খাকী
খাকী (হিন্দি: ख़ाकी) একটি বলিউড নির্মিত মারপিট-রোমাঞ্চ ধর্মী হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র। ২০০৪ সালের এই সিনেমার পরিচালক ছিলেন রাজকুমার সন্তোষী। এই ছবিটির অনুকরনে তেলুগু ভাষায় 'সত্যমেভ জয়তে' সিনেমাটি নির্মিত হয়।
খাকী | |
---|---|
পরিচালক | রাজকুমার সন্তোষী |
প্রযোজক | কেশু র্যামজে |
রচয়িতা | রাজকুমার সন্তোষী শ্রীধর রাঘবন |
শ্রেষ্ঠাংশে | অমিতাভ বচ্চন অক্ষয় কুমার অজয় দেবগন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন |
সুরকার | রাম সম্পথ |
পরিবেশক | ডিএমএস ফিল্মস |
মুক্তি | ২৩ জানুয়ারী, ২০০৪ |
স্থিতিকাল | ১৮০ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
নির্মাণব্যয় | ২৬০০০০০০০ ভারতীয় মুদ্রা[১] |
আয় | ৪৫৩৯৭০০০০ ভারতীয় মুদ্রা[২] |
কাহিনী
সম্পাদনামহারাষ্ট্র পুলিশ প্রচুর পরিমান অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করে একজন ডাক্তার আনসারির বাড়ি থেকে। আনসারিকে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ বাহিনীর অনেকেই আততায়ীর গুলিতে মারা যায়। মহারাষ্ট্র পুলিশ মনে করে আনসারি একজন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের আসামী ও তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যে জংগীরা সক্রিয়। আনসারিকে লক আপে জেরা ও অত্যাচার করা হলেও সে কোনো কথা বলতে রাজী হয়না। মহারাষ্ট্র পুলিশের দক্ষ ও সৎ অফিসার অনন্ত শ্রীবাস্তবের (ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ) নেতৃত্বে একটি দলের সংগে আনসারিকে আদালতে পাঠাবার নির্দেশ দেন এডিশনাল পুলিশ কমিশনার নাইডু। এই বিশেষ দলে যারা আছে তাদের প্রত্যেকের ছবি গোপনে তুলতে যায় এক ফটোগ্রাফার ও পুলিশ তার কাছ থেকে ছবি গুলো কেড়ে নেয়। ডিসিপি শ্রীবাস্তব সন্দেহ করেন এর পেছনে সন্ত্রাসবাদীদের হাত আছে। তার বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। ইতিমধ্যে তাকে যে একাজে নিযুক্ত করেছিল সেই আমরে একজন চতুর, অত্যন্ত নিষ্ঠুর অপরাধী। সে ফোটোগ্রাফারের পুরো বাড়িটাই বোমায় উড়িয়ে দিলে পুলিশেরাও মারা যায়। ডিসিপি ফোনে খবর পান একটি বাড়িতে কিছু রহস্যজনক লোক লুকিয়ে আছে। মহালক্ষী নামের একটি তরুনী সেই খবর দিলে তিনি, ইন্সপেক্টর শেখর বর্মা, সাব ইন্সপেক্টর অশ্বীন ও বাকিদের নিয়ে সেখানে হানা দেন এবং দেখেন আহত এক সংগীকে মেরে সন্ত্রাসবাদীরা পালিয়েছে। মহালক্ষী ও আনসারিকে সংগে নিয়ে পুরো দল রওনা দেয় আনসারিকে আদালতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে। পথে আমরে তাদের নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করে। বোমার আক্রমনে পুলিশ জিপটি ধ্বংস হয়ে যায় ও ভ্যানগাড়ি টি খারাপ হয়। কাছের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে আমরের লোকজনের সাথে খন্ডযুদ্ধ হয় পুলিশের। শেখরের ধারণা আনসারিকে ছাড়িয়ে নিতেই তারা এসেছে। সে আনসারিকে বাইরে পাঠিয়ে দিতে চায়, কিন্তু ডিসিপি তাকে আদালতে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। আনসারি এসময় জানায় বাইরের সন্ত্রাসবাদীরা তাকে বাঁচাতে নয় হত্যা করতেই চায় কারণ সে জেনে ফেলেছিল বোম্বাই বোমা বিস্ফোরনে রাজনৈতিক নেতা দেওধর ও প্রভাবশালী লোকেরা জড়িত। তাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়, তার মা ও পুত্র বাদে সমস্ত পরিবারকে খুন করা হয় এবং এক সত্যসন্ধানী সাংবাদিক খুন হয়ে যান। ডিসিপি স্মরণ করতে পারেন আমরে একজন প্রাক্তন দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসার, যাকে তিনি মিথ্যা সংঘর্ষে মানুষ খুনের অজুহাতে ধরেছিলেন। আমরে অস্ত্রসজ্জিত হয়ে সকলকে বন্দী করলেও শেষমেশ রেহাই পান ডিসিপির দল। পালাতে গিয়ে আনসারির গুলি লাগে এবং সে হসপিটালে মারা যায়। ডিসিপি শ্রীবাস্তব বুঝতে পারেন এই ষড়যন্ত্রের ভেতরে আছে মন্ত্রী দেওধর, এডিশনাল কমিশনার নাইডু। আমরে আসলে তাদেরই লোক যাকে নিয়োগ করা হয়েছে যাতে করে আনসারি সহ পুরো দলটাকেই হত্যা করা যায়। ট্রেনে পালাবার সময় আমরের হাতে মারা যায় কনস্টেবল কমলেশ। ইতিমধ্যে মহালক্ষীর সাথে শেখরের প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। সে শেখরের সাথেই লুকিয়ে রাখা তথ্যের সন্ধানে যায় যা আনসারির পরিচিত নিহত সাংবাদিক লুকিয়ে রেখেছিল নির্দিষ্ট পোস্ট বক্সে। তথ্য নিয়ে পালানোর সময় শেখর কিন্তু ধরা পড়ে যায় আমরের হাতে। মহালক্ষী এসময় তাকে জানায় সে আসলে আমরেরই কাজ করে। শেখরকে খুন করে তারা তথ্য নিয়ে পালায় এবং ডিসিপি তাদের পিছু নেন অশ্বীনের সাথে।[৩][৪]
অভিনয়
সম্পাদনা- অমিতাভ বচ্চন - অনন্ত শ্রীবাস্তব (ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ)
- অক্ষয় কুমার - ইন্সপেক্টর শেখর বর্মা
- অজয় দেবগন - যশোবন্ত আমরে
- ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন - মহালক্ষী
- তুষার কাপুর - এস আই অশ্বীন গুপ্তে
- কমলেশ সাওন্ত - কনস্টেবল কমলেশ
- সব্যসাচী চক্রবর্তী - দেওধর (মন্ত্রী)
- প্রকাশ রাজ - নাইডু (এডিশনাল কমিশনার)
- ডি সন্তোষ - কনস্টেবল মাত্রে
- অতুল কুলকার্নী - ইকবাল আনসারি
- তনুজা - আনসারির মা
- জয়া প্রদা - ডিসিপি অনন্তের স্ত্রী
- লারা দত্ত - বিশেষ চরিত্রে[৪]
গান
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে খাকী (ইংরেজি)