খ
বাংলা বর্ণমালার দ্বিতীয় ব্যঞ্জনবর্ণ
খ (আধ্বব: [kha]) হলো বাংলা বর্ণমালার দ্বিতীয় ব্যঞ্জনবর্ণ এবং বাংলা বর্ণমালার বর্তমান বিন্যাস অনুযায়ী ১৩তম বর্ণ।‘খ’ হলো একটি অর্ধমাত্রাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ।
খ | |
---|---|
ব্যবহার | |
লিখনপদ্ধতি | বাংলা লিপি |
ধরন | শব্দীয় বর্ণমালা লিপি |
উৎপত্তির ভাষা | বাংলা ভাষা |
ইউনিকোড মান | U+0996 |
বর্ণমালায় অবস্থান | ১৩ |
ইতিহাস | |
ক্রমবিকাশ | |
অন্যান্য | |
লেখার দিক | বাম থেকে ডানে |
বর্ণনা
সম্পাদনাখ বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিতীয় বর্ণ। এটি ক-বর্গীয় ধ্বনিরও দ্বিতীয় ধ্বনি। কখনো কখনো এটি গণিতে অজ্ঞাতরাশি নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। এটির প্রাচীন ব্রাহ্মীরূপ হল 𑀔।
ব্যবহার
সম্পাদনাস্বরবর্ণ | খ'র সাথে যুক্ত হলে |
---|---|
অ | খ |
আ | খা |
ই | খি |
ঈ | খী |
উ | খু |
ঊ | খূ |
ঋ | খৃ |
এ | খে |
ঐ | খৈ |
ও | খো |
ঔ | খৌ |
যুক্তবৰ্ণ
সম্পাদনাপৃথকরূপে | যুক্তরূপ | শব্দ |
---|---|---|
খ্ + য | খ্য | লেখ্য , আলেখ্য |
খ্ + র | খ্র | খ্রিস্টাব্দ,খ্রিস্টপূর্ব |
•খ বর্ণটি বাংলা ভাষায় অন্য বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা তেমন দেখায় না।
•"খ্র" যুক্তবর্ণটি ইংরেজি বা বিদেশি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণে ব্যবহৃত হয়। দেশীয় শব্দে এর ব্যবহার নেই।
বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনাখ হলো ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে কণ্ঠ্য ধ্বনি।এর উচ্চারণ জিহ্বামূল থেকে হয়ে থাকে। এটি একটি অঘোষ ধ্বনি যা উচ্চারণ করলে গলার স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না। এটি নিঃশ্বাসের উপর ভিত্তি করে একটি মহাপ্রাণ ধ্বনি।
উদাহরণ
সম্পাদনা- খই
- খইল
- খঞ্জ
- খচ্চর
- খটাশ
- খড়
- খড়ম
- খড়ি
- খন্ড
- খণ্ড
- খণ্ডন
- খত
- খনন
- খনিজ
- খনিত্র
- খবর
- খর
- খরচ
- খরা
- খলিফা
- খাই
- খাওয়া
- খাচা
- খাদ্য
- খাতা
- খাদ
- খাদক
- খানা
- খানিক
- খাবার
- খামখেয়াল
- খারিজ
- খারাপ
- খালি
- খিচুড়ি
- যুক্তাক্ষর
- খ্ + য দেয়
- খ্ + র দেয়
- অন্যদিকে র্ + খ দেয়
কম্পিউটিং কোড
সম্পাদনাঅক্ষর | খ | |
---|---|---|
ইউনিকোড নাম | বাংলা অক্ষর খ | |
এনকোডিং | দশমিক | হেক্স |
ইউনিকোড | 2454 | U+0996 |
ইউটিএফ-৮ | 224 166 150 | E0 A6 96 |
সংখ্যাসূচক অক্ষরের তথ্যসূত্র | খ | খ |