অ্যাডেন

ইয়েমেনের শহর

অ্যাডেন (ইউকে: /ˈdən/ AY-dən , ইউএস: /ˈɑːdɛn/ AH-den ; আরবি: عدن ALAইয়ামেনি :[ˈʕæden, ˈʕædæn]) বাব এল মান্দেব প্রণালির প্রায় ১৭০ কিমি (১১০ মা) পূর্ব দিকে লোহিত সাগরের পূর্ব প্রান্তের অ্যাডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত ইয়েমেনের একটি শহর। ২০১৫ সাল থেকে শহরটি ইয়েমেনের অস্থায়ী রাজধানী। এর জনসংখ্যা প্রায় ৮,০০,০০ জন। অ্যাডেনের প্রাকৃতিক পোতাশ্রয়টি একটি একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে অবস্থিত। এটি এখন একটি উপদ্বীপ তৈরি করেছে, যা একটি সংকীর্ণ সংযোজক ভূখণ্ড দ্বারা মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম থেকে ৭ম শতাব্দীর মধ্যে প্রাচীন আওসান রাজ্য এই পোতাশ্রয়টি ব্যবহার শুরু করে। আধুনিক বন্দর উপদ্বীপের অন্যদিকে অবস্থিত। অ্যাডেন এটির নাম গালফ অব অ্যাডেন বা অ্যাডেন উপসাগর প্রদান করে। অ্যাডেন কয়েকটি স্বতন্ত্র উপকেন্দ্র নিয়ে গঠিত: ক্রেটার, মূল বন্দর শহর; মাআল্লা, আধুনিক বন্দর; ঔপনিবেশিক আমলে "স্টিমার পয়েন্ট" নামে পরিচিত তাওয়াহি; এবং গোল্ড মোহুর রিসোর্টসমূহ।

অ্যাডেন
عدن
শহর
উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে:
স্টিমার পয়েন্ট, মসজিদ ও পুরনো শহর, আসিসি চার্চের সেইন্ট ফ্রান্সিস, তিভিলা খিলান, পুরনো শহরের পথদৃশ্য
অ্যাডেন ইয়েমেন-এ অবস্থিত
অ্যাডেন
অ্যাডেন
অ্যাডেন এশিয়া-এ অবস্থিত
অ্যাডেন
অ্যাডেন
ইয়েমেনে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ১২°৪৮′ উত্তর ৪৫°০২′ পূর্ব / ১২.৮০০° উত্তর ৪৫.০৩৩° পূর্ব / 12.800; 45.033
দেশইয়েমেন
গভর্নরেটঅ্যাডেন
ইয়েমেন সংকটগণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী ইয়েমেন দক্ষিণ ট্র্যান্সিশনাল কাউন্সিল
আয়তন
 • মোট৭৬০ বর্গকিমি (২৯০ বর্গমাইল)
উচ্চতা৬ মিটার (২০ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১৭ population_footnotes =)
 • মোট৮,৬৩,০০০
 • জনঘনত্ব১,১০০/বর্গকিমি (২,৯০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলজিএমটি (ইউটিসি+৩)
এলাকা কোড৯৬৭

খোরমাকসার জেলা অ্যাডেনকে মূল ভূখণ্ডের সাথে সঠিকভাবে সংযুক্ত করেছে। এ জেলায় রয়েছে শহরের কূটনৈতিক মিশন, অ্যাডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কার্যালয় ও অ্যাডেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (সাবেক ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্স স্টেশন আরএএফ খোরমাকসার) এবং ইয়েমেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর।

মূল ভূখণ্ডে শেখ ওসমানের প্রাক্তন ওসিস অঞ্চল; আল-মনসুরা (এই শহরটি ব্রিটিশদের দ্বারা পরিকল্পিত); এবং মদিনাত আশ-শাব (পূর্বে মদিনাত আল-ইতিহাদ), দক্ষিণ আরবীয় ফেডারেশনের রাজধানী হিসেবে মনোনীত স্থান এবং বর্তমানে অ্যাডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বৃহত শক্তি / নির্ধারণকরণ সুবিধা এবং অতিরিক্ত অনুষদ রয়েছে।

অ্যাডেন একটি বিস্তৃত প্রাকৃতিক বন্দরের পূর্ব দিকটি ঘিরে রেখেছে, যা আধুনিক বন্দর নিয়ে গঠিত। এই শহরটি বেশ বড়, হলেও এখানে তেমন কোনও প্রাকৃতিক সম্পদ নেই। তবে অ্যাডেনে "অ্যাডেন ট্যাঙ্কস" নামক জলাধার রয়েছে। এই জলাধারগুলোতে নগরীর বাসিন্দাদের স্বাদু-পানির একমাত্র সংস্থান হিসেবে বৃষ্টির পানি জমা করা হয়। স্থানীয় সম্পদশালী বণিক এবং বাণিজ্যের জন্য আগত ভারতীয় জাহাজগুলোর কারণে শহরটি সমৃদ্ধি লাভ করে।[১] লিটল অ্যাডেনের আগ্নেয় উপদ্বীপটি পশ্চিমে পোতাশ্রয় ও বন্দরটি ঘিরে একটি অনেকটা বিপ্রতীপ পার্শ্বচিত্র (মিরর ইমেজ) তৈরি করে। ঔপনিবেশিক আমলে লিটল অ্যাডেন তেল শোধনাগার এবং ট্যাঙ্কার বন্দরের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়ে ওঠে। ১৯৭৮ সালে ইয়েমেনি সরকারের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণের অধীনে হস্তান্তরিত করার আগপর্যন্ত দুটোই ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়ে আসছিল।

১৯৯০ সালে ইয়েমেন আরব প্রজাতন্ত্রের সাথে দেশটির একীকরণ হওয়া অবধি অ্যাডেন জন-গণতান্ত্রিক ইয়েমেন প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ছিল। তারপর ইয়েমেনের হুথি অধিগ্রহণের পরে রাষ্ট্রপতি আব্দরাব্বুহ মনসুর হাদি হুথি নিয়ন্ত্রাধীন সানা থেকে পালিয়ে এলে আডেন আবার সংক্ষিপ্তভাবে ইয়েমেনের অস্থায়ী রাজধানী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে।[২] ২০১৫ সালের মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত, প্রেসিডেন্ট হাদির সরকারি বাহিনী এবং হুথিদের মধ্যে আডেনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। শহরে তখন পানি, খাদ্য এবং চিকিৎসা সরবরাহ কম ছিল।[৩] ১৪ ই জুলাইয়ে সৌদি সেনাবাহিনী ইয়েমেনি সরকারের পক্ষে অ্যাডেনকে হুথি মুক্ত করতে আক্রমণ শুরু করে। তিন দিনের মধ্যে হুথিদের শহর থেকে বিতারণ করা হয়।[৪] ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে অ্যাডেন সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থিত দক্ষিণ ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের দখলে আছে। আব্দরাব্বুহ মনসুর হাদি সরকার কর্তৃক বরখাস্ত হওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সালফি-ধর্মীয় নেতা হানী বিন বুড়িকের সাথে মিলে অ্যাডেনের সাবেক মেয়র আইদরোস আলজুবাইদী দক্ষিণ ট্রানজিশনাল কাউন্সিল গঠন করে।

