কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস একটি এক্সপ্রেস ট্রেন, যা মূলত ভারতের পূর্ব রেলওয়ে দ্বারা পরিচালিত। ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিয়ালদহ এবং আসাম রাজ্যের শিলচরর ও ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা মধ্যে আসা যাওয়া করে থাকে। সমস্ত পথের মধ্যে শিয়ালদাহ থেকে বদরপুর অব্দি দৈনিক যাতায়াত করে , তারপর সপ্তাহে ৪ দিন আগরতলা ও ৩ দিন শিলচর যায়। এটি ত্রি-সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ১৩১৭৫/১৩১৭৬ ট্রেন সংখ্যার সাথে পরিচালিত হচ্ছে।[১][২][৩][৪]
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | এক্সপ্রেস |
প্রথম পরিষেবা | ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ |
বর্তমান পরিচালক | পূর্ব রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | শিয়ালদহ (এসডিএএইচ) |
বিরতি | ৩৮ |
শেষ | আগরতলা (AGTL) শিলচর (SCL) |
ভ্রমণ দূরত্ব | ১,৩৫৯ কিমি (৮৪৪ মা) |
যাত্রার গড় সময় | ৩৩ঘ. ৫৫মি. |
পরিষেবার হার | ত্রি-সাপ্তাহিক |
রেল নং | ১৩১৭৫/১৩১৭৬ |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী | সংরক্ষিত, এসি ৩ টিয়ার, শয়ন যান, সাধারণ/অনারক্ষিত |
আসন বিন্যাস | হ্যাঁ |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | হ্যাঁ |
খাদ্য সুবিধা | হ্যাঁ ই-ক্যাটারিং |
পর্যবেক্ষণ সুবিধা | আইসিএফ বগি |
বিনোদন সুবিধা | না |
কারিগরি | |
গাড়িসম্ভার | ২ |
ট্র্যাক গেজ | ১৬৭৬মি.মি. |
পরিচালন গতি | ৪০ কিমি/ঘ (২৫ মা/ঘ) থামা সহ |
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হিমালয় পর্বতমালার দৃশ্য কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গের নামে নামকরণ করা হয়েছিল, ১৯৬০ সালে এই ট্রেনটি শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি চালু হয়।
সেবাসমূহ
সম্পাদনা১৩১৭৫ শিয়ালদহ - শিলচর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় ১৩৫৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় ৩৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে (৪০ কিমি/ঘণ্টা) এবং ১৩১৭৬ শিলচর - শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় ১৩৫৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় ৩২ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে (৪১ কিমি/ঘণ্টা) ফেরৎ আসে। ট্রেনটিতে একটি ই-ক্যাটারিং এর ব্যবস্থা আছে যেখানে খাবার ব্যবস্থা আছে। ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিসীমা উঠে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় এবং সর্বনিম্ন গতিসীমা থাকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
সময়সূচী
সম্পাদনা- ১৩১৭৫ শিয়ালদহ - শিলচর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় প্রত্যহ সোমবার, বুধবার এবং শনিবার ভারতীয় সময় সকাল ০৬:৩৫ ঘটিকায় এবং শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে পৌছায় পরের দিন ভারতীয় সময় বিকাল ১৬:৩০ ঘটিকায়।
- ১৩১৭৬ শিলচর - শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি শিলচর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায় প্রত্যহ সোমবার, বুধবার এবং শুক্রবার ভারতীয় সময় সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় এবং শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশনে পৌছায় পরের দিন সন্ধ্যা ১৯:২৫ ঘটিকায়।
রুট এবং স্টেশন
সম্পাদনাট্রেনের রুট গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনসমূহঃ-
