খন্দকার মাহবুব হোসেন

বাংলাদেশী আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন (২০ মার্চ ১৯৩৮ – ৩১ ডিসেম্বর ২০২২)[১] ছিলেন একজন বাংলাদেশী আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জন্যে গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২] তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।[৩]

খন্দকার মাহবুব হোসেন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভাইস চেয়াপারসন
কাজের মেয়াদ
৬ আগস্ট ২০১৬ – ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান
কাজের মেয়াদ
২০০৬ – ২০০৭
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৩৮-০৩-২০)২০ মার্চ ১৯৩৮
বামনা উপজেলা, বরগুনা
মৃত্যু৩১ ডিসেম্বর ২০২২(2022-12-31) (বয়স ৮৪)
ঢাকা
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশি
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
পেশাআইনজীবী

প্রাথমিক ও শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

খন্দকার মাহবুব হোসেন ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার পর তিনি ঢাকা নটরডেম কলেজে এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যয়ন করেন

কর্মজীবন সম্পাদনা

খন্দকার মাহবুব ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ওই বছরের ২০ অক্টোবর তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।[৫] আইন পেশায় বাংলাদেশের প্রথম সারির সব রাজনীতিবিদের মামলা পরিচালনা করেন। ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি চারবার ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে একবার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যোগ দেন । ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাা ও ২০১৬ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন থেকে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন।[৬] ওই আসন থেকে আগেও অন্য দল থেকে একাধিকবার তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মামলা ও গ্রেফতার সম্পাদনা

মাহবুব হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে যোগদানের জন্য গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানি শাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়।[৭] এছাড়া পুলিশের কর্তব্যে বাধার অভিযোগে খন্দকার মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার রমনা থানায় মামলা দায়ের হয়। ৭ জানুয়ারি ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।[৮] একই বছরের ২৩ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন।  [৯]

মৃত্যু সম্পাদনা

খন্দকার মাহবুব হোসেন তিনি করোনা থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১১টায় এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকায় মারা যান।[১০][১১] [১২][১৩] তাকে ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। [১৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব আর নেই | রাজনীতি"সময় সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-৩১ 
  2. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২৩ আগস্ট ২০১৪)। "বিচারকদের ওপর চাপ বাড়বে"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-১৭ 
  3. "খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই"দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  4. "খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই"যমুনা টেলিভিশন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৩ 
  5. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  6. "বরগুনা-২: ধানের শীষে লড়বেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী"www.jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  7. "বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব আর নেই"bdnews24.com। ২০২৩-০১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৫ 
  8. "খন্দকার মাহবুব হোসেনের স্ত্রীর ক্ষোভ"banglanews24.com। ২০১৪-০১-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১১ 
  9. "খন্দকার মাহবুবের জামিন"risingbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১১ 
  10. ফারাবি, সুফিয়ান (২০২২-১২-৩১)। "প্রবীন আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই"SATV। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-৩১ 
  11. "অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই"Barta24। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-৩১ 
  12. "করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে খন্দকার মাহবুব"Newsbangla24। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-৩১ 
  13. "লাইফ সাপোর্টে বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন"dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-৩১ 
  14. https://www.facebook.com/rtvonline। "খন্দকার মাহবুবের দাফন আজিমপুরে"RTV Online (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০৩