ইতিহাস সম্পাদনা

পুরাকীর্তি সম্পাদনা

ইয়েমেনের এক স্থানীয় কিংবদন্তি বলেছে, অ্যাডেন মানব ইতিহাসের মতোই পুরানো হতে পারে। কেউ কেউ আরও বিশ্বাস করেন যে, হাবিল ও কাবিলকে শহরের কোথাও কবর দেওয়া হয়েছে। [৫]

ভারত ও ইউরোপের মধ্যবর্তী সমুদ্রপথে বন্দরের সুবিধাজনক অবস্থানের ফলে প্রাচীনকাল থেকেই বিভন্ন শাসকদের নিকট শহরটি ছিল পরম আকাঙ্ক্ষিত। ফলে বিভিন্ন সময়ে অনেক শাসকই শহরটি অধিকার করার চেষ্টা করে। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে এটি ইউদায়েমন (প্রাচীন গ্রিকΕυδαίμων যার অর্থ "সুখী, সমৃদ্ধ,") নামে পরিচিত ছিল। তখন এটি ছিল লোহিত সাগরের বাণিজ্যের একটি ট্রান্সশিপিং পয়েন্ট। তবে জাহাজগুলো এটিকে পাশ কাটিয়ে সরাসরি ভারতে যাত্রা শুরু করলে এটি কঠিন সময়ে পড়ে। একই কাজ অ্যাডেনকে "উপকূলে একটি গ্রাম" হিসাবে বর্ণনা করেছে। যা থেকে খুব ভালোভাবেই বুঝা যায়, শহরটি তখনও সল্পোন্নত ছিল। এই পর্যায়ে কোন নগর-দুর্গের উল্লেখ নেই। উপদ্বীপের চেয়ে দ্বীপের সাথেই অ্যাডেনের বেশি মিল ছিল, কারণ মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযোজক সংকীর্ণ ভূখণ্ডটি (স্থলসন্ধি) এখনকার মতো সুগঠিত হয়ে উঠেনি।

মধ্যযুগ সম্পাদনা

 
পর্তুগিজ বিজয়ী ও ভাইসরয় আফনসো দে আলবুকার্ক ১৫১৩ সালে অ্যাডেনকে জয় করতে দুবার ব্যর্থ হন , যদিও পরবর্তীতে পর্তুগিজ শাসন ১৫১৩ থেকে ১৫৪৮ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হবে।
 
অ্যাডেন, পর্তুগিজ বহর সহ। ব্রাউন এবং হোগেনবার্গে
 
১৯৫১ স্ট্যাম্পটি পটভূমিতে ক্র্যাটারের আগ্নেয়গিরির রিমের বাইরের সাথে স্টিমার পয়েন্টকে চিত্রিত করে

যদিও প্রাক-ইসলামিক হিমিয়ার সভ্যতা বৃহত্তর কাঠামো তৈরি করতে সক্ষম ছিল, তবে এই পর্যায়ে খুব কম দুর্গ ছিল বলে মনে হয়। মারেব এবং ইয়েমেন ও হাজরামাউতের অন্যান্য স্থানে নির্মিত দুর্গগুলোর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়, হিমিয়ার এবং সাবেয়ান সংস্কৃতি উভয়ই দুর্গ নির্মানে সক্ষম ছিল। ওয়াচ-টাওয়ারগুলো ধ্বংস হওয়ার পর থেকে এটি সম্ভব হয়েছে। তবে আরব ঐতিহাসিক ইবনে আল মোজাবির ও আবু মাখরামাহ বেনি জুরিয়াকে অ্যাডেনের প্রথম দুর্গ হিদেবে বিবেচনা করেন। আবু মাখরামাহও তাঁর রচনা তারিখ উল-ইয়েমেন-এ মুহাম্মদ আজিম সুলতান কামারবন্দী নকশের একটি বিস্তৃত জীবনী অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ইয়েমেনে দুর্গ নির্মানের লক্ষ্য দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে মনে হয়: শত্রুবাহিনীকে বাইরে রাখা এবং পণ্য চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে উপার্জন বজায় রাখা ও পাচার রোধ করা। এর আসল রূপে, এর কিছু কাজ তুলনামূলকভাবে দুর্বল ছিল।

১১৭৫ খ্রিষ্টাব্দের পর আগের চেয়ে আরও শক্ত আকারে দুর্গ পুনর্নির্মাণ করা হলে অ্যাডেন মিশর, সিন্ধু, গুজরাত, পূর্ব আফ্রিকা এবং এমনকি চীনের নাবিকেরা এর প্রতি আকৃষ্ট হয়। ফলে শহরটি বণিকদের নিকট বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মুকাদ্দাসির মতে পারস্যবাসীরা দশম শতাব্দীতে অ্যাডেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী গঠন করে। [৬][৭]

১৪২১ সালে চীনের মিং রাজবংশ ইওংল সম্রাট আডেনের বাদশাহকে দান করার জন্য টুপি ও পোশাকের সাথে একটি সাম্রাজ্যীয় আদেশ বহন করার জন্য প্রধান দূত ও প্রধান নপুংসক লি শিং এবং চেং হোর বহরের প্রধান নপুংসক ঝাউ ম্যানকে নির্দেশ দেন। দূতরা তিনটি গুপ্তচর জাহাজে চড়ে সুমাত্রা থেকে অ্যাডেন বন্দরে যাত্রা করে। এই ঘটনাটি রাজকীয় দূতের সাথে আসা মা হুয়ান যে ইঙ্গিয়াই শেঙ্গলান বইটিতে রেকর্ড করেছিলেন।

১৫১৩ সালে আফোনসো দে আলবুকার্কের নেতৃত্বে পর্তুগিজরা অ্যাডেনে চার দিনের ব্যর্থ নৌ-অবরোধ করে। [৮] ব্রিটিশ প্রশাসনের আগে অ্যাডেন ১৫১৩–১৫৩৮ এবং ১৫৪৭–১৫৪৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পর্তুগিজ শাসনাধীন ছিল। ১৫৩৮–১৫৪৭ এর মধ্যে এবং ১৫৪৮–১৬৪৫ কালপর্বে অ্যাডেন অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। উসমানী শাসনের পরে আদেন ইয়েমেনের জায়েদী ইমামদের অভিজাতত্বের অধীনে লাহেজের সুলতানি শাসন করেছিলেন।

ব্রিটিশ প্রশাসন ১৮৩৯–১৯৬৭ সম্পাদনা

 
১৮৯০ সালেডেন বন্দর
 
অ্যাডেন বন্দর (প্রায় ১৯১০)। আধুনিক অভ্যন্তরীণ বন্দরের প্রবেশ পথে স্টিমার পয়েন্ট থেকে পড়ে জাহাজগুলো।
 
অ্যাডেন উপদ্বীপের মানচিত্র, সিএ। ১৯১৪
 
১৯৩০-এর দশকের শেষদিকে এসপ্ল্যানেড রোড

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চতুর্থ সমুদ্রযাত্রার সময় মাখায় (المخا) যাত্রা করার আগে ১৬০৯ সালে অ্যাসেনশন প্রথম অ্যাডেন ভ্রমণকারী জাহাজ ছিল। [৯] ১৭৯৬ সালে নেপোলিয়ানের মিশরে আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে আডেনে ব্রিটিশদের স্বার্থ শুরু হয়, এর বেশ কয়েক মাস পর সুলতানের আমন্ত্রণে একটি ব্রিটিশ বহর অ্যাডেনে নোঙ্গর করে। ১৮০১ সালে ফরাসিরা মিশরে পরাজিত হয়ে পরবর্তী দশক ধরে তাদের ভাড়াটে যোদ্ধাদের সন্ধান করা হয়েছিল। ১৮০০ সালে অ্যাডেন ছিল ৬০০ আরব, সোমালি, ইহুদি এবং ভারতীয় জনসংখ্যার সমন্বয়ে গঠিত একটি ছোট গ্রাম। সম্পদ ও সমৃদ্ধির এক নিখোঁজ যুগের স্মৃতি বিজড়িত ধ্বংসাবশেষের মধ্যে তারা খাগড়ার কুঁড়েঘরে গড়ে তুলে বসতি স্থাপন করেছিল। লোহিত সাগরে ব্রিটিশদের বাণিজ্য কম হওয়ায় ১৮৩০-এর দশক পর্যন্ত বেশিরভাগ ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের জলদস্যুতা দমন করা ছাড়া এই অঞ্চলে তাদের আর কোন আগ্রহ ছিল না। তবে, সল্প সংখ্যক সরকারি কর্মকর্তা ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আধিকারিকগণ মনে করেছিলেন, মিশরে ফরাসি সম্প্রসারণ ও পারস্যে রুশ সম্প্রসারণ রোধে এই অঞ্চলে একটি ব্রিটিশ ঘাঁটি প্রয়োজনীয়। শক্তিশালী স্থানীয় শাসক হিসাবে মিশরের মুহাম্মদ আলী পাশার উত্থান কেবল তাদের উদ্বেগকে বাড়িয়ে তোলে। ১৮৩৪ থেকে ১৮৩৮ সাল পর্যন্ত বোম্বের গভর্নর স্যার রবার্ট গ্রান্ট ছিলেন যারা বিশ্বাস করতেন যে ভারত মহাসাগর রক্ষার জন্য ভারত কেবলমাত্র 'শক্তিধর স্থান' দখল করে রক্ষা করতে পারে।

হিউ লিন্ডসে বোম্বাই থেকে সুয়েজ ইস্টমাসে যাত্রা চালানোর পরে লোহিত সাগরের গুরুত্ব বেড়ে যায় এবং সুলতানের কয়লা পুনরায় সাফল্যের সম্মতিতে অ্যাডেনে থামেন। যদিও জাহাজে নৌযানগুলো উত্তমাশা অন্তরীপের আশেপাশে এখনও বহন করা হয়েছিল, সুয়েজের একটি বাষ্পের পথটি অফিসার এবং গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের পরিবহণের জন্য আরও দ্রুত বিকল্প সরবরাহ করতে পারে। গ্রান্ট অনুভব করেছিলেন যে বোম্বাই এবং সুয়েজের মধ্যে নিয়মিত চলা সশস্ত্র জাহাজগুলো এই অঞ্চলে ব্রিটিশদের স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে সহায়তা করবে এবং তার দৃষ্টিভঙ্গির অগ্রগতির জন্য তিনি যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছিলেন। নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের ব্যয়ের কারণে দীর্ঘ আলোচনার পরে, সরকার প্রতি বছর ছয়টি ভ্রমণে অর্ধেক ব্যয় দিতে সম্মত হয়েছিল এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বোর্ড ১৮৩৭ সালে দুটি নতুন স্টিমার কেনার অনুমোদন দেয়। কোনও নিরাপদ কয়লিং স্টেশন পাওয়া না যাওয়া সত্ত্বেও গ্রান্ট তাত্ক্ষণিকভাবে ঘোষণা করে, সুয়েজে মাসিক ভ্রমণ হবে। [১০]

১৮৩৮ সালে মুহসিন বিন ফাদল অ্যাডেন সহ ১৯৪ কিমি (৭৫ মা) এলাকা ব্রিটিশদের কাছে সমর্পন করেন। ১৮৩৯ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই অঞ্চলটি সুরক্ষিত করতে এবং ভারতগামী ব্রিটিশ জাহাজ চলাচলের সময় জলদস্যুদের আক্রমণ বন্ধ করতে আডেনে রয়্যাল মেরিন অবতরণ করে। ১৮৫০ সালে এটি একটি মুক্ত বাণিজ্য বন্দর হিসাবে ঘোষিত হয়েছিল। মদ, লবণ, অস্ত্র এবং আফিমের ব্যবসার সাথে শুল্ক বিকাশ করায় এটি মাখার সমস্ত কফির বাণিজ্য জিতে। [১১] বন্দরটি সুয়েজ খাল, মুম্বাই এবং জাঞ্জিবারের সমতুল্য, যা সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ সম্পত্তি ছিল। অ্যাডেন প্রাচীন পৃথিবীতে জাহাজের নাবিক ও খালাসিদের আড়ত ও ওয়ে-স্টেশন ছিল। সেখানে বিশেষত পানি সরবরাহ পুনরায় পূরণ করা হয়ে। ফলে ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, কয়লা এবং বয়লার পানি পুনরায় পূরণ করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। এভাবে অ্যাডেন স্টিমার পয়েন্টে একটি কয়লিং স্টেশন অর্জন করে এবং অ্যাডেন ১৯৬৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন।

১৯৩৭ সাল পর্যন্ত অ্যাডেন ব্রিটিশ ভারতের অংশ হিসাবে শাসিত ছিল এবং এটি অ্যাডেন উপনিবেশ/সেটেলমেন্ট হিসাবে পরিচিত ছিল। এর মূল অঞ্চলটি সম্প্রসারণ করে ১৮৫৭ সালে ১৩ কিমি (৫.০ মা) পেরিম দ্বীপ, ১৮৬৮ সালে ৭৩ কিমি (২৮ মা) খুরিয়া মুরিয়া দ্বীপপুঞ্জ, এবং ১৯১৫ সালে ১০৮ কিমি (৪২ মা) কামারান দ্বীপ যোগ করা হয়। উপনিবেশটি ১৯৩৫ সালে অ্যাডেন প্রদেশে পরিণত হয়।