স্টেশন | রেল বিভাগ | রেল অঞ্চল | রেল পথ | স্টেশন শ্রেণী |
---|---|---|---|---|
শিয়ালদহ | শিয়ালদহ | পূর্ব রেল | চৌ-বৈদ্যুতিক পথ | NSG-1 |
বর্ধমান জংশন | হাওড়া | পূর্ব রেল | চৌ-বৈদ্যুতিক পথ | NSG-2 |
বোলপুর শান্তিনিকেতন | হাওড়া | পূর্ব রেল | দ্বি-বৈদ্যুতিক পথ | NSG-4 |
মালদা টাউন | মালদা টাউন | পূর্ব রেল | দ্বি-বৈদ্যুতিক পথ | NSG-3 |
নিউ জলপাইগুড়ি জংশন | কাটিহার | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | দ্বি-বৈদ্যুতিক পথ | NSG-2 |
নিউ কোচবিহার জংশন | আলিপুরদুয়ার | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | দ্বি-বৈদ্যুতিক পথ | NSG-3 |
নিউ আলিপুরদুয়ার | আলিপুরদুয়ার | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | দ্বি-বৈদ্যুতিক পথ | NSG-3 |
নিউ বঙাইগাঁও জংশন | রাঙিয়া | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | দ্বি-বৈদ্যুতিক পথ | NSG-3 |
বড়পেটা রোড | রাঙিয়া | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | দ্বি পথ | NSG-4 |
রঙিয়া | রাঙিয়া | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | দ্বি পথ | NSG-3 |
কামাখ্যা জংশন | লামডিং | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | দ্বি পথ | NSG-3 |
গুয়াহাটি | লামডিং | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | দ্বি-বৈদ্যুতিক পথ | NSG-2 |
লামডিং জংশন | লামডিং | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | দ্বি-বৈদ্যুতিক পথ | NSG-4 |
নিউ হাফলং | লামডিং | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | একক পথ | NSG-6 |
বদরপুর | লামডিং | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | একক পথ | NSG-5 |
# শিলচর | লামডিং | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | একক-বৈদ্যুতিক পথ | NSG-4 |
ধর্মনগর | লামডিং | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | একক পথ | NSG-5 |
আগরতলা | লামডিং | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | একক পথ | NSG-5 |
বগি সমূহ
সম্পাদনাট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ১১০ কিলোমিটারের সাথে সঠিক আইসিএফ রেক রয়েছে। ট্রেনে ২১ টি কোচ রয়েছে।
- ১ টি এসি ২ টিয়ার
- ৪ টি এসি ৩ টিয়ার
- ৫ টি সংরক্ষিত আসন
- ৭ টি শয়ন যান
- ৪ টি সাধারণ/অনারক্ষিত
- ২ টি বসার সহ লাগেজ রেক এবং গার্ড
ইঞ্জিনসমূহ
সম্পাদনাউভয় ট্রেনটি বর্ধমান লোকো শেড ভিত্তিক (ডব্লিউডিএম ৩এ) ডিজেল ইঞ্জিন দ্বারা শিয়ালদহ থেকে মালদা টাউন চালিত হয়। ট্রেনটি মালদা টাউন লোকো শেড ভিত্তিক (ডব্লিউডিএম ৩এ) ডিজেল ইঞ্জিনটি মালদা টাউন থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত যায় এবং এর বিপরীত দিকে আসে। ট্রেনটি শিলিগুড়ি লোকো শেড ভিত্তিক (ডব্লিউডিপি-৪) ডিজেল ইঞ্জিনটি গুয়াহাটি থেকে শিলচর পর্যন্ত যায় এবং এর বিপরীত দিকে আসে।
অভিমুখ পরিবর্তন
সম্পাদনাট্রেনটি ২ বার অভিমুখ পরিবর্তন করেঃ
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Passenger train services restored"। ১৩ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ "Rain, landslides disrupt road, rail traffic in Northeast"। ২০১৭-০৮-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-২৭।
- ↑ "Train services remain cancelled between Guwahati and Barak Valley"। ২৭ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৯।
- ↑ "Trains disrupted in Lumding-Badarpur section"। ১৩ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১।