আল-ওমারি গ্র্যান্ড মসজিদ

লেবাননের মসজিদ

আল-ওমারি গ্র্যান্ড মসজিদ (আরবি: المسجد العمري الكبير) লেবানন এর বৈরুত কেন্দ্রীয় জেলার একটি মসজিদ।

আল-ওমারি গ্র্যান্ড মসজিদ
المسجد العمري الكبير
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিসুন্নি ইসলাম
অবস্থান
অবস্থানবৈরুত, লেবানন
স্থানাঙ্ক৩৩°৫৩′৫১″ উত্তর ৩৫°৩০′১৯″ পূর্ব / ৩৩.৮৯৭৬° উত্তর ৩৫.৫০৫২° পূর্ব / 33.8976; 35.5052
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীরোমানীয়
প্রতিষ্ঠার তারিখ১২৯১

বিবরণ সম্পাদনা

আল-ওমারি গ্র্যান্ড মসজিদটি মূলত সেন্ট জন এর চার্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ক্রুসেডাররা ১২ শতকে এটি নির্মাণ করে। মামলুকরা এটি ১২৯১ সালে শহরের গ্র্যান্ড মসজিদে রূপান্তরিত করে। লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময় মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ২০০৪ সালে মসজিদটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়।[১]

ইতিহাস সম্পাদনা

আল-ওমারি গ্র্যান্ড মসজিদটি শহরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি এবং এটি সবচেয়ে প্রাচীন। এটি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব এর শাসনামলে ৬৩৫ খ্রিস্টপূর্বে নির্মাণ করা হয়। এই মসজিদটিকে ১২ শতকে একটি গির্জায় রূপান্তরিত করা হয়। তবে, ১৩ শতকের মধ্যে মামলুকরা এটিকে পুনরায় একটি মসজিদে রূপান্তরিত করে। এটি প্রাচীন গির্জার "বাইজেন্টাইন স্থাপত্যের" নিদর্শনকে প্রতিফলিত করে। এছাড়া, এর মামলুক শৈলীর প্রবেশদ্বার এবং মিনারগুলো খুব আকর্ষণীয়। ২০০৪ সালে পুনরায় সংস্কার করা মসজিদটি বর্তমানে বৈরুতের একটি মূল্যবান প্রাচুর্য। রোমান কলাম এবং ক্যাপিটালের মতো পুনরুদ্ধার করা উপাদান ব্যবহার করে টায়ার এবং টারটাসে নির্মিত ত্রৈধ অ্যাস্পেন সহ রোমানস্ক গির্জার অনুরূপ একটি গির্জা তৈরি করা হয়।[২]

মামলুকরা ১২৯১ সালে বৈরুত দখল করার পর গির্জাটিকে একটি মসজিদে রূপান্তরিত করে। খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব এর নামে এটির নামকরণ করা হয় "আল-ওমারি মসজিদ"। খুব অল্প সময়েই এটি "জামি' আল-কাবির" (মহান মসজিদ) নামে পরিচিতি লাভ করে। এর মামলুক-শৈলীর প্রবেশদ্বার এবং মিনারটি ১৩৫০ সালে যুক্ত করা হয়। ফরাসি ম্যান্ডেটের সময় এতে একটি রিওয়াক বা পোর্টিকো যুক্ত করা হয় এবং "মারদ স্ট্রিটের" নতুন উপনিবেশের সাথে মসজিদের প্রধান প্রবেশদ্বারকে একীভূত করে সম্মুখভাগের নতুন নকশা করা হয়।[১]

১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধের সময় মসজিদটি খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিন্তু, ২১ শতকের শুরুতে ইউসেফ হায়দার দ্বারা এটি পুনরুদ্ধার করা হয় এবং চত্বরে একটি কাঠের প্যানেল সংযোজন করা হয়। পরবর্তিতে ২০০৪ সালে মসজিদের সংস্কার কাজ এমনভাবে সম্পন্ন করা হয়, যেন এটি ভবনটির উত্স এবং ইতিহাসকে প্রকাশ করে। একটি নতুন উপনিবেশিক চত্বরের উত্তর-পশ্চিম কোণে আরেকটি মিনার নির্মাণ করা হয়। এর তলদেশে রোমান কলাম এবং পাথরের খিলান সহ একটি প্রাচীন কুন্ড সংরক্ষিত রয়েছে।[১][২]

সময়কাল সম্পাদনা

  • ১১৫০: ক্রুসেডাররা সেন্ট জনের মূল চার্চ তৈরি করে।
  • ১২৯১: মামলুকরা বৈরুত পুনরুদ্ধার করে এবং গির্জাটিকে একটি মসজিদে রূপান্তরিত করে।
  • ১৩৫০: মসজিদে মামলুক-শৈলীর প্রবেশদ্বার এবং মিনার যুক্ত করা হয়।
  • ১৯৭৫-১৯৯০: গৃহযুদ্ধের সময় মসজিদটি খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • ২০০৪: মসজিদের সংস্কার কাজটি এমনভাবে সম্পন্ন করা হয়, যেন এটি ভবনের উত্স এবং ইতিহাসকে প্রকাশ করে।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "AlOmari Grand Mosque | IRCICA"www.islamicarchitecturalheritage.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৭-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-২৮ 
  2. Picture, Lebanon in a। "The Al-Omari Grand Mosque, originally the old church of Saint John the... (Beirut, Lebanon) - Lebanon in a Picture"www.lebanoninapicture.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-২৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

  • আল-ওয়ালি, শেখ মোহাম্মদ ত্বহা (১৯৭৩) তারিখ আল-মাসাজিদ ওয়াল জাওয়ামি আল-শরিফা ফি বায়রুত, দার আল-কোতোব, বৈরুত।
  • এনলার্ট, ক্যামিল (১৯০৪) "লা ক্যাথেড্রেল সেন্ট-জিন ডি বৈরুত" এর মধ্যে: ফ্রান্সের পুরাকীর্তি জাতীয় সমিতি: শতবর্ষ ১৮০৪-১৯০৪, ক্লিঙ্কসিক, প্যারিস: ১২১-১৩৩।
  • স্থপতি ইউসুফ হায়দার, বৈরুত হতে প্রাপ্ত তথ্য।