কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ

বাংলাদেশের একটি মিলিটারি উচ্চ বিদ্যালয়

কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ কুমিল্লায় অবস্থিত বাংলাদেশের দশম ক্যাডেট কলেজ।

কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ
কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের লোগো
কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের প্রধান ফটক
অবস্থান
মানচিত্র
কোটবাড়ী, কুমিল্লা

,
স্থানাঙ্ক২৩°২৫′৪৪″ উত্তর ৯১°০৮′০৪″ পূর্ব / ২৩.৪২৮৮৬° উত্তর ৯১.১৩৪৫৩° পূর্ব / 23.42886; 91.13453
তথ্য
নীতিবাক্যজ্ঞানই আলো
প্রতিষ্ঠাকাল৭ জুলাই ১৯৮৩; ৪০ বছর আগে (1983-07-07)
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা
ইআইআইএন১৩৩৮৪৪
অধ্যক্ষমোঃ কামরুজ্জামান (ভারপ্রাপ্ত)
অ্যাডজুট্যান্টমেজর রুবায়েদ হোসেন রিয়াদ
ভাষাইংরেজী
আয়তন৫২ একর (২,১০,০০০ মি)
রং     আকাশী নীল
প্রথম অধ্যক্ষলেফটেন্যান্ট কর্নেল নুরুল আনোয়ার
ওয়েবসাইটccc.army.mil.bd

ইতিহাস সম্পাদনা

স্বাধীনতার পূর্বে সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজরাজশাহী ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই চারটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের ফলশ্রুতিতে আরও ছয়টি ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়। কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৮৩ সালের ১ জুলাই 'কুমিল্লা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল' নামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বিলুপ্ত করে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে রূপান্তরিত করা হয়। ১৯৮৪ সালের ৭ এপ্রিল তৎকালীণ অধ্যক্ষ লেঃ কর্ণেল নুরুল আনোয়ারের নেতৃত্বে ১৫০ জন ক্যাডেট নিয়ে অনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রাক্তন অধ্যক্ষ সম্পাদনা

  • লেঃ কর্ণেল নুরুল আনোয়ার- প্রথম অধ্যক্ষ
  • কমাণ্ডার আবদুল জব্বার
  • উইং কমাণ্ডার আমজাদ হোসন
  • ক্যাপ্টেন মোসলেহউদ্দিন
  • অধ্যাপক তসলিম উদ্দিন
  • গ্রুপ ক্যাপ্ট. মাহমুদ মেহেদী হোসাইন
  • কর্ণেল রেজাউল হাসান, পি এস সি

অবস্থান সম্পাদনা

কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার পশ্চিমে লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে, শালবন বিহারের কাছে কলেজের অবস্থান। প্রাথমিক অবস্থায় কলেজের আয়তন ছিল ৩১.৫৫ একর। বর্তমানে কলেজের আয়তন ৫১ একর।[১]

প্রশাসন সম্পাদনা

ক্যাডেট কলেজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাডেট কলেজ বোর্ড এর দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল কর্তৃক সরাসরি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। সামরিক বাহিনীর লে: কর্নেল সমমর্যাদার অফিসার বা ক্যাডেট কলেজের সিনিয়র কোন অধ্যাপক অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মূলত ক্যাডেট কলেজের সার্বিক বিষয় তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করেন। উপাধ্যক্ষ শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে এবং মেজর পদমর্যাদার একজন সামরিক অফিসার (অ্যাডজুটেন্ট) প্রশাসনিক বিষয়ে অধ্যক্ষকে সহায়তা করে থাকেন। প্রত্যেক হাউসে একজন সিনিয়র শিক্ষক ‘হাউস মাস্টার’-এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হাউসের সার্বিক বিষয়াদি দেখাশোনা করেন। এর পাশাপাশি ক্যাডেটদের সকল কর্মকাণ্ড সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার জন্য দ্বাদশ শ্রেণী হতে বাছাইকৃত কয়েকজনকে যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রিফেক্ট হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়। তাদের সহযোগিতার জন্য একাদশ শ্রেণী থেকে জুনিয়র প্রিফেক্ট মনোনয়ন দেওয়া হয়।

ছাত্রসংখ্যা সম্পাদনা

মোটছাত্রসংখ্যা: ৩০৪ জন।

জনছাত্রসংখ্যা(শ্রেণীভিত্তিক): ৭ম-৫১, ৮ম-৫০, ৯ম-৫৩, ১০ম-৫৩, ১১শ-৪৮, ১২শ-৪৯।[১]

হাউসসমূহ সম্পাদনা

হাউস যার নামে নাম হাউস নীতিবাক্য প্রতীক রং
তিতাস হাউস তিতাস নদী চরিত্রই শক্তি সিংহ সবুজ
গোমতী হাউস গোমতী নদী সত্যই সুন্দর ঈগল লাল
মেঘনা হাউস মেঘনা নদী কর্মই জীবন বাঘ নীল

কৃতি শিক্ষার্থী সম্পাদনা

  • মেজর জেনারেল জুবায়ের সালেহীন, ইঞ্জিনিয়ার ইন চীফ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
  • শাহীন দিল-রিয়াজ, বার্লিন নিবাসী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক। ‘লোহাখোর’ চলচ্চিত্রের জন্য গ্রিমে পুরস্কার বিজয়ী।
  • নওশাদ আমিন, অধ্যাপক, ইইই ডিপার্টমেন্ট, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ মালয়েশিয়া এবং প্রধান ‘‘ফটোভোল্টিক সিস্টেমস এণ্ড অ্যাডভান্সড সোলার সেলস রিসার্চ গ্রুপ, মালয়েশিয়া"৷
  • রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী, লেখক, অনুবাদক ও স্প্যানিশ ভাষা ও সাহিত্য বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
  • এ কে এম মাজহারুল ইসলাম, কবি ও নৃবিজ্ঞানী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
  • মাসউদুল হক, কথা সাহিত্যিক। পুরস্কারপ্রাপ্ত উপন্যাস ‘দীর্ঘশ্বাসেরা হাওড়ের জলে ভাসে’-এর লেখক।

প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন সম্পাদনা

কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠনের নাম এসোসিয়েশন অব কুমিল্লা ওল্ড ক্যাডেটস। ১৯৮৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রথম ইনটেকের প্রাক্তন ছাত্রদের উদ্যোগে ঢাকায় সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়।সংগঠনটি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৭ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা