মুহাম্মদ ফরিদ হাবিব

বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা
(এম ফরিদ হাবিব থেকে পুনর্নির্দেশিত)

অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ ফরিদ হাবিব (এনডি, এনবিপি, ওএসপি, বিসিজিএম, এনডিসি , পিএসসি; জন্ম ১৯৫৯) বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম নৌবাহিনী প্রধান। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ইতিহাসে প্রথম চার তারকা অ্যাডমিরাল।[১]

মুহাম্মদ ফরিদ হাবিব
জন্ম১৯৫৯ (1959) (বয়স ৬৫)
টাঙ্গাইল
আনুগত্য বাংলাদেশ
সেবা/শাখা বাংলাদেশ নৌবাহিনী
কার্যকাল১৯৭৯– ২৭ জানুয়ারি ২০১৬
পদমর্যাদাঅ্যাডমিরাল

নেতৃত্বসমূহ
  • বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান
  • নৌবাহিনীর সহকারী চিফ (অপারেশনস)
  • নৌবাহিনীর সহকারী চিফ (কর্মী)
  • নৌ প্রশাসক কর্তৃপক্ষ ঢাকা (প্রশাসন ঢাকা)
  • কমোডোর কমান্ডিং খুলনা (কমখুল)
  • কমোডোর কমান্ডিং বিএন ফ্লোটিলা
পুরস্কার
  • সিলভার টাইগার
  • বাংলাদেশ নৌবাহিনী পদক
  • বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক

প্রাথমিক জীবন এবং প্রশিক্ষণ সম্পাদনা

অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ ফরিদ হাবিব ১৯৫৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানের টাঙ্গাইলের কালিহতি উপজেলার ইছাপুর গ্রামে (বর্তমান বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি ছিলেন মোহাম্মদ আলী সরকারের সব চয়ে কম বয়সী উপ-সচিব।[৩]

ফরিদ হাবিব ১৯৭৬ সালে নৌবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি যুক্তরাজ্যের ডার্টমাউথ ব্রিটানিয়া রয়েল ন্যাভাল কলেজে মিডশিপম্যান হিসাবে বেসিক নৌ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[২][৩] ১ জানুয়ারি ১৯৭৯ সালে প্রশিক্ষণ শেষ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্বাহী শাখায় কমিশন করেন।[৪]

মুহাম্মদ ফরিদ হাবিব (ভাইস অ্যাডমিরাল) দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পেশাদার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং সব কোর্সে প্রথম শ্রেণী অর্জন করেন। প্রশিক্ষণ সমূহের মধ্যে চীন থেকে মিসাইল এবং মাইনি স্যুইপিং কোর্স, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান থেকে নেভিগেশনের দিকনির্দেশনা। বাংলাদেশ ও নিউপোর্ট রোড আইল্যান্ড নিউইয়র্ক থেকে কমান্ড ও স্টাফ কোর্স অন্তর্ভুক্ত। তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং কেপস্টন কোর্স করেন জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজ মিরপুর থেকে। যৌথ ওয়ারফেয়ার কোর্স এবং সাফ সেফটি কোর্স ইউ কে তে থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিফেন্স স্টাডিজ (এমডিএস) মাস্টার্স অর্জন করেন প্রথম বিভাগে। হাওয়াই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্ল্যাগ অফিসার কম্বিন্ড ফোর্স মেরিটাইম কম্পোনেন্ট কমান্ডারস কোর্স গ্রহণ করেন।।[৩] জাতীয় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।[৩] ২০ জানুয়ারি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান পদে নিযুক্ত হন। ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ সালে অ্যাডমিরাল হিসেবে পদন্নোতি পান। ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ সালে অবসরে জন গ্রহণ।[১][৫]

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি সম্পাদনা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সর্বোচ্চ স্কাউট পুরস্কার 'সিলভার টাইগার' অর্জন করেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অসাধারণ অবদান ও পেশাদারী উৎকর্ষতার জন্য নৌবাহিনী থেকে বিভিন্ন সময় প্রশংসা পান। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি 'বাংলাদেশ নৌবাহিনী পদক' ও 'বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক' অর্জন করেন।[৩]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

ব্যক্তিগত জীবনে অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ ফরিদ হাবিব বিবাহিত (স্ত্রী বেগম হাফিজা হাবিব)। এবং এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "BN, BAF chiefs rank upgraded"বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা। ২০১৬-০২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ 
  2. "Farid Habib new navy chief"The Daily Star। ২০১৩-০১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৭ 
  3. "Chairman BIO-DATA"www.ions.navy.mil.bd। ২০১৬-১১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৭ 
  4. "Farid Habib new Navy chief"Click Ittefaq। ২০১৬-১১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৭ 
  5. Independent, The। "Rear Admiral Nizamuddin made new navy chief"Rear Admiral Nizamuddin made new navy chief | theindependentbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৭ 
সামরিক দপ্তর
পূর্বসূরী
ভাইস অ্যাডমিরাল জহির উদ্দীন আহমেদ
নৌবাহিনী প্রধান
২৮ জানুয়ারি ২০১৩ - ২৭ জানুয়ারি ২০১৬
উত্তরসূরী
ভাইস অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন আহমেদ