১৯৩৭ সালে এই উপনিবেশটি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্রিটিশ রাজ-মুকুটের অধীনে উপনিবেশ হিসেবে অ্যাডেনের কলোনিতে পরিণত হয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন ভারতীয় রুপির বদলে ("আনা"য় বিভক্ত) অ্যাডেনে পূর্ব আফ্রিকার শিলিং ব্যবহার শুরু হয়ে। অ্যাডেন ও হাদারামাউত-এর আঞ্চলিক অঞ্চলও অ্যাডেন প্রোটেকটরেট হিসাবে ব্রিটেনের সাথে আলগাভাবে আবদ্ধ ছিল। এটি অ্যাডেন থেকে তদারকি করা হতো।

 
অ্যাডেন নৌকা কেন্দ্রিক স্ট্যাম্পের জন্য পরিচিত। ৫০০ কিমি (৩১১ মা) হাদারামাউট উপকূলে রয়েছে অ্যাডেনের পূর্বে, তখন অ্যাডেন প্রোটেকটরেট ছিল।

অ্যাডেনের অবস্থানের ফলে এটি ভারত মহাসাগরের আশেপাশের জায়গা ও ইউরোপের মধ্যে ডাক আদান-প্রদানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিণত হয় । তাই সুয়েজ থেকে বোম্বাইয়ের দিকে যাওয়ার একটি জাহাজ মোম্বাসায় পাঠানোর জন্য অ্যাডেনে চিঠি রেখে যেতে পারত। অ্যাডেনের ডাকটিকিট এবং ডাক ইতিহাসও বৈচিত্রময়।

১৯৪৭ সালে অ্যাডেনে মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে দাঙ্গায় দেখা দেয়। এতে ৮০-এরও বেশি ইহুদি মারা গিয়েছিল। অনেক মুসলিম জনতা তাদের সম্পত্তি লুট করে, স্কুল পুড়িয়ে ফেলে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৯৫৬ সালে সুয়েজ সঙ্কটের পরে, আডেন এই অঞ্চলে ব্রিটিশদের প্রধান অবস্থান হয়ে ওঠে।

১৯৬২ সালে অ্যাডেন দুজন প্রতিযোগীকে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে আয়োজিত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কমনওয়েলথ গেমসে পাঠায়।

লিটল অ্যাডেন ১৯৫৫–১৯৬৭ সম্পাদনা

 
মুয়াল্লা মেইন রোড, ১৯৬৩। তৎকালীন যানবাহনগুলো রাইটহ্যান্ড ড্রাইভ ছিল এবং ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ রীতিতে বাম দিকে চালিত হয়েছিল।

ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের জন্য নির্মিত তেল শোধনাগারটিতে লিটল অ্যাডেনের আধিপত্য রয়েছে। লিটল অ্যাডেন, বিপি অ্যাডেন টাগসের জেটির কাছে একটি উপভোগ্য সমুদ্র ভ্রমণ, সুইমিং পুল এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বার দিয়ে পরিপূর্ণ ট্যাঙ্কার বন্দরের জন্য সামুদ্রিকদের কাছে খুব পরিচিত ছিল। শোধনাগারের কর্মীদের আবাসস্থলগুলো মূল আরবি নাম বুরেইকা ও গাদির হিসেবে পরিচিত ছিল।

বুরেইকা ছিল কাঠের তৈরি বাঙ্কহাউস। তেল শোধানাগার নির্মানে নিয়োজিত হাজার হাজার দক্ষ শ্রমিকদের আবসন প্রকল্পের জন্য তৈরি করা হলেও পরে শোধানাগার চালু হলে এগুলোকে শ্রমিকদের পারিবারিক আবাসনে রূপান্তরিত করা হয়ে। বুড়িকায় একটি সুরক্ষিত গোসলের স্থান ও বিচ ক্লাব ছিল।

গাদির আবাসনটি মূলত স্থানীয় গ্রানাইট কোয়ার থেকে পাওয়া পাথরে নির্মিত হয়েছিল। এই আবাসনগুলোর বেশিরভাগটি আজও রয়েছে, এখন এটি অ্যাডেনের স্থানীয় ধনীদের দখলে আছে। লিটল আডেনের একটি স্থানীয় জনপদ এবং গাদিরের লবস্টার পটগুলো সহ অসংখ্য মনোরম মাছ ধরার গ্রাম রয়েছে। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বুরেিকায় বিস্তৃত শিবির ছিল এবং ফ্লেইস শিবিরে সাইলেন্ট ভ্যালির মাধ্যমে, এগুলো খুব কম ব্যতিক্রম ব্যতীত সফলতার সাথে সংশোধনকারীদের কর্মী ও সুযোগ-সুবিধাগুলো সুরক্ষিত করেছিল। কিন্ডারগার্টেন বয়স থেকে শুরু করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের জন্য স্কুল সরবরাহ করা হয়েছিল, তার পরে, খোরমাক্সারের ইস্টমাস স্কুলে বাচ্চাদের বাসে আটকা দেওয়া হয়েছিল, যদিও অ্যাডেন জরুরি অবস্থার সময় এটি বন্ধ করতে হয়েছিল।

 
১৯৫৫ প্রাক্তন অ্যাডেন প্রোটেকটিরেট নাগরিকদের জন্য ব্রিটিশ পাসপোর্ট - হাডরামাউটে কোয়েটি রাজ্য الدولة القعيطية

দক্ষিণ আরব ফেডারেশন এবং অ্যাডেন জরুরি অবস্থা সম্পাদনা

 
অ্যাডেন ১৯৬০ সালে

উত্তর ইয়েমেনের মিশরীয় সমর্থিত প্রজাতন্ত্রের নকশা থেকে অ্যাডেন এবং তার আশেপাশের অ্যাডেন প্রোটেকটরেটকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ব্রিটিশরা শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার প্রস্তুতির জন্য ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের বৈষম্যমূলক রাজ্যগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করে। ১৮ ই জানুয়ারি ১৯৬৩ এ, উত্তর ইয়েমেনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অ্যাডেনের কলোনিটি দক্ষিণের আরব আমিরাত ফেডারেশনে সংযুক্ত করা হয়। শহরটি আডেন রাজ্যতে পরিণত হয় এবং ফেডারেশনটির নামকরণ করা হয় ফেডারেশন অফ সাউথ আরব (এফএসএ)।

অ্যাডেন ইমার্জেন্সি নামে পরিচিত ব্রিটিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ ১৯৬৩ সালের ১০ ডিসেম্বর ব্রিটিশ হাই কমিশনারের বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের (এনএলএফ) একটি গ্রেনেড আক্রমণ দিয়ে শুরু হয়েছিল। হামলায় একজন ব্যক্তির মৃত্যু ও পঞ্চাশজন আহত হওয়ায় এবং "জরুরি অবস্থা" জারি হয়।

১৯৬৪ সালে ব্রিটেন ১৯৬৮ সালে দক্ষিণ আরব ফেডারেশনের স্বাধীনতা প্রদানের অভিপ্রায় ঘোষণা করে, তবে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী অ্যাডেনে থাকবে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় এনএলএফ এবং এফএলওএসওয়াই (ফ্রন্ট ফর লিবারেশন অফ দ্য অকুপাইড সাউথ ইয়েমেন) ওপরের পক্ষে কথা বলছিল।

