উইলিয়াম স্কটন

ইংরেজ ক্রিকেটার

উইলিয়াম হেনরি স্কটন (ইংরেজি: William Scotton; জন্ম: ১৫ জানুয়ারি, ১৮৫৬ - মৃত্যু: ৯ জুলাই, ১৮৯৩) নটিংহামে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮১ থেকে ১৮৮৭ সময়কালে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন উইলিয়াম স্কটন

উইলিয়াম স্কটন
আনুমানিক ১৮৯৫ সালে উইলিয়াম হেনরি স্কটন
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম(১৮৫৬-০১-১৫)১৫ জানুয়ারি ১৮৫৬
নটিংহাম, ইংল্যান্ড
মৃত্যু৯ জুলাই ১৮৯৩(1893-07-09) (বয়স ৩৭)
সেন্ট জন উড, লন্ডন, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৫ ২৩৭
রানের সংখ্যা ৫১০ ৬,৫২৭
ব্যাটিং গড় ২২.১৭ ১৮.৯৭
১০০/৫০ ০/৩ ৪/২৩
সর্বোচ্চ রান ৯০ ১৩৪
বল করেছে ২০ ৭৬৫
উইকেট
বোলিং গড় - ৫১.২৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং - ১/৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/০ ১২২/০
উৎস: ক্রিকইনফো, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

কাউন্টি ক্রিকেট

সম্পাদনা

১১ ও ১২ মে, ১৮৭৪ তারিখে লর্ডসে ইংল্যান্ড সিক্সটিন কোল্টসের সদস্যরূপে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে উইলিয়াম স্কটন তার প্রথম খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ঐ খেলায় তিনি ১৯ ও রান তুলেছিলেন। ঐ বছরেই এমসিসি’র মাঠকর্মী হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৮৭৫ সালে কেনিংটন ওভালে যুক্ত হবার পর পুনরায় এমসিসিতে ফিরে আসেন। মৃত্যু-পূর্ব সময়কাল পর্যন্ত সদস্যরূপে এ দায়িত্বে ছিলেন। স্বীয় সক্ষমতা তুলে ধরতে সচেষ্ট হন ও নিজেকে প্রথমসারির দিকে নিয়ে যান। খেলোয়াড়ী জীবনের এক পর্যায়ে বিশেষতঃ ১৮৮৪ ও ১৮৮৬ সময়কালে সন্দেহাতীতভাবে ইংল্যান্ডে অন্যতম সেরা পেশাদার বামহাতি ব্যাটসম্যানের মর্যাদা লাভ করেছিলেন।

১৮৮৪ সালে নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে তেরো খেলায় অংশ নিয়ে ৩১.৯০ গড়ে ৫৬৭, ১৮৮৫ সালে ২২.২০ গড়ে ৪৪২ ও ১৮৮৬ সালে ২৯.৮০ গড়ে ৫৫৯ রান তুলেছিলেন।

টেস্ট ক্রিকেট

সম্পাদনা

বেশ কয়েকবার বড় ধরনের রান সংগ্রহ করলেও আগস্ট, ১৮৮৪সালে কেনিংটন ওভালে সফররত অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে ৯০ রানের মনোরম ইনিংসটি উল্লেখযোগ্যতার দাবীদার ছিল। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।

ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। পৌনে ছয় ঘণ্টা সময়কাল ক্রিজে অবস্থান করে ফ্রেড স্পফোর্থ, জোই পালমার, হ্যারি বয়েল, বিলি মিডউইন্টারজর্জ গিফেনের ন্যায় বোলারদেরকে শক্ত হাতে, দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেন তিনি। তবে সতীর্থদের কাছ থেকে খুব কম সফলতা পেলেও ওয়াল্টার রিডের সাথে নবম উইকেট জুটিতে ১৫১ রান তুলেছিলেন।

১৮৮৬ সালে অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ড সফরে আসে। ওভাল টেস্টে দুইটি স্মরণীয় ইনিংসের সাথে ডব্লিউ জি গ্রেস যুক্ত ছিলেন। ডব্লিউ জি গ্রেসের সাথে প্রথম উইকেটে ১৭০ রান তুলেন তিনি। ৩৪ রান তুলেন ২২৫ মিনিটে। স্কটন আউট হবার পর ওয়াল্টার রিড এসে ২১০ মিনিটে ৯৪ রান তুলেন। উইলিয়াম স্কটন তিনবার অস্ট্রেলিয়া গমন করেছেন। আলফ্রেড শআর্থার শ্রিউসবারি’র নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে ১৮৮১, ১৮৮৪ ও ১৮৮৬ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান।

এগারো খেলোয়াড় নিয়ে গড়া দলে খেলে ২০.৮০, ১৭.৩০ এবং ১০.১৩ গড়ে রান তুলেছিলেন। ১৮৯১ সালে সর্বশেষবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এরপর প্রথম-শ্রেণীবিহীন খেলায় অংশ নেয়াসহ আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করতেন।

৯ জুলাই, ১৮৯৩ তারিখে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে ক্ষুরের সাহায্যে গলা কেটে আত্মহননের পথ বেছে নেন।[] এ সময় তিনি লন্ডনের সেন্ট জন উডে বসবাস করছিলেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Frith, David (২০০১)। Silence of the Heart – Cricket Suicides। Edinburgh, Scotland: Mainstream Publishing। পৃষ্ঠা 60আইএসবিএন 184018406X 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা