গুলাম গার্ড
গুলাম মুস্তফা গার্ড (হিন্দি: गुलाम गार्ड; জন্ম: ১২ ডিসেম্বর, ১৯২৫ - মৃত্যু: ১৩ মার্চ, ১৯৭৮) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের গুজরাতের সুরাট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬০ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গুলাম মুস্তফা গার্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ১২ ডিসেম্বর, ১৯২৫ সুরাট, গুজরাত, ব্রিটিশ ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৩ মার্চ, ১৯৭৮ আহমেদাবাদ, গুজরাত, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি (১.৯১ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৮৪) | ২৮ নভেম্বর ১৯৫৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ জানুয়ারি ১৯৬০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ মে ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে গুজরাত ও মুম্বই দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন গুলাম গার্ড।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৪৬-৪৭ মৌসুম থেকে ১৯৬২-৬৩ মৌসুম পর্যন্ত গুলাম গার্ডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ২০.৬০ গড়ে ১২৪ উইকেট পেয়েছেন। দীর্ঘকায়, চওড়া কাঁধের অধিকারী ছিলেন। প্রাণবন্তঃ অবস্থায় বারো কদম দৌড়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপরীতে মিডিয়াম পেসের চেয়ে কিছুটা গতি নিয়ে বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন।[১]
ভারতের পক্ষে প্রথম বামহাতি বোলার হিসেবে বোলিং উদ্বোধনে নেমেছেন। ১৯৩০-এর দশকে লধা রামজী ও নব্বুইয়ের দশকে আবে কুরুভিল্লা’র সাথে ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে ভারতের দীর্ঘতম ক্রিকেটারের মর্যাদা পেয়েছেন। ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম থেকে পরবর্তী ১৫ বছর সফলতার সাথে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে বোম্বে ও গুজরাত দলে বোলিং করে গেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন গুলাম গার্ড। ২৮ নভেম্বর, ১৯৫৮ তারিখে মুম্বইয়ে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১ জানুয়ারি, ১৯৬০ তারিখে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
প্রায় ৩৩ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। এ পর্যায়ে ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে বোম্বে টেস্টে অংশ নেন। অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে গ্যারি সোবার্স ও দ্বিতীয় ইনিংসে জন হল্ট ও কনরাড হান্ট - এ তিন উইকেট পান। সিরিজের বাদ-বাকী টেস্টেও তাকে রাখা হয়নি ও ১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
১৯৫৯-৬০ মৌসুমে রিচি বেনো’র নেতৃত্বে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে পুনরায় তাকে অংশগ্রহণের জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এবারও বোম্বে টেস্টে খেলেন; কিন্তু, কোন উইকেটের সন্ধান পাননি তিনি।
অবসর
সম্পাদনাআন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপেক্ষিত হলেও ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে ঘরোয়া পর্যায়ের খেলায় অনেকগুলো উইকেট লাভের পাশাপাশি দলের শক্তিশালী ব্যাটিং স্তম্ভের কারণে বোম্বে দল রঞ্জী ট্রফির শিরোপা জয়ে সক্ষমতা দেখায়। তন্মধ্যে, চূড়ান্ত খেলায় মহীশূরের বিপক্ষে খেলায় ১৩৫ রান খরচায় ৯ উইকেট পান। ঐ মৌসুমে ১৫ গড়ে ৩১ উইকেট দখল করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে গুজরাতের পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[২] ১৩ মার্চ, ১৯৭৮ তারিখে ৫২ বছর বয়সে গুজরাতের আহমদাবাদ এলাকায় গুলাম গার্ডের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে গুলাম গার্ড (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে গুলাম গার্ড (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)