কুয়াংচৌ

দক্ষিণ-পূর্ব চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের রাজধানী নগরী

কুয়াংচৌ[টীকা ১] (চীনা: 广州市; ফিনিন: Guǎngzhōu; আ-ধ্ব-ব: [kwàŋ.ʈʂóu]; শুনুন) দক্ষিণ-পূর্ব চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের রাজধানী নগরী, সমুদ্রবন্দর এবং শিল্প ও বাণিজ্যকেন্দ্র। দক্ষিণ চীনের ব্যস্ততম এই বন্দরনগরীটি কুয়াংতুং প্রদেশের দক্ষিণ-মধ্যভাগে, হংকং নগরীর উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরত্বে, দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূল থেকে চীনা মূল ভূখণ্ডের ১৪৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে, চু চিয়াং নদীর (মুক্তা নদী) বিশাল ব-দ্বীপ অববাহিকার উত্তর মাথায় অবস্থিত। চীনের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন নদী এবং সমুদ্রের সংযোগস্থলটিতে অবস্থানের কারণে কুয়াংচৌ বহুযুগ ধরেই চীনের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্রগুলির একটি। মূল কুয়াংচৌ নগরীর আয়তন প্রায় ২৮০ বর্গকিলোমিটার; বৃহত্তর নগরীর আয়তন প্রায় ৩,৮৪৩ বর্গকিলোমিটার এবং কুয়াংচৌ মহানগর এলাকার আয়তন প্রায় ৭,৪৩৪ বর্গকিলোমিটার। ২০১o সালের জনগণনা ও তৎকালীন নগরপাল ওয়ানছিং লিয়াংয়ের ভাষ্য অনুযায়ী নগরীতে প্রায় ১ কোটি ৩ লক্ষ নিবন্ধিত অধিবাসী এবং আরও প্রায় ৫০ লক্ষ বা অর্ধকোটি ভাসমান অধিবাসী ছিল।[৬] ২০১০ সালের জনসংখ্যার বিচারে কুয়াংচৌ একটি অতিমহানগরী, দক্ষিণ চীনের বৃহত্তম নগরী ও সমগ্র চীনের ৩য় বৃহত্তম নগরী (বেইজিং ও সাংহাইয়ের পরেই )।[৭][৮] ২০১৮ সালের শেষে এসে নগর কর্তৃপক্ষের প্রাক্কলন অনুযায়ী কুয়াংচৌ নগরীর নিবন্ধিত জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪৯ লক্ষ এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ৩.৮%।[৯]

কুয়াংচৌ
广州市
উপ-প্রাদেশিক নগরী
উপর থেকে: তিয়াংচি সিবিডি, দ্যা ক্যানটন টাওয়ার এবং চিগাং প্যাপোডা, হাইজু সেতু, সানইয়াট-সেন মেমোরিয়াল হল, পাঁচ ছাগলের মূর্তি, জেনহাই টাওয়ার, এবং কুয়াংচৌর পবিত্র থ্রেডাল
কুয়াংতোং প্রদেশে কুয়াংচৌ শহরের অবস্থান
কুয়াংতোং প্রদেশে কুয়াংচৌ শহরের অবস্থান
কুয়াংচৌ চীন-এ অবস্থিত
কুয়াংচৌ
কুয়াংচৌ
চীনে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°০৮′ উত্তর ১১৩°১৬′ পূর্ব / ২৩.১৩৩° উত্তর ১১৩.২৬৭° পূর্ব / 23.133; 113.267
দেশচীন
প্রদেশকুয়াংতুং
সরকার
 • ধরনঅধীনস্থ-প্রাদেশিক শহর
 • মেয়ররেন জিওফেন
 • মেয়রওয়েন গুওহিই
আয়তন[১]
 • উপ-প্রাদেশিক নগরী৭,৪৩৪.৪ বর্গকিমি (২,৮৭০ বর্গমাইল)
 • পৌর এলাকা৩,৮৪৩.৪৩ বর্গকিমি (১,৪৮৩.৯৫ বর্গমাইল)
উচ্চতা২১ মিটার (৬৮ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১৪)[২]
 • উপ-প্রাদেশিক নগরী১,৩০,৮০,৫০০
 • জনঘনত্ব১,৮০০/বর্গকিমি (৪,৬০০/বর্গমাইল)
 • পৌর এলাকা[৩]১,১২,৬৪,৮০০
 • মহানগর (2013)[৪]২,৩৯,০০,০০০
বিশেষণCantonese
সময় অঞ্চলচিনা প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৮:০০)
জিডিপি[৫]২০১৫
 - TotalCN¥1,81 ট্রলিয়ন
(US$275.13 বিলিয়ন)
 - Per capitaCN¥138,329
(US$21,026)
 - Growthবৃদ্ধি 8.4%
Licence plate prefixesA
ফুলবোমবাক্স কাইবে
পাখিচাইনিজ হামেই
ওয়েবসাইটenglish.gz.gov.cn
কুয়াংচৌ
"Guangzhou" in Traditional (top) and Simplified Chinese (bottom)
Bombax ceiba, the official flower of Guangzhou
সরলীকৃত চীনা 广州
ঐতিহ্যবাহী চীনা 廣州
ক্যান্টনীয় উপভাষা ইয়েলGwóngjāu
পোস্টালCanton

প্রশাসনিকভাবে কুয়াংচৌ নগরীটিকে একটি উপপ্রদেশের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।[১০] এটি চীনের নয়টি জাতীয় কেন্দ্রীয় নগরীর একটি।[১১]

ভৌগোলিকভাবে কুয়াংচৌ নগরকেন্দ্রটি উত্তরের পাই ইউন (শুভ্রমেঘ) নামের একটি অনতিউচ্চ (৩৮২ মিটার) পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। নগরকেন্দ্রের ঠিক দক্ষিণ ঘেঁষে চু চিয়াং নদীটি চলে গিয়েছে। এটি শি নদীর শাখা হিসেবে বের হয়ে পরে তুং নদীর সাথে মিলিত হয়ে দক্ষিণের চুচিয়াং ব-দ্বীপ অববাহিকার উত্তর সীমানা গঠন করেছে। কুয়াংচৌ নগরীর জলবায়ু আর্দ্র উপক্রান্তীয় ও মৌসুমী বায়ু দ্বারা প্রভাবিত। আর্দ্র, উত্তপ্ত গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং মাঝে মাঝে টাইফুন ঘূর্ণিঝড় হয়। সারা বছর ধরেই কৃষিকাজ চলে ও ফলন হয়। এছাড়া সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের ফুল ফোটে বলে কুয়াংচৌকে "ফুলের নগরী" (হুয়াছেং) নাম দেওয়া হয়েছে।

কুয়াংচৌ চীনের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ নগরীগুলির একটি। স্থানীয় অধিবাসীরা ইউয়ে ভাষায় কথা বলে, যা সিংহভাগ চীনাদের দ্বারা কথিত ম্যান্ডারিন ভাষা অপেক্ষা ভিন্ন। তবে উত্তর ও পূর্ব চীন থেকে কাজের সন্ধানে আগত অনেক অভিবাসী কর্মীর সংখ্যাবৃদ্ধির সাথে সাথে ম্যান্ডারিন ভাষার প্রচলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কুয়াংচৌ থেকে ২০শ শতকের প্রথমভাগে প্রচুর অধিবাসী পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী হয় এবং ১৯৮০-র দশকে এদের অনেকেই মাতৃনগরীতে ফেরত আসে। অন্যান্য প্রদেশ থেকে আগত অস্থায়ী শ্রমিক ও পাশ্চাত্য প্রত্যাবর্তনকৃত প্রবাসীদের কারণে কুয়াংচৌয়ের জনতাত্ত্বিক চেহারায় পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে সেখান থেকে এবং পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বহুসংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান-বংশোদ্ভূত অস্থায়ী অভিবাসী কুয়াংচৌ নগরীতে একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে আগমন করে।[১২] ফলে শহরের জনতাত্ত্বিক কাঠামোয় আরও পরিবর্তন আসে।

