ক্লারেন্স উইম্বল

দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার

ক্লারেন্স স্কেলটন উইম্বল (ইংরেজি: Clarence Wimble; জন্ম: ২২ এপ্রিল, ১৮৬১ - মৃত্যু: ২৮ জানুয়ারি, ১৯৩০) কেপ উপনিবেশের গ্রাফ-রেইনেট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ক্লারেন্স উইম্বল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামক্লারেন্স স্কেলটন উইম্বল
জন্ম(১৮৬১-০৪-২২)২২ এপ্রিল ১৮৬১
গ্রাফ-রেইনেট, কেপ উপনিবেশ
মৃত্যু২৮ জানুয়ারি ১৯৩০(1930-01-28) (বয়স ৬৮)
জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কবিএস উইম্বল (ভ্রাতা); পিএস উইম্বল (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ২৩)
১৯ মার্চ ১৮৯২ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা ১০৮
ব্যাটিং গড় ০.০০ ২৭.০০
১০০/৫০ ০/০ ০/১
সর্বোচ্চ রান ৬২
বল করেছে - -
উইকেট - -
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/- ০/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন ক্লারেন্স উইম্বল। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৮৯০-৯১ মৌসুম থেকে ১৮৯১-৯২ মৌসুম পর্যন্ত ক্লারেন্স উইম্বলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। কার্যকরী মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি।

ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও দক্ষ ফিল্ডিংয়ের অধিকারী ক্লারেন্স উইম্বলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন মাত্র এগারো মাসের ছিল। ১৮৯১ সালে কারি কাপের খেলার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় ক্লারেন্স উইম্বলের। জোহেন্সবার্গের ওল্ড ওয়ান্ডেরার্সে কিম্বার্লী খেলতে আসে। আয়োজক ট্রান্সভালের সদস্য ছিলেন তিনি। এতে স্বাগতিক দল পরাজয়বরণ করেছিল। অসীম সময়ের ঐ খেলাটি সাত দিনব্যাপী স্থায়ী হয়। প্রথম ইনিংসে ৬২ রানে তুলে তিনি দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।[১][২]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ক্লারেন্স উইম্বল। ১৯ মার্চ, ১৮৯২ তারিখে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

ঘরোয়া ক্রিকেটে একটিমাত্র প্রথম-শ্রেণীর খেলায় দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে তাকে মনোনীত করা হয়। ১৮৯১-৯২ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমনে আসে। এ সফরে একটিমাত্র টেস্টের আয়োজন করা হয়। কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে তিনদিনের ঐ খেলাটিতে সফরকারী দল একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করেছিল। ইংল্যান্ড দল ইনিংস ও ১৮৯ রানের ব্যবধানে বিজয়ী হয়। উভয় ইনিংসে তিনি শূন্য রানে বিদেয় নেন। প্রথমটিতে ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে কট ও দ্বিতীয়টিতে দশ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।[৩]

২৮ জানুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে ৬৮ বছর বয়সে জোহেন্সবার্গে ক্লারেন্স উইম্বলের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Transvaal v Kimberley 1890-91"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৯ 
  2. "TODAY IN KIMBERLEY'S HISTORY 11 APRIL"kimberley। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  3. "Only Test, England tour of South Africa at Cape Town, Mar 19-22 1892"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৯ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা