গেওর্গি মাক্সিমিলিয়ানোভিচ মালেনকোভ (রুশ: Георгий Максимилианович Маленков; জীবনকাল: ৮ জানুয়ারি ১৯০২ – ১৪ জানুয়ারি ১৯৮৮)[১] একজন সোভিয়েত রাজনীতিবিদ ছিলেন যিনি জোসেফ স্তালিন উত্তরসূরী হিসাবে ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী এবং ১৯৫৩ সালে সীমিত সময়ের জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতার দায়িত্ব পালন করেন।

গেওর্গি মালেনকভ
Гео́ргий Маленко́в
১৯৩৯ সালে গেওর্গি মালেনকভ
সোভিয়েত ইউনিয়নের মন্ত্রীপরিষদের সভাপতি
কাজের মেয়াদ
৬ মার্চ ১৯৫৩ – ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫
রাষ্ট্রপতিনিকোলাই শোয়ের্নিক
ক্লিমেন্ত ভরোশিলোভ
পূর্বসূরীজোফেফ স্তালিন
উত্তরসূরীনিকোলাই বুলগানিন
সোভিয়েত ইউনিয়নের মন্ত্রীপরিষদের উপ-সভাপতি
কাজের মেয়াদ
৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫ – ২৯ জুন ১৯৫৭
প্রিমিয়ারনিকোলাই বুলগানিন
কাজের মেয়াদ
২ আগস্ট ১৯৪৬ – ৫ মার্চ ১৯৫৩
প্রিমিয়ারজোসেফ স্তালিন
কাজের মেয়াদ
১৫ মে ১৯৪৪ – ১৫ মার্চ ১৯৪৬
প্রিমিয়ারজোসেফ স্তালিন
সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় মহাসচিব
কাজের মেয়াদ
৩১ আগস্ট ১৯৪৮ – ১৬ অক্টোবার ১৯৫২
পূর্বসূরীআন্দ্রেই জদানোভ
উত্তরসূরীনিকিতা খ্রুশ্চেভ (দে ফ্যাক্তো)
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মগেওর্গি মাক্সিমিলিয়ানোভিচ মালেনকোভ
(১৯০১-১২-০৬)৬ ডিসেম্বর ১৯০১
ওরেনবুর্গ, রুশ সাম্রাজ্য
মৃত্যু১৪ জানুয়ারি ১৯৮৮(1988-01-14) (বয়স ৮৬)
মস্কো, রুশ সোভিয়েত যুক্তরাষ্ট্রীয় সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন
জাতীয়তাসোভিয়েত
রাজনৈতিক দলসোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি (১৯২০–১৯৬১)
দাম্পত্য সঙ্গীভালেরিয়া গোলুবৎসভা
সন্তান৩ জন
প্রাক্তন শিক্ষার্থীব্রাউমান মস্কো রাষ্ট্রীয় প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
জীবিকাপ্রকৌশলী, রাজনীতিবিদ

ভ্লাদিমির লেনিন এর সাথে ব্যক্তিগত সংযোগ তাকে সোভিয়েত নেতৃত্বে নিয়ে আসে। ১৯২৫ সাল নাগাদ তিনি দলের রেকর্ড তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। এটি তাকে স্তালিনের সংস্পর্শে নিয়ে আসে, যিনি তৎকালীন সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা। তাদের দুইজনের এই মিত্রতার ফলস্বরূপ স্তালিনের শুদ্ধি কর্মসূচির সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়েন তিনি এবং স্তালিন তাকে বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সমযয়ে সোভিয়েত ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির প্রধান দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি মন্ত্রিপরিষদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন। নিজের পদ ও স্তালিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে তিনি মার্শাল গেওর্গি জুকোভকে পদচ্যুত করেন এবং লেনিনগ্রাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল গৌরব ও অর্জনকে বিনষ্ট করে দেন যাতে মস্কো সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজধানী এবং প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে নিজের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে।[২]

৫ মার্চ ১৯৫৩ সালে জোসেফ স্তালিনের মৃত্যুর পর তিনি রাষ্ট্রের অস্থায়ী প্রধান নেতা এবং একইসঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। কিন্তু দলীয় কোন্দলের জেরে কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম মহাসচিব নিকিতা খ্রুশ্চেভ প্রধান নেতা হিসাবের মালেনকোভের স্থান দখল করে নেয়। খ্রুশ্চেভ তাকে নিজের শত্রু ভেবে ১৯৫৫ সাল নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। ১৯৫৭ সালে মালেনকোভ নিকিতা খ্রুশ্চেভের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান করে ব্যর্থ হন। এরপর তাকে দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়। এরপর তিনি কাজাখস্তানে পালিয়ে জান এবং বাকি জীবন সেখানেই লোকচক্ষুর আড়ালে কাটিয়ে দেন।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

কর্মজীবন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Frankel, Benjamin (৬ মার্চ ১৯৯২)। "The Cold War, 1945-1991: Leaders and other important figures in the Soviet Union, Eastern Europe, China, and the Third World"। Gale Research – Google Books-এর মাধ্যমে। 
  2. Stalin and the Betrayal of Leningrad