ইতিহাস (চলচ্চিত্র)
ইতিহাস ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার সামাজিক অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন কাজী হায়াৎ।[১] চলচ্চিত্রটির কাহিনী, চিত্রণাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পরিচালক কাজী হায়াৎ নিজেই। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছেন কাজী মারুফ,[২] রত্না, মৌসুমী,[৩] কাজী হায়াৎ প্রমুখ। চলচ্চিত্রটি ২০০২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনটি শাখায় পুরস্কার অর্জন করে।
ইতিহাস | |
---|---|
পরিচালক | কাজী হায়াৎ |
প্রযোজক | কাজী হায়াৎ |
চিত্রনাট্যকার | কাজী হায়াৎ |
কাহিনিকার | কাজী হায়াৎ |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল |
চিত্রগ্রাহক | হারুন আল রশীদ |
সম্পাদক | মুজিবুর রহমান দুলু |
পরিবেশক | কাজী হায়াৎ ফিল্মস |
মুক্তি | ২০০২ |
স্থিতিকাল | ১৫৫ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
কাহিনী সংক্ষেপ
সম্পাদনাবোন মীমের আদরের ছোট ভাই মারুফ একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ালেখা করে। বাবা আহাদ খান একজন খুব নামকরা সাংবাদিক। সততা তার আদর্শ। বাবাকে নিয়ে গর্ব করে দুই ছেলেমেয়ে। একদিন স্কুলে যাবার পথে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। বাবার নাম বলা কাল হয় তার জন্য। পুলিশ তাকে হেরোইনখোর হিসাবে কারাগারে আটকে রাখে। কারাগারে সে নির্বিচারে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হতে থাকে , যা তাকে পরবর্তী জীবনে সন্ত্রাসী হতে বাধ্য করে । কারণ বিনা দোষে সাংবাদিকের ছেলেকে ধরে কারাগারে এনেছে শুনলে পুলিশের অন্যায়ের উপর প্রতিবেদন লিখতে পারে। ফলে ঐ সমস্ত পুলিশের চাকরি চলে যেতে পারে । জামিনে বের হয় মারুফ। এই খারাপ সমাজ থেকে চলে যেতে চায় অ্যামেরিকাতে। কিন্তু যাবার দিন আবার পুলিশ তাকে আটক করে। ইতোপূর্বে খুশি ( রত্না ) নামে একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে সে । কিন্তু সন্ত্রাসী বলে তার মা তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে নারাজ । ইতোমধ্যে অন্য পাত্রের সাথে খুশির ( রত্না ) বিয়ে ঠিক করেন । এভাবেই রচিত হয় মারুফের জীবনকাহিনী , এক করুণ ইতিহাস ।
অভিনয়ে
সম্পাদনা- কাজী মারুফ - মারুফ
- রত্না - খুশি
- মৌসুমী - মীম
- কাজী হায়াৎ - আহাদ খান
- ডিপজল - সোবহান
- মিজু আহমেদ - সাধু বাবা
- কাবিলা - কাবিলা
- আফজাল শরীফ - সানাউল্লাহ পাটোয়ারী
- কালা আজিজ
- নার্গিস আক্তার মর্জিনা
নির্মাণ নেপথ্য
সম্পাদনাপরিচালক কাজী হায়াৎ এর অনেকদিনের ইচ্ছা ছিলো তার ছেলেকে দিয়ে একটি কাজ করবেন। সে লক্ষ্যে তিনি ৬-৭ টা কাহিনী লেখেন কিন্তু কোনটাই তার পছন্দ মত না হওয়ায় কাজ শুরু করতে পারেন না। একদিন তার পুরানো পান্ডুলিপি ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে ১৯৯২ সালে লেখা এই চলচ্চিত্রের কাহিনী পেয়ে যান। তারপর কিছুটা কাটছাঁট করে কাজ শুরু করেন। প্রথমে ছায়াছবিটির নাম নির্ধারণ করেন "সন্ত্রাসী মারুফ"। কিন্তু সেন্সরে যাওয়ার আগে আরেক পরিচালক মহাম্মদ হাননান-এর উপদেশে নাম রাখেন "ইতিহাস"।[৪]
সঙ্গীত
সম্পাদনাইতিহাস চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ও গীত রচনা করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন, কুমার বিশ্বজিৎ, মনির খান, আসিফ আকবর, মমতাজ, ও বেবি নাজনীন।
গানের তালিকা
সম্পাদনানং | গানের শিরোনাম | কণ্ঠশিল্পী | পর্দায় শিল্পী | গানের দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|---|
১ | তুমি কই তুমি কই | আসিফ আকবর ও বেবি নাজনীন | মারুফ, রত্না | |
২ | প্রেম করেছে পৃথিবীতে | আসিফ আকবর ও সাবিনা ইয়াসমিন | মারুফ, রত্না | |
৩ | মনে যদি পচন ধরে | মমতাজ | মারুফ |
পুরস্কার
সম্পাদনা- শ্রেষ্ঠ পরিচালক - কাজী হায়াৎ
- শ্রেষ্ঠ অভিনেতা - কাজী মারুফ
- শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদক - মুজিবুর রহমান দুলু
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "কাজী হায়াতঃ একজন সাহসী পরিচালকের গল্প"। মিডিয়া খবর। নভেম্বর ৬, ২০১৪। ৩১ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৬।
- ↑ "কাজী মারুফ নতুনরূপে"। দৈনিক মানবজমিন। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১৮ মে ২০১৫। ১৮ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৬।
- ↑ কামরুজ্জামান মিলু (২২ মে ২০১৬)। "নতুন রত্না"। দৈনিক মানবজমিন। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৬।
- ↑ আবদুল্লাহ আল মানি (ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫)। "ইতিহাস (২০০২)"। বাংলা মুভি ডেটাবেজ। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৬।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ইতিহাস (ইংরেজি)