১৯৬৭ত সালের জানুয়ারিতে, অ্যাডেন শহরের পুরাতন আরব কোয়ার্টারে এনএলএফ এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী এফএলএসই সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক দাঙ্গা হয়েছিল। এই সংঘাত ব্রিটিশ সেনার হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ১৯৬৭ সালের ২০ জুন, ক্রেটার জেলার অ্যাডেন বিদ্রোহের সময় অ্যাডেন পুলিশ সদস্যদের দ্বারা ২৩ ব্রিটিশ সেনা অফিসার আক্রমণ করে হত্যা করে। এএই সময়কালে উভয় পক্ষের ব্রিটিশ সেনাদের উপর যতটা আক্রমণ হয়েছিল, একে অপরের বিরুদ্ধে এডেন এয়ারওয়েজের ডিসি 3 বিমানটি বাতাসে বিধ্বস্ত করার সময় একে অপরের বিরুদ্ধে পরিণতি লাভ করেছিল।

বেনার রকস টু লিভিং স্টোনস-এ লিপিবদ্ধ হিসাবে বর্ধমান সহিংসতা ব্রিটিশদের মধ্যে একটি নির্ধারক কারণ ছিল যে প্রাথমিকভাবে ইচ্ছার চেয়ে সমস্ত পরিবারকে আরও দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

১৯৬৭ সালের ৩০ নভেম্বর ব্রিটিশ সেনা সরিয়ে নেওয়া হয় এবং অ্যাডেন এবং বাকী এফএসএকে এনএলএফ নিয়ন্ত্রণে রেখে যায়। রয়্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিচ্ছিন্নতা ব্যতীত (১৩ এয়ারফিল্ডস স্কোয়াড্রন ১৯৬৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর অ্যাডেন ছেড়েছিল) ১৮৩৯ সালে ব্রিটিশ সেনাদের মধ্যে সবার আগে অ্যাডেনে আস রয়েল মেরিন সর্বশেষ ছেড়ে চলে যায়।

যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা সম্পাদনা

 
সমুদ্র থেকে অ্যাডেনের দৃশ্য View

এরপর অ্যাডেন যুক্তরাজ্যের কলোনি হিসাবে না থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী দক্ষিণ ইয়েমেন নামে পরিচিত একটি নতুন রাজ্যের রাজধানী হয়ে ওঠে। ১৯৭০ সালে দেশটির নামকরণ করা হয় জন-গণতান্ত্রিক ইয়েমেনের প্রজাতন্ত্র। ১৯৯০ সালে উত্তর ও দক্ষিণ ইয়েমেনের একীকরণের সাথে সাথে অ্যাডেন আর জাতীয় রাজধানী না থেকে অ্যাডেন গভর্নরেটের রাজধানী হয়। যা অ্যাডেন কলোনির মতো অঞ্চল জুড়ে ছিল।

১৯৯২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আল কায়েদা অ্যাডেনে প্রথম সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং গোল্ড মোহুর হোটেলটি বোমা মেরেছিল, যেখানে মার্কিন সেনা সদস্যরা অপারেশন রিস্টোর হোপের জন্য সোমালিয়ায় অবস্থান করছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। এই হামলায় একজন ইয়েমেনি এবং একজন অস্ট্রিয়ান পর্যটক মারা গিয়েছিলেন। [১২]

আডেন সংক্ষিপ্তভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ইয়েমেনের ২১ ই মে ১৯৯৪ এর কেন্দ্রবিন্দু ছিল তবে ১৯৯৪ সালের জুলাইয়ে ইয়েমেন প্রজাতন্ত্রের সেনাবাহিনী পুনরায় একত্রিত হয়।

আল-কায়েদার সদস্যরা ২০০০ সালের মিলেনিয়াম অ্যাটাক প্লটের অংশ হিসাবে মার্কিন পরিচালিত-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী দ্য সুলিভানের উপর অ্যাডেন বন্দরে বোমা হামলা করার চেষ্টা করেছিল। বিস্ফোরকযুক্ত নৌকাটি ডুবে যাওয়ায় তারা পরিকল্পিত আক্রমণটি বাতিল করতে বাধ্য হয়।

২০০০ সালের ১২ অক্টোবরে আডেনে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস কোলে বোমা হামলা হয়।

দুই ইয়েমেনের একীকরণের ফলে ক্রমবর্ধমান অসন্তুষ্টির ফলে ২০০৭ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী দক্ষিণ ইয়ামেন আন্দোলন শুরু হয়। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, এই আন্দোলনের মূল নেতৃত্বের মধ্যে রয়েছে সমাজতান্ত্রিক, ইসলামপন্থী ব্যক্তিরা যারা গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ইয়েমেনের সুবিধায় প্রত্যাবর্তনের জন্য আগ্রহী। [১৩]

গৃহযুদ্ধ সম্পাদনা

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান মনসুর হাদি অভ্যুত্থানে পদচ্যুত হওয়ার পর তার শহর শহর অ্যাডেনে পালিয়ে যান, যা অনেকে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের সূচনা বলে মনে করেন। অন্যরা বিবেচনা করে যে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে যখন হুথি বাহিনী রাজধানী শহর সানা'র উপর দখল করেছিল, তারপরে দ্রুত হুথিদের সরকার দখলে নেওয়ার মাধ‍্যমে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।

হাদি অ্যাডেনে ঘোষণা করেন, তিনি তখনও ইয়েমেনের বৈধ রাষ্ট্রপতি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং অনুগত কর্মকর্তাদের আডেনে স্থানান্তরিত করার আহ্বান জা্নান। [১৪] ২১ শে মার্চ ২০১৫-তে একটি টেলিভিশনের ভাষণে, তিনি অ্যাডেনকে ইয়েমেনের "অর্থনৈতিক এবং অস্থায়ী রাজধানী" হিসাবে ঘোষণা করেন। মূল রাজধানী সানা ছিল হুথিদের নিয়ন্ত্রণে। [২]

অভ্যুত্থানের পরিণাম হিসেবে ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ অ্যাডেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আলী আবদুল্লাহ সালেহের অনুগতদের সাথে হাদির অনুগত বাহিনীর সংঘর্ষ সহ অ্যাডেন বিভিন্ন সহিংসতার শিকার হয় [১৫] বিমানবন্দর যুদ্ধের পরিণামে পুরো শহরটি অ্যাডেনের যুদ্ধের রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ফলে শহরের বড় অংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ২৫ মার্চ তারিখ থেকে যুদ্ধে কমপক্ষে ১৯৮ জন বেসামরিক মানুষকে নিহত হয়। [৩]

২০১৫ সালের ১৪ জুলাইয়ে সৌদি আরব সেনাবাহিনী এই শহরের নিয়ন্ত্রণ লাভের জন্য আক্রমণ চালায়। তিন দিনের মধ্যেই হুথিরা শহরটির নিয়ন্ত্রণ হরায়। হুথি বিদ্রোহীদের বিতারণের মাধ্যমে সৌদি জোটের জয়ের সাথে সাথে অ্যাডেনের যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়। [৪]