কুয়াংচৌয়ের প্রতিষ্ঠা নিয়ে তেমন নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। এটি একটি প্রাচীন লোকালয় যাকে খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকে চীনা সাম্রাজ্যের অঙ্গীভূত করে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে মিং রাজবংশের শাসনামলে নগরীটির গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। কুয়াংচৌ ছিল বিদেশীদের জন্য উন্মুক্ত সর্বপ্রথম চীনা সমুদ্রবন্দর। খ্রিস্টীয় ৩য় শতক থেকেই আরব, পারসিক, ভারতীয় ও অন্যান্য এশীয় বণিকেরা নিয়মিত বন্দরটিতে ব্যবসার জন্য আসত। ১৬শ শতক থেকে রেশম ও চীনামাটির তৈজসপত্রের সন্ধানে এখানে ইউরোপ থেকে পর্তুগিজ বণিকদের আগমন ঘটে। ১৭শ শতকের শেষভাগে প্রথমে ইংরেজ ও পরে ১৮শ শতকে ফরাসি ও ওলন্দাজ ব্যবসায়ীরা এখানে পদার্পণ করে। ইউরোপীয়রা নগরীটিকে "ক্যান্টন" বা এই জাতীয় নামে ডাকত। ইংরেজদের আফিম বাণিজ্যে কুয়াংচৌ প্রতিরোধ সৃষ্টি করলে ইউরোপীয়দের সাথে চীনাদের আফিম যুদ্ধ (১৮৩৯-১৮৪২) সংঘটিত হয়। যুদ্ধে চীনাদের পরাজয় ঘটে ও ১৮৪২ সালে কুয়াংচৌকে চুক্তি করে বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য আংশিক উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যবসায়িক সীমাবদ্ধতা অব্যাহত থাকার জের ধরে ব্রিটিশ ও ফরাসিরা ১৮৫৬ থেকে ১৮৬১ সাল পর্যন্ত নগরীটিকে নিয়ন্ত্রণ করে। শেষ পর্যন্ত ১৮৬১ সালে চু নদীর উপরের একটি চরকে (পরবর্তীতে যাকে শা-মিয়েন দ্বীপে রূপান্তরিত করা হয়) বিদেশীদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বসতি স্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিয়ে দেওয়া হয়। ১৯শ শতকের শেষভাগে এসে কুয়াংচৌ নগরীটি চীনের জাতীয়তাবাদী দলের বিপ্লবী রাজনৈতিক ধ্যানধারণার এক ধরনের পীঠস্থানে পরিণত হয়। ১৯১১-১২ সালে সুন ইয়াত-সেনের (সুন চুংশান) নেতৃত্বে চীনে যে প্রজাতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত হয়, কুয়াংচৌ তার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। এই বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে চীন প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়; কুয়াংচৌতে এসময় খুওমিনথাং নামক প্রধান রাজনৈতিক দলটির প্রাথমিক কার্যালয়টি অবস্থিত ছিল। ১৯২০-এর দশকে ব্যাপক পৌর পুনঃউন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হয়। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে জাপানিরা কুয়াংচৌ নগরীর উপর বোমাবর্ষণ করে এবং এটির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৪৬ সালে শা-মিয়েন দ্বীপটিকে বিদেশীরা চীনকে ফেরত দিয়ে দেয়। বিশ্বযুদ্ধের পরে নগরীটি একটি শিল্পকেন্দ্র হিসেবে বিকাশ লাভ করে। শিল্পখাতের সম্প্রসারণ ও পৌর উন্নয়নের পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধন ও বন্দরের উন্নয়ন সাধনমূলক কর্মকাণ্ডগুলিও সম্পাদন করা হয়। পাশ্চাত্যের দেশগুলির সাথে চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা হলে কুয়াংচৌকে ১৯৮৪ সালে আরও বেশ কয়েকটি নগরীর সাথে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য নির্ধারিত অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে মনোনীত করা হয়। নগরীর প্রসারমান অর্থনীতি সমগ্র কুয়াংতুং প্রদেশের অর্থনীতি চাঙা করতে সাহায্য করে।

