গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স
গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স (জন্ম: ১৪ জানুয়ারি ১৯৬৯) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি পাবনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।[২][৩] তিনি ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ বিলুপ্তের মাধ্যমে সংসদ সদস্য পদ হারান।[১]
গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স | |
---|---|
পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ – ৬ আগস্ট ২০২৪[১] | |
পূর্বসূরী | আব্দুস সুবহান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | পাবনা, বাংলাদেশ | ১৪ জানুয়ারি ১৯৬৯
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | সানজিদা খাতুন |
সন্তান | ১ ছেলে ও ১ মেয়ে |
পিতামাতা | আবু তালেব খন্দকার (পিতা), বেগম সুফিয়া খাতুন (মাতা) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়া প্যাসিফিক, এডওয়ার্ড কলেজ |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাগোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের জন্ম ১৪ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে জন্ম পাবনা শহরের কৃষ্ণপুরে। তার পৈতৃক বাড়ি পাবনার আতাইকুলা ইউনিয়নের সাড়দিয়ার গ্রামে।[২]
তার পিতা আবু তালেব খন্দকার বৃহত্তর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। মাতা বেগম সুফিয়া খাতুন। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স তৃতীয়।
পাবনার লাইব্রেরি বাজারস্থ পিটিআই স্কুল থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি পাবনার গোপালচন্দ্র ইনস্টিটিউশন থেকে ১৯৮৩ সালে এসএসসি এবং সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা থেকে ১৯৮৫ সালে এইচএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ১৯৮৬ সালে ভর্তি হয়ে ১৯৯০ সালে স্নাতক এবং ১৯৯২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক থেকে ২০০৭ সালে তিনি এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাগোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স ১৯৮১ সালে তিনি সক্রিয় রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেন।
১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৯৪ সালে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৯৭ সালে তিনি পাবনা জেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০০৫ সালে তিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাবনা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩][৪]
৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি পাবনা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩][৫] দশম জাতীয় সংসদে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।
২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।[৬][৭]
৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাবনা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।[৩][৮] একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি পুনরায় পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।[৬][৭]
৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাবনা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩][৯] তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য।[১০]
৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[১১][১২][১৩]
পারিবারিক জীবন
সম্পাদনাগোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের স্ত্রী সানজিদা খাতুন। এই দম্পতীর এক ছেলে ও এক মেয়ে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা রাষ্ট্রপতির"। দৈনিক কালের কন্ঠ। ২০২৪-০৮-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৪।
- ↑ ক খ পাবনা-৫, গোলাম ফারুক খন্দ: প্রিন্স। "Constituency 72_10th_Bn"। www.parliament.gov.bd। ২০১৯-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-৩০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স"। দৈনিক প্রথম আলো। ১২ জুন ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৪।
- ↑ "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২২।
- ↑ "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০৯-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১২।
- ↑ ক খ "পাবনা আ.লীগের লাল সভাপতি প্রিন্স সম্পাদক"। দৈনিক যুগান্তর। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২। ১২ জুন ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৪।
- ↑ ক খ "পাবনা আ.লীগের সম্মেলন: সভাপতি লাল, সম্পাদক প্রিন্স"। দৈনিক আজকের পত্রিকা। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২। ১২ জুন ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৪।
- ↑ "১১তম সংসদের সদস্যবৃন্দ"। জাতীয় সংসদ। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ২০১৯-১০-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। আরটিভি। ৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "আরও ১০ স্থায়ী কমিটিতে যারা আছেন"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৪।
- ↑ "সংসদ ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "যা আছে সংসদ ভেঙে দেওয়ার সারসংক্ষেপে"। বাংলা ট্রিবিউন। ৬ আগস্ট ২০২৪। ১৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২৪।