২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এসটিসি) এর অনুগত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থানে অ্যাডেনে ইয়েমেনের সরকার সদর দফতরের নিয়ন্ত্রণ দখল করে। [১৬][১৭]

পরের দিন, এসটিসির রাষ্ট্রপতি আইদারাস আল-জুবাইদি অ্যাডেনে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন এবং "এসটিসি দক্ষিণে হাদির শাসন ক্ষমতা হটিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেছে"। [১৮]

২০১৪ সালের ১ আগস্ট, পশ্চিম অ্যাডেনের একটি সামরিক শিবিরে কয়েক হাজার ইয়েমেনি সৈন্যের সাথে হুথি-ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এসটিসির সার্ভিং কমান্ডার জেনারেল মুনির আল ইয়াফি নিহত হন। [১৯] সেই মাসের পর এসটিসি অ্যাডেনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল এবং ২০২০ সালের এপ্রিলে তারা স্ব-শাসন ঘোষণা করে। [২০]

২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর, আডেন বিমানবন্দরে শ্রম বিষয়ক সহকারী সচিব এবং গণপূর্ত মন্ত্রীর সহকারী সহ ২০২০ অ্যাডেন আক্রমণে ২০-৩০ জনকে নিহত হয়। হয়েছিল, যখন তারা এসটিসির সাথে তাদের নতুন ব্যবস্থা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক প্রেস ব্রিফিং পরিচালনা করেছিল, যার মধ্যে অভ্যন্তরীণ বাহিনী বিভাজন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা সৌদি রাজধানীতে লুকিয়ে থেকে অ্যাডেনে ফিরে এসেছিল। প্রধানমন্ত্রী মইন আবদুলমালিক সা Saeedদ, তাঁর মন্ত্রীরা এবং তার প্রতিনিধিদের বৈরী আগুনের বেধে সুরক্ষার জন্য পরিচালনা করা হয়েছিল। [২০][২১]

প্রধান দর্শনীয় স্থান সম্পাদনা

 
পুরান শহর অ্যাডেনের রাস্তার দৃশ্য ১৯৯৯

অ্যাডেনের দর্শনার্থীদের কাছে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • ঐতিহাসিক ব্রিটিশ গির্জাসমূহ, যেগুলোর মধ্যে একটি ২০১৯ সাল থেকে খালি ও আধা পরিত্যক্ত।[২২]
  • জরাথুস্ট্রীয় মন্দির
  • তাওয়িলার জলাধার— জ্বালামুখের উপ-কেন্দ্রে অবস্থিত একটি প্রাচীন জল-সংগ্রহ ব্যবস্থা
  • সিরা ফোর্ট
  • অ্যাডেন মিনা। [২৩]
  • লিটল বেন, স্টিমার পয়েন্টকে উপেক্ষা করে একটি ক্ষুদ্রাকার বিগ বেন ক্লক টাওয়ার। ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত, ১৯৬৭ সালে ব্রিটিশদের প্রত্যাহারের পরে ৩ দশকের অবহেলার পরে ২০১২ সালে এটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল।
  • স্টিমার পয়েন্টে অবস্থিত ল্যান্ডিং পিয়ারটি উনিশ শতকের একটি ভবন যা ঔপনিবেশিক আমলে বিশিষ্টজনদের দ্বারা বিশেষত রানী এলিজাবেথ ১৯৫৪ সালে উপনিবেশে তাঁর সফরকালে ব্যবহৃত হয়েছিল। এই বিল্ডিংটি ২০১৫ সালে একটি বিমান হামলার শিকার হয়েছিল এবং ২০১৯ সালে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
  • ক্রিসেন্ট হোটেলটিতে ১৯৫৪ সালের রয়্যাল ভিজিট সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি নিদর্শন রয়েছে এবং এটি সাম্প্রতিক বিমান হামলার ফলাফল হিসাবে বর্তমানে অবরুদ্ধ রয়েছে।
  • লাহেজের সুলতানের প্রাসাদ/জাতীয় যাদুঘর— জাতীয় যাদুঘরটি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি লেহেজের সুলতানির প্রাসাদ হিসাবে ব্যবহৃত হত। ১৯৯৪ সালের গৃহযুদ্ধের সময় উত্তর বাহিনী এটিকে ছিনতাই করেছিল, তবে এর সংগ্রহ ইয়েমেনের অন্যতম বৃহৎ।[২৪]
  • অ্যাডেন সামরিক জাদুঘর
  • রিম্বাউড হাউস/র‍্যাঁবো হাউস, ১৮৮০ থেকে ১৮৯১ অবধি আডেনে বসবাসরত ফরাসি কবি আর্থার রিমবাউদের আর্তুর র‍্যাঁবো দ্বিতল বাড়ি। র‍্যাঁবো নতুন জীবনের চেষ্টায় ইথিওপিয়া যাওয়ার পথে অ্যাডেনে চলে গেলেন। নব্বইয়ের দশকের শেষভাগে, বাড়ির প্রথম তলটি ফ্রেঞ্চ কনস্যুলেট, একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং একটি গ্রন্থাগারের অন্তর্গত। বাড়িটি অ্যাডেনের ইউরোপীয় কোয়ার্টার আল-তাওয়াহীতে অবস্থিত। পূর্বে ঔপনিবেশিক অঞ্চলে ফরাসি প্রকৃতির জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বিতর্কিত।[২৫]
  • জাবাল হাদিদ এবং জাবাল শামসানের দুর্গ
  • অ্যাডেন এবং লিটল অ্যাডেনের সৈকতসমূহ— অ্যাডেনের লাভারস বে বিচ, এলিফ্যান্ট বিচ এবং গোল্ড বিচ সহ কয়েকটি জনপ্রিয় সৈকত রয়েছে । লিটল অ্যাডেনের জনপ্রিয় সৈকতকে বলা হয় ব্লু বিচ।[২৬] কিছু সৈকত ব্যক্তিগত এবং কিছু সরকারি, যা পরিবর্তিত রিসর্ট শিল্পের কারণে সময়ের সাথে সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, সৈকতে অপহরণ এবং আল কায়েদার হুমকির কারণে অ্যাডেনের রিসর্ট শিল্পের জন্য সমস্যা দেখা দিয়েছে, যা স্থানীয় ও পাশ্চাত্যদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল। [২৭]
  • আল-আইদারোস মসজিদ
  • মেইন পাস - বর্তমানে আল-আকবা রোড নামে পরিচিত এটি ক্র্যাটার হয়ে অ্যাডেনের একমাত্র রাস্তা। মূলত মেইন গেট নামে পরিচিত একটি খিলানযুক্ত উচ্চতর সেতু এটি অ্যাডেন শহরটিকে উপেক্ষা করে অটোমান সাম্রাজ্যের সময়ে নির্মিত হয়েছিল। ২৪ তম ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ব্যাটালিয়নের আঁকা ক্রেস্টটি এখনও গেট সাইট সংলগ্ন ইটভাটায় দৃশ্যমান এবং বিশ্বাস করা হয় যে এটি ঔপনিবেশিক শাসনের একমাত্র অবশিষ্ট সেনা ক্রেস্ট হিসাবে এখনও আডেনে দৃশ্যমান। ১৯৬৩ সালের মার্চ মাসে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণে সেতুটি বর্তমান ৪ লেন মহাসড়কের ২ লেনের রাস্তাটি প্রশস্ত করতে সরানো হয়েছিল এবং এই সেতুর একমাত্র অনুস্মারকটি আল-আকবা সড়ক মোড়ের শেষে নির্মিত একটি চতুর্থাংশ স্কেল প্রতিরূপ। অ্যাডেন গেট মডেল চক্র।

অর্থনীতি সম্পাদনা

ঐতিহাসিকভাবে অ্যাডেন আফ্রিকান উপকূল থেকে এবং ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতো।[২৮][২৯] ১৯২০ সালে ব্রিটিশরা একে আরব ব্যবসায়ের প্রধান আমদানিকারক, স্বল্প পরিমাণে স্থানীয় উৎপাদনের স্বীকৃতি দেয় এবং অভ্যন্তরের এবং বেশিরভাগ ছোট আরব বন্দরের পর্যাপ্ত চাহিদা সরবরাহ করে। ডকগুলোতে, শহরটি কয়লা প্রেরণের জন্য জাহাজ সরবরাহ করে। ১৯২০ সালের মধ্যে নগরের উৎপাদিত একমাত্র পণ্য ছিল লবণএছাড়াও, বাব-এল-মান্দেবে প্রবেশের সময় বন্দরের স্টপ জাহাজগুলো নিতে হয়েছিল; এভাবেই মক্কার মতো শহরগুলো জাহাজে করে পণ্য গ্রহণ করেছিল। দক্ষিণ ইয়েমেনের জাতীয় বিমান সংস্থা ইয়েমেন এয়ারলাইন্সের সদর দফতর ছিল অ্যাডেনে। ১৫ ই মে ১৯৯৬ সালে ইয়েমেন এয়ারলাইনস ইয়েমেনিয়ার সাথে একীভূত হয়েছিল।[৩০]

বিশ শতকের গোড়ার দিকে অ্যাডেন ছিল কফি উৎপাদনের একটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র। ইয়েমেন পার্বত্য অঞ্চলে জন্মানো কফি মটরশুটি মহিলারা প্রক্রিয়াজাত করত।[৩১] লোবান, গম, যব, আলফালফা এবং বাজরাও অ্যাডেন থেকে উৎপাদিত ও রফতানি হত।[৩২][৩৩] অ্যাডেনে উৎপাদিত আলফালফা, বাজরা এবং ভুট্টার পাতা এবং ডাঁটা সাধারণত চরাঞ্চলে ব্যবহৃত হত। এছাড়াও ১৯২০ সাল থেকে অ্যাডেনে সমুদ্রের পানি থেকে লবণ আহরণ করা হতো। অ্যাগোস্টিনো বুর্গারেলা আজোলা অ্যান্ড কোম্পানি নামে একটি ইতালীয় সংস্থা অ্যাডেন সল্ট ওয়ার্কস নামে লবণ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করে। ভারত থেকে একটি ছোট সংস্থাও ছিল, যার নাম ছিল আবদুল্লভয় এবং জুমাভোয় লালজি অ্যান্ড কোম্পানি, অ্যাডেনে যার একটি লবণের উৎপাদন সংস্থা ছিল। উভয় সংস্থা লবণ রফতানি করেছে। ১৯১৬ এবং ১৯১৭ এর মধ্যে, অ্যাডেন ১২০,০০০ টন লবণ উৎপাদন করেছিল। অ্যাডে্নে পটাশও তৈরি হতো, যা সাধারণত মুম্বাইতে রফতানি হত।[৩৪]

অ্যাডেনে জলিবোটস উৎপাদন করা হতো। প্রধানত অ্যাডেনের অভ্যন্তরে উৎপাদিত বাবলা থেকে কাঠকয়লা তৈরি হতো। অ্যাডেনে ইহুদিগ্রিক জনগোষ্ঠী সিগারেট তৈরি করত। মিশর থেকে তামাক আমদানি করা হত।[৩৫]

পরিবহন সম্পাদনা

 
১৯৬০ সালে অ্যাডেনের বন্দর

ঐতিহাসিকভাবে, অ্যাডেনের বন্দরটি এই অঞ্চলের পরিবহণের একটি প্রধান কেন্দ্রস্থল। ১৯২০-এর হিসাবে বন্দরটির ক্ষেত্রফল ১৩×৬ কিমি (৮×৪ মা) আকারে। যাত্রীদের জাহাজগুলো স্টিমার পয়েন্টে অবতরণ করতো, যা এখন তাওয়াহী নামে পরিচিত। [২৮]

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে মোটর গাড়িগুলো যুক্তরাজ্যের মতো বাম দিকে চালিত হতো। ১৯৭৭ সালের ২ শে জানুয়ারি অ্যাডেন এবং দক্ষিণ দক্ষিণ ইয়েমেনের বাকী অংশগুলো প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে দিক পরিবর্তন করে ডানদিকে গাড়ি চালনো শুরু হয়। [৩৬]

বিমানবন্দরের যুদ্ধের আগ পর্যন্ত আডেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দ্বারা শহরটিতে বিমান পরিষেবা পরিচালিত হতো। আডেন এবং ইয়েমেনে ২০১৫ সালের সামরিক হস্তক্ষেপে ইয়েমেনের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোর পাশাপাশি এই বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২২ শে জুলাইয়ে, হুথি বাহিনীকে শহর থেকে বিতারিত করার পর অ্যাডেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি আবারও কার্যকর করার জন্য ঘোষণা করা হয় এবং চার মাসের মধ্যে সহায়তা নিয়ে আসা একটি সৌদি বিমান ছিল আডেনে অবতরণকারী প্রথম বিমান। [৩৭] একই দিনে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (WFP) একটি জ্বালানী বহনকারী চার্টার্ড জাহাজ অ্যাডেনের বন্দরে ভিড়ে। [৩৮]

জলবায়ু সম্পাদনা

কেপেন-গাইগার জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস ব্যবস্থায় পদ্ধতিতে অ্যাডেন একটি উষ্ণ মরুজ জলবায়ু (BWh/বিডাব্লিউএইচ) অঞ্চল। অ্যাডেনে সারা বছরই বৃষ্টিহীন আবহাওয়া বিরাজ করলেও বছর জুড়েই এখানকার বায়ু আর্দ্র থাকে।

অ্যাডেন সমুদ্রের তাপমাত্রা
জান ফেব্রুয়ারি মার এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর নভেম্বর ডিসেম্বর
২৫ °সে (৭৭ °ফা) ২৫ °সে (৭৭ °ফা) ২৬ °সে (৭৯ °ফা) ২৭ °সে (৮১ °ফা) ২৯ °সে (৮৪ °ফা) ৩০ °সে (৮৬ °ফা) ২৯ °সে (৮৪ °ফা) ২৯ °সে (৮৪ °ফা) ৩০ °সে (৮৬ °ফা) ২৮ °সে (৮২ °ফা) ২৭ °সে (৮১ °ফা) ২৫ °সে (৭৭ °ফা)