বহুকাল যাবৎ কুয়াংচৌ ছিল চীনের একমাত্র বন্দর যাতে সিংহভাগ বিদেশী বণিকদের প্রবেশাধিকার ছিল। প্রথম আফিম যুদ্ধে ব্রিটিশদের হাতে পতনের পরে নগরীটি এই একচেটিয়া মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এবং অন্যান্য বন্দর যেমন সাংহাইহংকংয়ের কাছে কুয়াংচৌ অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য হারায়। তারপরেও একটি প্রধান আড়ত নগরী হিসবে এর মর্যাদা বজায় থাকে। বর্তমানে কুয়াংচৌতে খাদ্য (বিশেষত চিনি) প্রক্রিয়াজাতকরণ, বস্ত্র, ইস্পাত, কাগজ, সিমেন্ট, রাসায়নিক সার, রাসায়নিক দ্রব্য, মোটরযান ও যন্ত্রপাতি নির্মাণের শিল্পকারখানা আছে। নগরীটি সমুদ্র উপকূলের কাছে হুয়াংফু নামের একটি গভীর জলের পোতাশ্রয়বিশিষ্ট বহির্বন্দরের সাথে সংযুক্ত। এছাড়া কুয়াংচৌ নগরীর সাথে হংকং ও বেইজিং নগরীর সাথে রেলপথে যোগাযোগ রয়েছে। কুয়াংচৌ চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক বাণিজ্য কেন্দ্র। প্রতিবছর এখানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হয়, যাদের মধ্যে ক্যান্টন বাণিজ্যমেলাটি প্রাচীনতম ও বৃহত্তম। আন্তর্জাতিক ইংরেজিভাষী ব্যবসায় সাময়িকী ফোর্বস ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছর কুয়াংচৌ নগরীকে মূল চীনা ভূখণ্ডের সেরা বাণিজ্যিক নগরীর মর্যাদা দান করে।[১৩] প্রতিবেশী ফোশান, তুংকুয়ান, চুংশানশেনচেন নগরীগুলির সাথে একত্রে মিলে কুয়াংচৌ নগরীটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম একটি পৌরপিণ্ড গঠন করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে মুক্তা নদীর ব-দ্বীপ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এটি চীনের মূল ভূখণ্ডের বৃহত্তম মহাপৌরপুঞ্জ এলাকাটির হৃৎকেন্দ্রে অবস্থিত।

শিক্ষাক্ষেত্রেও কুয়াংচৌ চীনের অগ্রগণ্য একটি কেন্দ্র। ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত চুংশান (সুন ইয়াত সেন) বিশ্ববিদ্যালয়, একটি চিকিৎসা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একটি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং আরও অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান এখানে।

কুয়াংচৌ নগরীর দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে আছে শা-মিয়েন দ্বীপ, যেখানে অতীতে বিদেশী বণিকেরা বাস করত; মিং রাজবংশের আমলে ১৩৬৮-১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত একটি মন্দির, যেটিকে বর্তমানে কৃষক আন্দোলন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়েছে; ছয়টি বটবৃক্ষের মন্দির ও তার প্যাগোডা; ইউয়ে শিউ নগর-উদ্যানের ভেতরে অবস্থিত ও ১৪শ শতকে নির্মিত একটি সুউচ্চ পর্যবেক্ষণ চৌকি (বর্তমানে বাক্স আকৃতির কুয়াংচৌ জাদুঘরে পরিণত); নীল ছাদবিশিষ্ট সুন ইয়াত-সেন স্মারক মিলনায়তন; এবং একটি মসজিদ, যেটিকে চীনের প্রাচীনতম মসজিদ বলে কেউ কেউ দাবী করে থাকেন। চেন গোষ্ঠীর পূর্বপুরুষের মিলনায়তন ১৮৯৪ সালে নির্মিত একটি মন্দির এলাকা, যেখানে কুয়াংতুং লোকশিল্পকলা জাদুঘরটি অবস্থিত। আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত ভবন ও স্থাপনাগুলির মধ্যে রয়েছে আভঁ-গার্দ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত জাহা হাদিদের নকশায় কুয়াংচৌ গীতিনাট্যশালা (যেটি "দুই নুড়িপাথর" নামেও পরিচিত) এবং নগরীর অন্যতম দৃশ্যমান প্রতীক ক্যান্টন টিভি বুরূজ নামক আকাশচুম্বী অট্টালিকাটি, যেটি দেখতে সরু একটি বালিঘড়ির মত।

২০১০ সালে কুয়াংচৌ শহরে এশীয় গেমস অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশাসনিক বিভাগসমূহ সম্পাদনা

কুয়াংচৌ চীনের একটি প্রশাসনিক এলাকা।

কুয়াংচৌয়ের প্রশাসনিক বিভাগসমূহ
Division code[১৪] English name Chinese Pinyin Area in km2[১৫] Population 2010[১৬] Seat Postal code Divisions[১৭]
Subdistricts Towns Residential communities Administrative villages
440100 Guangzhou City 广州市 Guǎngzhōu Shì 7,434.40 12,701,948 Yuexiu District 510000 136 34 1533 1142
440103 লিওয়ান জেলা 荔湾区 Lìwān Qū 59.10 898,200 Jinhua Subdistrict 510000 22 195
440104 ইউয়েশিউ জেলা 越秀区 Yuèxiù Qū 33.80 1,157,666 Beijing Subdistrict 510000 18 267
440105 হাইচু জেলা 海珠区 Hǎizhū Qū 90.40 1,558,663 Jianghai Subdistrict 510000 18 257
440106 থিয়েনহো জেলা 天河区 Tiānhé Qū 96.33 1,432,426 Tianyuan Subdistrict 510000 21 205
440111 পাই-ইউন জেলা 白云区 Báiyún Qū 795.79 2,223,150 Jingtai Subdistrict 510000 18 4 253 118
440112 হুয়াংফু জেলা 黄埔区 Huángpǔ Qū 484.17 831,586 Luogang Subdistrict 510500 14 1 90 28
440113 ফান-ইউ জেলা 番禺区 Pānyú Qū 529.94 1,764,828 Shiqiao Subdistrict 511400 11 5 87 177
440114 হুয়াতু জেলা 花都区 Huādū Qū 970.04 945,005 Huacheng Subdistrict 510800 4 6 50 188
440115 নানশা জেলা 南沙区 Nánshā Qū 783.86 259,900 Huangge Town 511400 3 6 28 128
440117 ছুংহুয়া জেলা 从化区 Cónghuà Qū 1,974.50 593,415 Jiekou Subdistrict 510900 3 5 46 221
440118 সেংছেং জেলা 增城区 Zēngchéng Qū 1,616.47 1,037,109 Licheng Subdistrict 511300 4 7 55 282

