ঐশ্বর্যা রাই
ঐশ্বর্যা রাই বা ঐশ্বরিয়া রায় (কন্নড়: ಐಶ್ವರ್ಯ ರೈ; আ-ধ্ব-ব: [ɛʃvərjɑː rɑːj]), যিনি বিবাহের পরে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন[২] হিসেবে পরিচিত, (জন্ম: নভেম্বর ১, ১৯৭৩), একজন জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় অভিনেত্রী এবং প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী। অভিনয় জগতে পদার্পণ করার আগে তিনি মডেল হিসেবে কাজ করতেন এবং ১৯৯৪ সালে বিশ্ব সুন্দরী খেতাব অর্জন করার পর ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেন। সমগ্র কর্মজীবনে রাই বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রসহ চল্লিশটিরও অধিক হিন্দী, ইংরেজি, তামিল, এবং বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
ঐশ্বর্যা রাই | |
---|---|
![]() ২০১৭ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ঐশ্বর্যা | |
জন্ম | |
অন্যান্য নাম | ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন |
পেশা | মডেল, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৯১ – বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | অভিষেক বচ্চন (বি. ২০০৭) |
সন্তান | ১[১] |
স্বাক্ষর | |
![]() |
গণমাধ্যমে প্রায়শই বিশ্বের অন্যতম সুন্দরী নারী [৩][৪][৫] হিসেবে উল্লেখিত রাই, মণি রত্নমের তামিল ছবি ইরুভার (১৯৯৭) ছবিতে অভিনেত্রী হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন এবং প্রথম বাণিজ্যিক সাফল্য পান তামিল ছবি জিন্স (১৯৯৮)-এ। তিনি সঞ্জয় লীলা ভন্সালী পরিচালিত হাম দিল দে চুকে সনম (১৯৯৯) ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এই মুভিতে থেকে সালমান খানের সাথে সম্পর্কের কথা উঠে। কিন্তু সম্পর্ক তেমন লম্বা হয়নি। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ২০০২ সালে ভন্সালীর পরবর্তী ছবি দেবদাস-এ তিনি অভিনয় করেন। যার জন্য তিনি দ্বিতীয় বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল ছিলো তার কর্মজীবনের একটু বাজে সময়। এর পর তিনি অভিনয় করেন ব্লকবাস্টার ছবি ধুম ২ (২০০৬)-তে। এই ছবিটা ছিল তার বলিউডের বৃহত্তম অর্থনৈতিক সাফল্য। পরবর্তী সময় তাকে গুরু (২০০৭) এবং যোধা আকবর (২০০৮) এ অভিনয় করতে দেখা যায়, যেগুলি ছিলো অর্থনৈতিকভাবে সফল ছবি এবং এই ছবি গুলোতে অভিনয়ের জন্য তিনি সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিতও হন। এইভাবে রাই ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে তার সমকালীন অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন অন্যতম অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
রাই বিয়ে করেছেন ভারতীয় অভিনেতা অভিষেক বচ্চনকে এবং তিনি অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের পুত্রবধূ। বিবাহের পর তার নাম হয়েছে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন।
প্রারম্ভিক জীবনসম্পাদনা
ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন মাঙ্গলুরুর কৃষ্ণারাজ রাই এবং ভ্রিন্দা রাই এর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বড় ভাইয়ের নাম আদিত্য রাই। যিনি বাণিজ্যিক নৌ-বহরের (মার্চেন্ট নেভি) একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং দিল কা রিশতা নামে রাই-এর একটি ছবিও তিনি সহ-প্রযোজনা করেছিলেন। ছোটবেলায় তার মা বাবা মুম্বইয়ে চলে আসেন এবং তিনি সান্তা ক্রুজের আর্য বিদ্যা মন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর এক বছরের জন্য রাই চার্চ গেটের জয় হিন্দ কলেজে পড়াশোনা করেন এবং তারপর তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পড়েন (এইচ এস সি) মাতুঙ্গার রুপারেল কলেজে থেকে। স্কুলে পড়াকালীন তিনি খুব মেধাবী ছাত্রী ছিলেন এবং পরবর্তীকালে একজন স্থপতি হবার পরিকল্পনা নিয়ে স্থাপত্যশিল্প বিষয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করেছিলেন। স্থাপত্যশিল্প নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেও মডেলিং কে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য তাকে তা ছেড়ে দিতে হয়েছিল।[৬]
তার মাতৃভাষা তুলু[[৭] হলেও তিনি হিন্দী, ইংরেজি, মারাঠি, বাংলা এবং তামিল ভাষায় সাবলীলভাবেই কথা বলতে পারেন।[৮]দেবদাস ও রেইনকোট চলচ্চিত্রে উনি সাবলীল বাংলা বলেন ।
চলচ্চিত্র তালিকাসম্পাদনা
এই তালিকাটি অসম্পূর্ণ; এটি সম্প্রসারণ করে আপনি সাহায্য করতে পারেন। |
- অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল (২০১৬)
- ধুম ২ (২০০৬)
- দেবদাস (২০০২)
- জোশ (২০০০)
- মোহাব্বতে (২০০০)
- হাম দিল দে চুকে সনম (১৯৯৯)
- আ আব লট চলে (১৯৯৯)
- ঢাই অক্ষর প্রেম কি (২০০০)
- কুছ না কাহো (২০০২)
- হাম তুমহারে হে সানাম (২০০২)
- অ্যাকশন রিপ্লে (২০১০)
- খার্কি (২০০৪)
- ফানি খান (২০১৮)
- চোখের বালি (২০০৩)
- গুরু (২০০৭)
- রেইনকোট (২০০৪)
সম্মাননাসম্পাদনা
সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে নিউইয়র্কে রাই আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হলিউড তারকা মাইকেল ডগলাসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।[৯] এক সপ্তাহ পর তিনি জাতিসংঘের এইডস ও এইচআইভিবিষয়ক সচেতনতায় নিয়োজিত ইউএনএইডসের নতুন আন্তর্জাতিক শুভেচ্ছা দূত মনোনীত হন। তিনি এইচআইভি সংক্রমণ থেকে শিশুদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বৈশ্বিকভাবে কাজ করে যাবেন।[১০]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Aishwarya Rai and husband reveal baby daughter's name –"। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১২।
- ↑ "The name's Bachchan, Aishwarya Bachchan!"। ExpressIndia। ২০০৭-০৫-০১। ২০০৯-০১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-২০।
- ↑ "The World's Most Beautiful Woman?" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে cbsnews.com. Retrieved on 27 October 2007
- ↑ Hiscock, Geoff (২০০৭)। India's global wealth club। John Wiley and Sons। পৃষ্ঠা 6। আইএসবিএন 0470822384।
- ↑ Chhabra, Aseem (৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৫)। "Ash does fine on Letterman"। Rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-০৯।
- ↑ Assomull, Sujata (৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯)। "My first break -- Aishwarya Ra"। Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-১৫।
- ↑ "'They should not break up soon'"। Rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-১৪।
- ↑ "Letterman unveils Ash to America"। Times of India। ২০০৫-০২-০৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০০৮।
- ↑ ""Aishwarya, Michael Douglas at UN to mark International Day of Peace". NDTV. Retrieved September 22, 2012."। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- ↑ "Aishwarya Rai named UNAIDS' goodwill ambassador". India Today. Retrieved september 25, 2012.
আরো পড়ুনসম্পাদনা
- Ghosh, Biswadeep (২০০৪)। Hall of Fame: Aishwarya Rai। Mumbai: Magna Books। আইএসবিএন 978-81-7809-244-7। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১১।
- Gitanjali Roy (১ নভেম্বর ২০১৩)। "Aishwarya Rai Bachchan: World's envy, India's pride"। NDTV।
- David Lagachu (ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৪)। "Why Aishwarya Rai Bachchan Is The Biggest Female Star Of India"। Koimoi।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
পুরস্কার ও স্বীকৃতি | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী করমিন্দর কৌর-বির্ক |
ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ১৯৯৪ |
উত্তরসূরী প্রীতি মাঙ্কোতিয়া |
পূর্বসূরী রুফ্ফা গুতেরেস |
মিস ওয়ার্ল্ড এশিয়া ও ওশেনিয়া ১৯৯৪ |
উত্তরসূরী চোই ইয়ুন-ইয়ং |