আরও দেখুন সম্পাদনা

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. Battutah, Ibn (২০০২)। The Travels of Ibn Battutah। Picador। পৃষ্ঠা 87,307। আইএসবিএন 9780330418799 
  2. "Yemen's President Hadi declares new 'temporary capital'"। Deutsche Welle। ২০১৫-০৩-২১। ২০১৫-০৬-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৩-২১ 
  3. Fahim, Karim; Bin Lazrq, Fathi (২০১৫-০৪-১০)। "Yemen's Despair on Full Display in 'Ruined' City"The New York TimesThe New York Times Company। ২০২১-০৩-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৪-১১ 
  4. "Proxies and paranoia"The EconomistEconomist Group। The Economist। ২০১৫-০৭-২৫। ২০১৭-১২-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-৩০ 
  5. Modern Middle East Nations and Their Strategic Place in the World: Yemen, 2004, by Hal Markovitz. আইএসবিএন ১-৫৯০৮৪-৫২১-৮
  6. Lawrence G. Potter (২০০৯)। The Persian Gulf in History। পৃষ্ঠা 180। আইএসবিএন 9780230618459। ১৯ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২১ 
  7. Dr Pirouz Mojtahed-Zadeh (২০১৩)। Security and Territoriality in the Persian Gulf: A Maritime Political Geography। পৃষ্ঠা 64। আইএসবিএন 9781136817175। ১৯ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২১ 
  8. Broeze (২০১৩-১০-২৮)। Gateways Of Asia। Routledge। পৃষ্ঠা 30। আইএসবিএন 978-1-136-16895-6 
  9. J. K. Laughton, ‘Jourdain, John (c.1572–1619)’, rev. H. V. Bowen, Oxford Dictionary of National Biography, Oxford University Press, 2004; online edn, Jan 2008
  10. Christie, Nikki (২০১৬)। Gaining and Losing an Empire: Britain 1763–1916। Pearson। পৃষ্ঠা 53–55। 
  11. Great Britain Hydrographic Dept (১৯০০)। The Red Sea and Gulf of Aden Pilot (5th সংস্করণ)। Order of the Lords Commissioners of the Admiralty। পৃষ্ঠা 348। 
  12. "Timeline: Al Qaeda's Global Context: Al Qaeda's First Attack"Frontline: The Man Who Knew। pbs.org। ১৫ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-৩০ 
  13. Worth, Robert F. (২০১০-০২-২৮)। "In Yemen's South, Protests Could Cause More Instability"The New York Times। ৪ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-০৮ 
  14. "Head of GCC visits embattled Hadi in Aden"। The Daily Star। ২০১৫-০২-২৬। ২০২১-০৩-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-২৬ 
  15. Hendawi, Hamza (২০ মার্চ ২০১৫)। "Fierce gun battle between factions at Yemen airport"। The Scotsman। ২৬ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৫ 
  16. "Separatist clashes flare in south Yemen"BBC News। ৩০ জানুয়ারি ২০১৮। ২৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ 
  17. "Yémen: les séparatistes sudistes, à la recherche de l'indépendance perdue"Le Point। ২৮ জানুয়ারি ২০১৮। ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ 
  18. "South Yemen separatists send reinforcements to Aden"। Almasdarnews.com। ২০১৮-০১-২৯। ২০১৮-০৭-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০২ 
  19. "All You Need To Know About The Killed Separatist Leader "Abu Al-Yamamah""। adennews। ১৩ জুলাই ২০২০। 
  20. "Yemen war: Deadly attack at Aden airport as new government arrives"। BBC। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০। ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২১ 
  21. Hatem, Mohammed (৩০ ডিসেম্বর ২০২০)। "Blasts at Yemen Airport Said to Kill 30 as New Cabinet Lands"। Bloomberg News। 
  22. Jamal, Shafee (2012-01-12). "Aden's rich religious heritage." Yemen Times (YemenTimes.com). Archived 2015-05-04.
  23. "Archived copy"। ২০১৬-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-০৩ 
  24. "Arabia Antica: Pre-islamic Arabia, Culture and Archaeology: About"arabiantica.humnet.unipi.it। ১৪ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-১৪ 
  25. Taminian, Lucine (১৯৯৮)। "Rimbaud's House in Aden, Yemen: Giving Voice(s) to the Silent Poet": 464–490। জেস্টোর 656569ডিওআই:10.1525/can.1998.13.4.464 
  26. McLaughlin, Daniel (২০০৮)। Yemen। Bradt Travel Guides। পৃষ্ঠা 183। 
  27. Abi Habib, Maria (২০১৩-০৬-০৬)। "Aden, Once The Lively Beach Resort of Yemen, Struggles Under Sway of Al Qaeda"The Wall Street Journal। ২০১৬-১১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-০৩ 
  28. Prothero, G.W. (১৯২০)। Arabia। H.M. Stationery Office। পৃষ্ঠা 68। ৩০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৮ 
  29. Prothero, G.W. (১৯২০)। Arabia। H.M. Stationery Office। পৃষ্ঠা 69। ৩০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৮ 
  30. "North and South Yemen Airlines to Merge". Flight International. 10–16 April 1996. 10 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে.
  31. Prothero, G.W. (১৯২০)। Arabia। H.M. Stationery Office। পৃষ্ঠা 83। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২১ 
  32. Prothero, G.W. (১৯২০)। Arabia। H.M. Stationery Office। পৃষ্ঠা 84। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২১ 
  33. Prothero, G.W. (১৯২০)। Arabia। H.M. Stationery Office। পৃষ্ঠা 86। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২১ 
  34. Prothero, G.W. (১৯২০)। Arabia। H.M. Stationery Office। পৃষ্ঠা 98। ৩০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২১ 
  35. Prothero, G.W. (১৯২০)। Arabia। H.M. Stationery Office। পৃষ্ঠা 99। ২২ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২১ 
  36. The Rule of the Road: An International Guide to History and Practice, Peter Kincaid, Greenwood Press, 1986, page 200
  37. "Aden Airport ready to operate"Yemen Times। ২০১৫-০৭-২২। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-২৭ 
  38. "New WFP Ship Arrives in Aden Port With Fuel For Humanitarian Operations"World Food Programme। United Nations। ২০১৫-০৭-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-৩০ 

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  • গারস্টন, জে। "অ্যাডেন: প্রথম শত বছর," ইতিহাস আজ (মার্চ ১৯৬৫) ১৫ # ৩ পিপি ১৪৭–১৫৮। ১৮৩৯ থেকে ১৯৩৯ জুড়ে।
  • Norris, H.T.; Penhey, F.W. (১৯৫৫)। "The Historical Development of Aden's defences"। 

আরও পড়া সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

  •   উইকিভ্রমণ থেকে অ্যাডেন ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।
  • ArchNet.org। "Aden"। MIT School of Architecture and Planning। ২০০৭-০৭-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।