৪৭৫-১০-১.
- ↑ ক খ Sherbow, P.H. (২০০৪)। "AC Bhaktivedanta Swami's Preaching In The Context Of Gaudiya Vaishnavism"। The Hare Krishna Movement: The Postcharismatic Fate of a Religious Transplant: p.139।
- ↑ "Gaudiya Math - Part I"। www.vrindavan.org। ২০১৯-০৪-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১৩।
- ↑ Gaudiya Mission official website
- ↑ "Gaudiya Mission: Hare Krishna Chant Krishna Mantra!"। Gaudiya Mission (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১৪।
- ↑ "Gaudiya.com - An Overview of the Gaudiya Vaishnava Tradition"। gaudiya.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১৪।
- ↑ "Front page, Sri Chaitanya Saraswat Math"। scsmath.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১৩।
- ↑ "Sree Chaitanya Gaudiya Math"। www.sreecgmath.org। ২০১৯-০৪-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১৩।
- ↑ আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘএর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
- ↑ "Bishnu Maharaja| IKCM"। Bishnu Maharaja IKCM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১৩।
- ↑ "Home"। Sri Gopinath Gaudiya Math (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০১-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১৩।
- ↑ "PureBhakti.com"। www.purebhakti.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১৩।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা
ভারতীয় সংগঠন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |