হলো ভারতীয় আবুগিদার দ্বিতীয় ব্যঞ্জনবর্ণ। আধুনিক ভারতীয় লিপিগুলিতে, খ ব্রাহ্মী বর্ণ kha থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা আবার সম্ভবত আরামাইক ("ক়") থেকে উদ্ভূত হয়েছে।

Kha
বাংলা দেবনাগরী গুরুমুখী গুজরাটি ওড়িয়া
Kha Kha Kha
তামিল তেলুগু কন্নড় মালয়ালম সিংহলী
-
থাই লাও তিব্বতি বর্মী খমের
 
বায়বায়িন হানুনো বুহিদ তাগবানওয়া লোনতারা
- - - - -
বালী সুন্দা লিম্বু তাই লে নয়া তাই লু
লেপছা সৌরাষ্ট্র রেজং জাভাই চাম
-
থাই থম থাই ভিয়েত কায়াঽ লি ফাগ্‌স-পা সিদ্ধং
  Siddhaṃ 'Kha'
মহাজনি খোজকি খোদাবাদি সিলেটি মেইতেই
𑅖 𑈉 𑊻
Modi তিরহুতা কৈথি সোরা গ্রন্থ
𑘏 𑒐 𑂎 - 𑌖
চাকমা শারদা তাকরি খরোষ্ঠী ব্রাহ্মী
𑄈 𑆒 𑚋 𐨑 Kha
ধ্বনিগ্রামিক প্রতিনিধি: /kʰ/
আসলিব প্রতিবর্ণীকরণ: kha
ইসকি কোড পয়েন্ট: B4 (180)

গণিতে খ সম্পাদনা

আর্যভট্টের ব্যবহার সম্পাদনা

ভারতীয় সংখ্যা প্রণালী সৃষ্টির পেছনে আর্যভট্টের দেবনাগরী অক্ষর সমূহকে প্রায় গ্রীকদের দ্বারা সংখ্যা লেখার মতো ব্যবহার করা হত। ख’র বিভিন্ন রূপের মানসমূহ নিচে দেয়া হল:[১]

  • [kʰə] = ২ (२)
  • खि [kʰɪ] = ২০০ (२००)
  • खु [kʰʊ] = ২০,০০০ (२० ०००)
  • खृ [kʰri] = ২০,০০,০০০ (२० ०० ०००)
  • खॢ [kʰlə] = ২০×১০ (२०)
  • खे [kʰe] = ২০×১০১০ (२०१०)
  • खै [kʰɛː] = ২০×১০১২ (२०१२)
  • खो [kʰoː] = ২০×১০১৪ (२०१४)
  • खौ [kʰɔː] = ২০×১০১৬ (२०१६)

বাংলা খ সম্পাদনা

খ (আ-ধ্ব-ব: [kha]) হলো বাংলা বর্ণমালার দ্বিতীয় ব্যঞ্জনবর্ণ এবং ১৭তম বর্ণ। বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা মোট ৩৯টি; তার মধ্যে পূর্ণমাত্রাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ ২৬টি, অর্ধমাত্রাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ ৭টি এবং মাত্রা ছাড়া ব্যঞ্জনবর্ণ ৬টি। ‘খ’ হলো একটি অর্ধমাত্রাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ।

বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা

এটি একটি পূর্ণমাত্রাবিশিষ্ট ব্যঞ্জনধ্বনি। ২৫ টি স্পর্শধ্বনি বা বর্গীয় ধ্বনির একটি এবং ক-বর্গের অন্তর্গত ঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি।

দেবনাগরী খ সম্পাদনা

' (খ) দেবনাগরী ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিতীয় অক্ষর।

ব্যবহার সম্পাদনা

দেবনাগরী খ'কে [kʰə] এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে [kʰ] উচ্চারণ করা হয়। নিচের উদাহরণে ‘‘ख’’র অন্তর্নিহিত স্বরধ্বনিও উচ্চারণ করা হয়:

ख’র যুক্তাক্ষর সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Ifrah, Georges (২০০০)। The Universal History of Numbers. From Prehistory to the Invention of the Computer (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ ইয়র্ক: John Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 447–450। আইএসবিএন 0-471-39340-1