কফি

বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয় এক প্রকার পানীয়

কফি (ইংরেজি: Coffee) বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয় পানীয়।[৩] পানির সাথে ফুটিয়ে রান্না করা "কফি বীজ" নামে পরিচিত এক প্রকার বীজ পুড়িয়ে গুঁড়ো মিশিয়ে কফি তৈরি করা হয়। এই বীজ কফি চেরি নামক এক ধরনের ফলের বীজ। প্রায় ৭০টি দেশে এই ফলের গাছ জন্মে। সবুজ কফি বিশ্বের সব থেকে বেশি বিক্রীত কৃষিপণ্যের মধ্যে একটি। কফিতে ক্যাফেইন নামক এক প্রকার উত্তেজক পদার্থ রয়েছে।[৪] ৮ আউন্স কফিতে প্রায় ১৩৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে।[৫] কফির উপাদান ক্যাফেইনের জন্যে কফি মানুষের উপর উত্তেজক প্রভাব ফেলে ও উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এখন, চায়ের পর কফি বিশ্বের অত্যধিক জনপ্রিয় পানীয়।[৬]

কফি
A cup of coffee.
১ কাপ কালো (ব্লাক্) কফি
প্রকারঠান্ডা অথবা গরম পানীয়
উৎপত্তির দেশইয়েমেন[১] আফ্রিকার শৃঙ্গ[২]
প্রবর্তনপ্রায় ১৫ শতাব্দিতে (পানীয়)
রংগাঢ় বাদামী, হলদে বাদামী, কালো

উৎপাদন ব্যবস্থাসম্পাদনা

 
গ্রিন কফি আনরোস্টেড কফি বীন দিয়ে তৈরি করা হয়

কফি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিক্রিত পণ্য (জ্বালানী তেলের পরে) এবং বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বেশি পানকৃত পানীয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৮-২০০০ সালের মধ্যে ৬.৭ মিলিয়ন টন কফি উৎপন্ন হয়েছে। ২০১০ সাল নাগাদ কফির উৎপাদন বেড়ে ৭ মিলিয়ন টনে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।[৭]

বিশ্বের সর্বত্র ব্যাপকভাবে প্রচলিত উত্তেজক পানীয় হিসেবে এর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। ১৯৯৯ সালের হিসেব অনুযায়ী আমেরিকার নাগরিকগণ প্রতিদিন গড়ে ৩.৫ কাপ কফি পানীয়রূপে গ্রহণ করে থাকেন।[৮]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ নিয়মিত কফি পান করে থাকেন এবং তারা গড়ে প্রতিদিন ৩ কাপ কফি পান করেন।

ইতিহাসসম্পাদনা

৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ কফি পান করে আসছে। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কফি পানের প্রমাণ পাওয়া যায় পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইথিওপিয়া।

স্বাস্থ্যগুণসম্পাদনা

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে কফি লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ক্যান্সার রোধ করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এতে থাকা অধিক পরিমানে ক্যাফেইন নিম্ন রক্তচাপ জাতীয় সমস্যার জন্যে উপকারী।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তবে প্রয়োজনের তুলনায় এটি অধিক পরিমাণে গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে এবং যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

কফি দিবসসম্পাদনা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাৎসরিকভাবে ২৯ সেপ্টেম্বর তারিখে জাতীয় কফি দিবস পালন করা হয়।[৯]

আরও দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. Weinberg, Bennett Alan; Bealer, Bonnie K. (২০০১)। The world of caffeine : the science and culture of the world's most popular drug। Internet Archive। New York : Routledge। আইএসবিএন 978-0-415-92723-9 
  2. Souza, Richard M. (2008) Plant-Parasitic Nematodes of Coffee. Springer. p. 3. আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪০২০-৮৭২০-২
  3. University, Furman; Twitter, Twitter। "How Coffee Changed the World"Treehugger (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৬ 
  4. Cappelletti, Simone; Piacentino, Daria; Aromatario, Gabriele Sani and Mariarosaria (২০১৪-১২-৩১)। "Caffeine: Cognitive and Physical Performance Enhancer or Psychoactive Drug?"Current Neuropharmacology (ইংরেজি ভাষায়)। ডিওআই:10.2174/1570159x13666141210215655পিএমআইডি 26074744পিএমসি 4462044 । সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৬ 
  5. "Caffeine Chart | Center for Science in the Public Interest"www.cspinet.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৬ 
  6. Weinberg, Bennett Alan; Bealer, Bonnie K. (২০০১)। The world of caffeine : the science and culture of the world's most popular drug। Internet Archive। New York : Routledge। আইএসবিএন 978-0-415-92723-9 
  7. FAO document repository - medium-term prospects for agricultural commodities; projections to the year 2010. Rome, Food and Argiculture Organisation of the United Nations, 2003. আইএসবিএন ৯২-৫-১০৫০৭৭-৫.
  8. "Deutscher Kaffeeverband (2001-05-04). "Kaffee-Text 1/99" (in German) (PDF). Retrieved 2007-12-14" (পিডিএফ)। ২০০৮-০২-২৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-২৪ 
  9. "Breakfast buffet: National coffee day – Eatocracy - CNN.com Blogs"। Eatocracy.cnn.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-২৬