খিজির হায়াত

খিজির হায়াত (যিনি খিজির হায়াত লিজু নামেও পরিচিত) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক।

জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা

খিজির হায়াত ১৯৬৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।^[১] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন।^[১] এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক, দর্শনে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন।^[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

খিজির হায়াত ১৯৯৭ সালের ৬ আগস্ট ঢাকা জেলা আদালতে আইন অনুশীলন শুরু করেন।^[১]

২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, খিজির হায়াত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অনুশীলন শুরু করেন।^[১]

২০১৮ সালের ৩১ মে খিজির হায়াতকে হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়^[১]

২০২০ সালের ৩০ মে, খিজির হায়াতকে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি করা হয়।^[২]

২০২২ সালের জুনে, খিজির হায়াত ও বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা মুসলিম শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেন।^[৩]

খিজির হায়াত ও বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কায়সার খসরুর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করার সময় অকথ্য শব্দ ব্যবহার করায় সাংবাদিকের সমালোচনা করেন।^[৪] খিজির হায়াত ও বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার বড় ঋণখেলাপিদের বিচার না করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সমালোচনা করেছেন।^[৫] তারা হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে একটি অনুচিত বক্তব্য জমা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান মোঃ মাসুদ বিশ্বাসের সমালোচনা করেন।^[৬] খিজির হায়াত ও বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অনিয়মিত ঋণ তদন্তের জন্য বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নির্দেশ দেন।^[৭] বিচারপতিরা এস আলম গ্রুপকে দেওয়া ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশর ৩০০ বিলিয়ন টাকা ঋণের ব্যাখ্যা দিতে বলেন।^[৭] খিজির হায়াত ও বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ৪২ কোটি টাকার অব্যক্ত সম্পদের দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।^[৮]

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, খিজির হায়াত ও বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে তাদের সার্ভার থেকে ৩০হাজার ফাইল হারানোর ঘটনা ব্যাখা করতে বলেন।^[৯] খিজির হায়াত ও বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডে ৪.৭২ বিলিয়ন টাকার দুর্নীতির তদন্ত শেষ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দেন।^[১০] খিজির হায়াত ও বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিককে রাতের কর্মঘণ্টা শেষ হওয়ার পরে শাখা থেকে ২২৬ মিলিয়ন টাকা উত্তোলনের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড গুলশান শাখার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।^[১১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

↑ ^ক ^খ ^গ ^ঘ ^ঙ ^চ "Home : Supreme Court of Bangladesh"। www.supremecourt.gov.bd। ২০২৩-০৫-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০।
↑ "18 additional judges appointed permanently in High Court"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৫-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০।
↑ "High Court orders probe into harassment of students wearing hijabs in schools"। www.dhakatribune.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৬-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।
↑ "Insulting journalist over published report: HC blasts Teknaf UNO"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৭-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।
↑ "HC slams ACC over inaction against major loan defaulters"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।
↑ "Money in Swiss Bank: HC summons BFIU chief for not filing statement properly"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৮-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।
↑ ^ক ^খ "HC orders probe into 'loan scams' in 3 banks"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০।
↑ "HC bars bdnews24 editor-in-chief from leaving country without permission"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।
↑ Alam, Helemul; Sarkar, Ashutosh (২০২৩-০১-০৩)। "Explain how 30,000 docs went missing from servers"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।
↑ "HC asks ACC to end investigation against BPC's associate body SAOC"। Prothomalo (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।
↑ "HC summons NBL manager over loan disbursement at night"। New Age | The Most Popular Outspoken English Daily in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।

[auto-1] ক ^খ ^গ ^ঘ ^ঙ ^চ "Home : Supreme Court of Bangladesh"। www.supremecourt.gov.bd। ২০২৩-০৫-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০।

[2] "18 additional judges appointed permanently in High Court"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৫-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০।

[3] "High Court orders probe into harassment of students wearing hijabs in schools"। www.dhakatribune.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৬-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।

[4] "Insulting journalist over published report: HC blasts Teknaf UNO"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৭-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।

[5] "HC slams ACC over inaction against major loan defaulters"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।

[6] "Money in Swiss Bank: HC summons BFIU chief for not filing statement properly"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৮-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।

[:1-7] ক ^খ "HC orders probe into 'loan scams' in 3 banks"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০।

[8] "HC bars bdnews24 editor-in-chief from leaving country without permission"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।

[9] Alam, Helemul; Sarkar, Ashutosh (২০২৩-০১-০৩)। "Explain how 30,000 docs went missing from servers"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।

[10] "HC asks ACC to end investigation against BPC's associate body SAOC"। Prothomalo (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।

[11] "HC summons NBL manager over loan disbursement at night"। New Age | The Most Popular Outspoken English Daily in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]

[৯]

[১০]

[১১]