কুয়াংচৌয়ের পরিবহন সম্পাদনা

দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাসমূহ সম্পাদনা

কুয়াংচৌ শহরের ৩৬০ ডিগ্রী ছবি
রাতের কুয়াংচৌ শহর

টীকা সম্পাদনা

  1. এই ম্যান্ডারিন চীনা ব্যক্তিনাম বা স্থাননামটির বাংলা প্রতিবর্ণীকরণে উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় ম্যান্ডারিন চীনা শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ শীর্ষক রচনাশৈলী নিদের্শিকাতে ব্যাখ্যাকৃত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে "গুয়াংঝৌ", "গুয়াংজৌ", "গুয়াংঝু", "গুয়াংজু", ইত্যাদি বানানও দেখা যেতে পারে, কিন্তু বাংলা উইকিপিডিয়াতে সঠিক চীনা উচ্চারণের সবচেয়ে কাছাকাছি এবং সহজে পঠনযোগ্য প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "土地面积、人口密度(2008年)"। Statistics Bureau of Guangzhou। ২০১৫-০৩-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-০৮ 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" 2014年广州市国民经济和社会发展统计公报 [Guangzhou Economic and Social Development Statistics Bulletin 2014] (চীনা ভাষায়)। Guangzhou Daily। ২০১৫-০৩-২২। ২০১৬-০৩-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-০১ 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" 统计年鉴2014 [Statistical Yearbook 2014] (চীনা ভাষায়)। Statistics Bureau of Guangzhou। ২০১৫-০৪-০৭। ২০০৯-১২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-০১ 
  4. "统计年鉴"। ১৪ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৬ 
  5. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" 2015年广州市国民经济和社会发展统计公报 (Chinese ভাষায়)। Statistics Bureau of Guangzhou। জানু ২৫, ২০১৬। মে ২, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-২৫ 
  6. Guangzhou faces population crisis, South China Morning Post, 25 March, 2011, সংগ্রহের তারিখ 19 July, 2020  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  7. "Illuminating China's Provinces, Municipalities and Autonomous Regions"। PRC Central Government Official Website। ২০১৪-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-১৭ 
  8. "Tourism Administration of Guangzhou Municipality"visitgz.com। সেপ্টেম্বর ৬, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-২১ 
  9. 广州常住人口去年末超1490万। ২০১৯-০২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-১৬ 
  10. 中央机构编制委员会印发《关于副省级市若干问题的意见》的通知. 中编发[1995]5号docin.com। ফেব্রুয়ারি ১৯, ১৯৯৫। মে ২৯, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-২৮ 
  11. 全国乡镇规划确定五大中心城市Southern Metropolitan Daily। ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১০। জুলাই ৩১, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-২৯ 
  12. Mensah Obeng, Mark Kwaku (২০১৮)। "Journey to the East: a study of Ghanaian migrants in Guangzhou, China"। Canadian Journal of African Studies53: 67–87। ডিওআই:10.1080/00083968.2018.1536557 
  13. "Guangzhou tops best mainland commercial cities rankings"। chinadaily। ডিসেম্বর ১৬, ২০১৪। আগস্ট ২৪, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-০১ 
  14. "中华人民共和国县以上行政区划代码"। 中华人民共和国民政部। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৬ 
  15. 广州市统计局 (2013.08)। 《广州统计年鉴2013》। 中国统计出版社। আইএসবিএন 978-7-5037-6651-0  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  16. shi, Guo wu yuan ren kou pu cha ban gong; council, Guo jia tong ji ju ren kou he jiu ye tong ji si bian = Tabulation on the 2010 population census of the people's republic of China by township / compiled by Population census office under the state; population, Department of; statistics, employment statistics national bureau of (২০১২)। Zhongguo 2010 nian ren kou pu cha fen xiang, zhen, jie dao zi liao (Di 1 ban. সংস্করণ)। Beijing Shi: Zhongguo tong ji chu ban she। আইএসবিএন 978-7-5037-6660-2 
  17. 中华人民共和国民政部 (2014.08)। 《中国民政统计年鉴2014》। 中国统计出版社। আইএসবিএন 978-7-5037-7130-9  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

টেমপ্লেট:Wikisource category

পূর্বসূরী
N/A
Capital of Nanyue
Nanyue
204–111 BC
উত্তরসূরী
N/A
পূর্বসূরী
Fengtian
Capital of China
Republic of China
July 1, 1925 – February 21, 1927
উত্তরসূরী
Wuhan
পূর্বসূরী
Taiyuan
Capital of China
Republic of China
May 28, 1931 – December 22, 1931
উত্তরসূরী
Chongqing
পূর্বসূরী
Nanjing
Capital of China
Republic of China
April 23, 1949 – October 14, 1949
উত্তরসূরী
Chongqing