আদনান হলেন আদনানি আরবদের প্রথাগত পূর্বপুরুষ। আদনানের বংশধররা দক্ষিণ আরবের কাহতানী আরবদের বিপরীতে উত্তরাঞ্চলীয়, পশ্চিম ও মধ্য আরবে বাস করতো।[]

আদনান
আদনাদের বংশদরের বাসস্থান
পরিচিতির কারণমুহাম্মদের(সাঃ) পূর্বসূরী
সন্তানমা'দ ইবন আদনান
আক ইবন আদনান
পিতা-মাতাউদাদ (বাবা)

সাধারণ মত অনুসারে, আদনান ছিলেন ইসমাইলি আরবদের পিতা যারা পশ্চিম ও উত্তর আরবে বসবাস করতেন। তিনি ইব্রাহিমের পুত্র ইসমাইলের বংশধর। বংশগতিবিদরা বিশ্বাস করেন যে, আদনান হলেন উত্তর আরব এবং ইরাকসহ পশ্চিম উপকূল বরাবর অনেক ইসমাইল পরিবারগোষ্ঠীর জনক। [][][][]

পরিবার

সম্পাদনা
 
ইবন হিশাম রচিত "মুহাম্মাদ (সাঁঃ) এর জীবন" থেকে তৈরি আদনানাইট আরব পরিবারের পারিবারিক গাছ

প্রাক-ইসলামী আরবে

সম্পাদনা

আদনান এর কথা বিভিন্ন প্রাক-ইসলামী কবিতায় যেমন প্রাক-ইসলামিক কবি: "লুবাইব ইবনে রাবিয়া" এবং "আব্বাস ইবনে মিরদাস" এদের কবিতায় তার কথা উল্লেখ করেন। []

আদনানকে প্রাক-ইসলামী আরবরা আরব উপজাতির পিতৃপুরুষদের মধ্যে সম্মানিত পিতা হিসাবে দেখত এবং তারা আদনানের কথা বলে তাদের বংশকে অন্য কাহতানি উপজাতির বিরুদ্ধে গর্ব করার জন্য ব্যবহার করতো। কারণ কাহতানীরা আদনানীদের মধ্যে সংখ্যালঘু ছিল। []

উত্তর আরবীয় শিলালিপিতে

সম্পাদনা

বিভিন্ন সামুদিক শিলালিপিতে আদনানের নামটি বহুবার পাওয়া গেছে বলে বলা হয়, তবে তা বিশদভাবে নয়। কিছু কিছু নাবাতাইনরা(নাবিওথ ছিলেন ইসমাইল(আ) এর প্রথম পুত্র) তাকে আবদ আদনান " (আদনানের দাস) নামে ডাকতো। সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসাবে তাঁকে কেউ উপাসনা করতো বলে নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। [][][১০]

মৃত্যু

সম্পাদনা

দ্বিতীয় নেবুচাদনেজার ব্যাবিলনে ফিরে আসার পরে আদনান মারা যান। আদনানের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র মা'দ মধ্য-পশ্চিম অঞ্চল হিজাজ এ আসেন। [১১][১২][১৩][১৪]

আদনান থেকে মুহাম্মদের বংশোদ্ভূত

সম্পাদনা

ইসলামী মতানুসারে, নবী মুহাম্মাদ আদনান বংশ থেকে আগত। অনেক সুত্রের মাধ্যমে এও জানা গেছে যে আদনান মুহাম্মদের আগমনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন এবং তার উত্তরসূরীদের অনুসণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।[১৫] " জাজিরা শাসন করেছেন এমন ব্যক্তি এবং মুহাম্মদের পূর্বপুরুষ ছিলেন বলে বলা হয় তাদের তালিকা নিচে দেওয়া হল।"[১৬]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

আরো পড়ুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Charles Sanford Terry (১৯১১)। A Short History of Europe, From the fall of the Roman empire to the fall of the Eastern empire। Taylor & Francis। আইএসবিএন 978-1112467356। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  2. al Mughiri, Abd al-Rahman। The chosen record of the Ancestries of Arab tribes Volume 1। পৃষ্ঠা 58। 
  3. Al Azzawi, Abbas। Clans of Iraq Volume 1। পৃষ্ঠা 13। 
  4. Kathir, IbnAl-Bidaya wa'l-Nihaya (The Beginning and the End) Volume 2। পৃষ্ঠা 187।  অজানা প্যারামিটার |শিরোনাম-সংযোগ= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  5. Ahmad al-Qalqashandi। Fulfilling the need of Knowing the origins of Arabs Volume 1। পৃষ্ঠা 118। 
  6. Ali, Prof. Jawwad। The Detailed History of Arabs before Islam Volume 1। পৃষ্ঠা 393। 
  7. Ali, Prof. Jawwad। The Detailed History of Arabs before Islam Volume 1। পৃষ্ঠা 372। 
  8. Mission des PP. Jaussen et Savignac en Arabie "Hedjaz" Vol. 38। ১৯১০। পৃষ্ঠা 328। 
  9. G. Strenziak (১৯৫৩)। Die Genealogle der Nordaraber nach Ibn Al-Kalbi Vol. 1। পৃষ্ঠা 210। 
  10. Ali, Prof. Jawwad। The Detailed History of Arabs before Islam Volume 1। পৃষ্ঠা 380। 
  11. Ali, Prof. Jawwad। The Detailed History of Arabs before Islam Volume 5। পৃষ্ঠা 160–161। 
  12. Muhammad ibn Jarir al-Tabari। The History of Nations and Kings Volume 1। পৃষ্ঠা 327। 
  13. Abu'l-Faraj ibn al-Jawzi। The Organized History of Nations Volume 1। পৃষ্ঠা 408। 
  14. Yaqut Al-Hamawi। The Dictionary of Countries Volume 3। পৃষ্ঠা 377–380।  অজানা প্যারামিটার |শিরোনাম-সংযোগ= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  15. Shahin, Badr (২০০১)। Al Abbas। Ansariyan Publications। আইএসবিএন 978-1519308115 
  16. Hughes, Thomas Patrick (১৯৯৫)। A Dictionary of Islam: Being a Cyclopaedia of the Doctrines, Rites, Ceremonies, and Customs, Together With the Technical and Theological Terms, of the Muhammadan Religion। Asian Educational Services। পৃষ্ঠা 19। আইএসবিএন 978-81-206-0672-2। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-২৪