ইশরাত মঞ্জিল
ইশরাত মঞ্জিল ঢাকার নবাব পরিবারের অন্যতম রাজকীয় আবাস। ঢাকার নবাবদের স্থানান্তরের জন্য প্রাসাদটি ব্যবহৃত হতো।[১] এই আকর্ষণীয় দ্বিতল ভবনটির অবস্থান ছিল ঢাকার শাহবাগে।[২]
ইতিহাসসম্পাদনা
সর্বভারতীয় শিক্ষা সম্মেলনসম্পাদনা
১৯০৬ সালে সর্বভারতীয় শিক্ষা সম্মেলন আয়োজনের জন্য ইশরাত মঞ্জিল বিখ্যাত। ঢাকার নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ আহুত এই সম্মেলনে উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম রাজনৈতিক দল নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গৃহীত হয়। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে জাতীয় কংগ্রসের অবস্থানের প্রেক্ষিতে ভারতীয় মুসলিমদের সংগঠন হিসেবে মুসলিম লীগ গঠিত হয় এবং পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখে।
ইশরাত মঞ্জিল প্রাসাদের দরবার হলে আহুত সর্বভারতীয় মুসলিম নেতাদের উপস্থিতিতে সর্বভারতীয় মুসলিম সঙ্ঘের আদলে নতুন মুসলিম রাজনৈতিক দলের নামকরণ নিয়ে বৈঠক হয়। এর মধ্যে খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুর ও হাকিম আজমল খান প্রস্তাবিত "নিখিল ভারত মুসলিম লীগ" নামটি গৃহীত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসম্পাদনা
১৯১২ সালে ভাইসরয় চার্লস হার্ডিঞ্জের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল নবাব খাজা সলিমুল্লাহর সাথে ইশরাত মঞ্জিলে বৈঠক করেন। বৈঠকে স্যার সলিমুল্লাহ পূর্ববঙ্গে মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করেন, যা ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়।
বর্তমান অবস্থাসম্পাদনা
বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের মধুর ক্যান্টিন ইশরাত মঞ্জিল বাগানবাড়ির জলসাঘর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। জলসাঘরের মেঝে ও আশেপাশের এলাকা মার্বেল পাথরে আচ্ছাদিত ছিল। ভবনটি নবাব পরিবার স্কেটিং করতে ব্যবহার করত। এ কারণে এটি "স্কেটিং প্যাভিলিয়ন" নামেও পরিচিত ছিল।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "শাহবাগ"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ সেদিনের জলসা ঘর আজকের মধুর ক্যান্টিন, সমকাল, ১৬ এপ্রিল ২০১৪
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৪′০৫″ উত্তর ৯০°২৩′৩৮″ পূর্ব / ২৩.৭৩৪৬° উত্তর ৯০.৩৯৩৮° পূর্ব