ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া
ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া (ইউএনআইএসএ) ঢাকা, বাংলাদেশের একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯২ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন দ্বারা এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পাঠ্যক্রম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিশ্ববিদ্যালয় অনুদান কমিশন দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে।[১][২]
ধরন | বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ২০০৩ |
ইআইআইএন | ১৩৬৬৬০ |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৪৩ |
ঠিকানা | স্থায়ী ক্যাম্পাস- আমিন বাজার, সাভার, ঢাকা-১৩৪৮, বাংলাদেশ , , ২৩°৪৭′৩৬″ উত্তর ৯০°১৮′৫৯″ পূর্ব / ২৩.৭৯৩২৫২° উত্তর ৯০.৩১৬২৫২° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
সংক্ষিপ্ত নাম | UNISA |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন |
ওয়েবসাইট | southasiauni |
অবস্থান
সম্পাদনাইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ রোডের হাতের বাম পাশে ৩য় গলিতে ১৪ নম্বর রোডে অবস্থিত। এখানে সর্বমোট ১৩টি বিষয় আছে। এতে অনার্স এবং মাস্টার্স এর ক্লাসগুলো ‘ডে’ শিফটে হয়ে থাকে। এতে কোন ইভিনিং শিফট নাই। এদের নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরীর জন্য মিরপুরে জমি ক্রয় করা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফলাফল দেওয়া হয়। এখানে প্রতিটি ক্লাস ১:৩০ ঘণ্টা করে নেওয়া হয়। প্রতি বিভাগে প্রতি বছর ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয় গড়ে ৪০ জন। প্রতি বিভাগে গড়ে শিক্ষক সংখ্যা ১৫ জন। স্থায়ী শিক্ষক হচ্ছেন ৭৬ জন আর অস্থায়ী শিক্ষক হচ্ছেন ৫৫ জন।প্রশাসনিক ভবন মূল ক্যাম্পাসেই রয়েছে। এতে ভার্সিটি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। ওয়েব সাইটে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। ভর্তি সংক্রান্ত ক্লাস, রুটিন, এসাইনমেন্ট ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়।
শিক্ষাবৃত্তি
সম্পাদনাএস.এস.সি ও এইচ.এস.সি তে (গোল্ডেন) জিপিএ ৫ প্রাপ্তরা ১০০%, Waiver ৪.৮০ – ৪.৯৯ প্রাপ্তরা ৭৫% সুবিধা, ৪.৫০ – ৪.১৭ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ৫০% waiver সুবিধা পাবে। তাছাড়া পরপর ২ সেমিস্টারে ৪ আউট অব ৪ পেলে পরের সেমিস্টারে ১০০% বৃত্তি সুবিধা পাবে। অ্যাডমিশন অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করে তা পূরণ করে জমা দিতে হবে।
ভর্তি কার্যক্রম
সম্পাদনাপরীক্ষার আগে ভর্তি আবেদনপত্র ৩০০ টাকার বিনিময়ে অ্যাডমিশন অফিস থেকে সংগ্রহ করে তা আবার পূরণ করে অ্যাডমিশন অফিসে জমা দিতে হবে। অনলাইন থেকে ওয়েবসাইটে www.unisa.ac.bd আবেদনপত্র ডাউনলোড করে ৩০০ টাকা সহ অ্যাডমিশন অফিসে জমা দিতে হবে। পরীক্ষার পরে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা অ্যাডমিশন অফিসে যোগাযোগ করবে। ভর্তির খরচ বাবদ ১৪,০০০ টাকা লাগবে। এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি এর মার্কসীটের ফটোকপি ও ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে। অপেক্ষমাণ ছাত্র-ছাত্রীর তালিকা অ্যাডমিশন অফিসের নোটিশ বোর্ডে দেয়া থাকবে।
অন্যান্য সুবিধা
সম্পাদনাএই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়েদের ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, ক্রিকেট, সাইবার গেমস ইত্যাদি টুর্নামেন্টের ব্যবস্থা রেখেছে। এদের নিজস্ব কোন মাঠ নেই। ভাড়া করা মাঠে খেলা হয়ে থাকে।
ক্রেডিট ট্রান্সফার
সম্পাদনানূন্যতম ৩.৫০ থাকলে দেশে ও বিদেশে ক্রেডিট ট্রান্সফার করা যায়।
লাইব্রেরী ব্যবস্থা
সম্পাদনালাইব্রেরী ভবন মূল ক্যাম্পাসেই অবস্থিত। লাইব্রেরী কার্ড দিয়ে বই পাওয়া যায় এবং বাসায় নিয়ে যাওয়া যায়। এতে টেক্সট বুকস, জার্নালস, ডাটা রেফারেন্স, রেয়ার কালেকশন ইত্যাদি পাওয়া যায়। এতে একসাথে ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রী বসে পড়তে পারে। খোলা হয় সকাল ৯.০০ টায় এবং বন্ধ হয় রাত ৯.০০ টায়। এতে ৬টি ক্লাব আছে। সদস্য আহ্বান করা হলে আবেদনপত্রের মাধ্যমে সদস্যপদ পাওয়া যায়।
সাউথ এশিয়া বিজনেস স্কুল
সম্পাদনা- ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ)
প্রকৌশল স্কুল
সম্পাদনা- ব্যাচেলর অফ কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (বিসিএসই)
- ব্যাচেলর অফ কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি (বিসিএসআইটি)
- ব্যাচেলর অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিটিই)
মানবতার স্কুল
সম্পাদনা- ইংরেজি সাহিত্য ও সংস্কৃতির ব্যাচেলর অফ আর্টস (বিএইচ)
- ব্যাচেলর অফ এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স (বিইএস)
জনস্বাস্থ্য ও জীবন বিজ্ঞান স্কুল
সম্পাদনা- ব্যাচেলর অফ এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স
সাউথ এশিয়া বিজনেস স্কুল
সম্পাদনা- মাস্টার্স অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ)
- এক্সিকিউটিভ মাস্টারস অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইএমবিএ)
- মাস্টার ম্যানেজমেন্ট অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (এমবিএম)
প্রকৌশল স্কুল
সম্পাদনা- কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন মাস্টার্স (এমসিএ)
- কম্পিউটার বিজ্ঞান মাস্টার্স (এমসিএস)
জনস্বাস্থ্য ও জীবন বিজ্ঞান স্কুল
সম্পাদনা- পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান মাস্টার্স (এমএনএফএস)
- জনস্বাস্থ্যের মাস্টার্স (এমপিএইচ)
ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম
সম্পাদনা- অপটোমেট্রি ও লো ভিশন ডিপ্লোমা (ডিওএলভি)
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ jugantor.com। "ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া বন্ধের সুপারিশ করবে ইউজিসি | মহানগর | Jugantor"। দৈনিক যুগান্তর। ২০১৯-০৭-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৭।
- ↑ Dainikshiksha। "২০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দায় নেবে না ইউজিসি - Dainikshiksha"। Dainik shiksha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৭।