কোক ও বিকোক

কলির সেনাপতি

কোকবিকোক হিন্দু ধর্মের দুটো চরিত্র এবং যমজ সেনাপতি যারা ভগবান বিষ্ণুর দশম ও চূড়ান্ত অবতার কল্কির বিরুদ্ধে যুদ্ধে কলিকে সহায়তা করবে যার আগমন ভবিষ্যতে কলি যুগের শেষে হবে।[১][২] এর কাহিনী কল্কি পুরাণে উল্লেখ রয়েছে।[৩]

কল্কির সাথে কলির যুদ্ধের ভবিষ্যতবাণী কল্কি পুরাণে পাওয়া যায় যেখানে কখন, কোথায় এবং কেন কল্কি নিজেকে প্রকাশ করবেন এবং কি করবেন তার উল্লেখ পাওয়া যায়।[২] হিন্দু সৃষ্টিতত্ত্ব অনুসারে বিশ্বজগত চারটি দীর্ঘ যুগে চক্রাকারে পরিভ্রমণ করে যেখানে কলি যুগ হচ্ছে চক্রের শেষে অবস্থিত।[৪] কলি যুগ ৩১০২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শুরু হয়েছে এবং এই যুগ শেষ হতে আরো ৪,২৭০ শতাব্দী বাকি।[৫] যমজ সেনাপতি কোক ও বিকোক দ্বারা কলি যুগের রাক্ষসরাজ কলি সাহায্যপ্রাপ্ত হবেন যারা কল্কিকে পরাজিত করতে কল্কি দ্বারা হত্যার চেয়ে দ্রুততম সময়ে নিজেদেরকে মৃত্যু থেকে পুনর্জীবিত করার মাধ্যমে কল্কির জীবন হুমকির মুখে ফেলবে। ব্রহ্মা ঘটনাক্রমে কল্কির সামনে উপস্থিত হয়ে জানাবেন কোন পার্থিব বা অপার্থিব অস্ত্র এই ভ্রাতাদের হত্যা করতে পারবেনা যতক্ষণ তারা একত্রে থাকবে; কল্কি তখনই তাদেরকে হারাতে পারবে যখন তাদেরকে আলাদা করে দিয়ে একই সময়ে আক্রমণ করা যাবে। অতঃপর কল্কি নিজেকে দুজনের মধ্যখানে বলপ্রয়োগ করার মাধ্যমে আলাদা করে তারপর দুজনের দেহে একই সময়ে চরম আঘাত হানে। এবার তারা চিরতরে মৃত্যুবরণ করে।

কল্কি পুরাণ অনুযায়ী কোক ও বিকোক দুজন শকুনি এবং বকাসুর এর নাতি, যাদেরকে মহাভারতের শকুনিবকাসুর ভেবে বিভ্রান্ত হওয়া যাবেনা। কোকা নামটির ব্যুৎপত্তি অস্পষ্ট এবং মনিয়ার-উইলিয়ামস সংস্কৃত অভিধান এর কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেয় না; বিকোকের নামটি কোক নামটির আগে বি- শব্দটি বসিয়ে গঠন করা হয়েছে।[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

উদ্ধৃতি সম্পাদনা

  1. Lochtefeld 2002, পৃ. 73।
  2. Gulati 2008, পৃ. 47।
  3. Rocher 1986, পৃ. 183 and fn.230।
  4. Cotterell 1986, পৃ. 94।
  5. Cotterell 1986, পৃ. 95।
  6. Monier-Williams 2002, পৃ. 949।

প্রকাশনা সম্পাদনা

আরো পড়ুন সম্পাদনা