আজমল খান লাহোরী

পাকিস্তানি খতিব ও রাজনীতিবিদ

আজমল খান লাহোরী (১৯৩০ – ২১ মে ২০০২) বিংশ শতাব্দীর পাকিস্তানের একজন ইসলামি পণ্ডিত, বাগ্মী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের পৃষ্ঠপোষক এবং গুজ্জর সিংয়ে জামিয়া রহমানিয়ার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি তার সময়ের একজন খতিব হিসেবে বিবেচিত হন এবং এই কারণে তিনি খতিবে ইসলাম (ইসলাম প্রচারক) উপাধি পেয়েছিলেন।[১]

খতিবে ইসলাম

আজমল খান লাহোরী
اجمل خان لاہوری
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১৯৩০ (1930)
কালিঞ্জার, হরিপুর জেলা
মৃত্যু২১ মে ২০০২(2002-05-21) (বয়স ৭১–৭২)
সমাধিস্থলকালিঞ্জার, হরিপুর জেলা
ধর্মইসলাম
আখ্যাসুন্নি
শিক্ষালয়হানাফি
আন্দোলনদেওবন্দি
রাজনৈতিক দলজমিয়ত উলামায়ে ইসলাম
পেশাখতিব ও রাজনীতিবিদ
এর প্রতিষ্ঠাতাজামিয়া রাহমানিয়া
মুসলিম নেতা
পেশাখতিব ও রাজনীতিবিদ

জন্ম সম্পাদনা

আজমল খান ১৯৩০ সালে খাইবার পাখতুনখোয়ার হরিপুর জেলার শহরতলির গ্রাম কালিঞ্জারে জন্মগ্রহণ করেন।

শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি জামিয়া ইসলামিয়া রাহমানিয়া হরিপুর, হাজরায় হাদিস অধ্যয়ন করেন। জামিয়া রাহমানিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক খলিলুর রহমানের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ তার ব্যক্তিত্ব গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল।

কর্মজীবন সম্পাদনা

দারসে নিজামি থেকে স্নাতক হওয়ার পর, তিনি একই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হন।[১]

তিনি প্রথম থেকেই জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং মুফতি মাহমুদের সরাসরি অনুসারী হিসেবে বিবেচিত হন। আজমল খান সারাজীবন জমিয়তে উলেমায়ে ইসলামে ছিলেন এবং বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি মৃত্যুর সময় জমিয়তে উলেমায়ে ইসলামের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।[২][৩][৪]

উপাধি সম্পাদনা

আজমল খান তার আহমদ আলী লাহোরীর সান্নিধ্যে লাহোরে বক্তৃতা দেন। তিনি তার সময়ের অন্যতম সেরা প্রচারক হিসেবে বিবেচিত হন এবং তার উপাধি খতিবে ইসলাম ( ইসলামের প্রচারক) হিসাবে স্মরণ করা হয়। "খতিবে ইসলাম" শিরোনামটি সর্বপ্রথম সাবিত বিন কায়েস আনসারির জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল যিনি মুহাম্মদের প্রতিনিধি হিসাবে বিভিন্ন সভায় যোগ দিতেন। মুহাম্মদ আজমল খান যখন পাকিস্তানে এই উপাধি দিয়ে সর্বাধিক বিখ্যাত ছিলেন তখন থেকে প্রত্যেক যুগে অনেক প্রচারককে এই উপাধি দিয়ে স্মরণ করা হয়েছে।[২][৫]

মৃত্যু সম্পাদনা

আজমল খান ২১ মে ২০০২ মঙ্গলবার মারা যান। লাহোরে জানাজা শেষে তার মরদেহ তার নিজ গ্রাম কালিঞ্জারে আনা হয়। তাকে হরিপুর জেলার কালিঞ্জরে দাফন করা হয়।[৬][১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "خطیب ِاسلام حضر ت مولانا اجمل خان لاہوری رحمۃ اللہ علیہ" 
  2. "حضرت مولانا محمد اجمل خانؒ | ابوعمار زاہد الراشدی"zahidrashdi.org 
  3. "مولانا محمد اجمل خانؒ اور ملکی تحریکیں"Daily Pakistan। ২২ মে ২০১৫। 
  4. "عقیدہ ختمِ نبوت کا تحفظ اور خطیبِ اسلام مولانا محمد اجمل خانؒ کا کردار"jang.com.pk 
  5. "مولانا محمد اجمل خان"Nawaiwaqt। ১৯ মে ২০১৭। 
  6. "Maulana Ajmal passes away"Dawn। Pakistan। ২২ মে ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