আহমদ আলি লাহোরি

পাকিস্তানি সুফি

আহমদ আলি লাহোরি (১৮৮৭ – ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬২) (উর্দু: مولانا احمد علی لاہوری‎‎) (সংক্ষিপ্ত নাম:আহমদ আলি) ছিলেন মুসলিম স্কলার, দক্ষিণ এশিয়ার মুফাসসির (উর্দু কুরআন ব্যাখ্যাকার)। তিনি দেওবন্দি আন্দোলনের ইতিহাসে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন।[২][৩]

আহমদ আলি লাহোরি
জন্ম১৮৮৭[১][২]
মৃত্যু২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬২(1962-02-23) (বয়স ৭৪–৭৫)[১][২]
লাহোর, পাকিস্তান[২]
পেশাআলিম, 'মুফাসসির' (কুরআনের ব্যাখ্যাকার)

প্রাথমিক জীবন এবং ক্যারিয়ার সম্পাদনা

আহমদ আলি লাহোরি দেওবন্দি আলেম উবাইদুল্লাহ সিন্ধির ছাত্র ছিলেন।[৪] তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে পড়াশোনা করেন। এবং সেখান থেকে ১৯২৭ সালে স্নাতক করেন।[২] আহমদ আলি লাহোরি তার শিক্ষকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই অধ্যাপনা শুরু করেন এবং শিক্ষকের মেয়েকেই বিবাহ করেন। তিনি তাকে নতুন দল খুলতেও সাহায্য করেন।[২] যাইহোক, উবাইদুল্লাহ সিন্ধি ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের আগেই ১৯৪৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাই, পাকিস্তান আন্দোলন এবং মুহাম্মদ আলি জিন্নাহকে সমর্থন করে মাওলানা শাব্বির আহমেদ উসমানি মাওলানা আহমদ আলি লাহোরিসহ দেওবন্দি আলেমদের একটি দলের নেতৃত্ব দেন। অতঃপর, ১৯৪৭ সালে দলটির সকলে নতুন তৈরি হওয়া পাকিস্তানে এসে এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।[৪]

"যদিও দেওবন্দের শিক্ষক এবং ছাত্রদের বিশাল একটি অংশ পাকিস্তান আন্দোলন অথবা তার বিরোধিতা করা থেকে নিরব ছিলেন। তদুপরি, সেখানকার একটি অংশ একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য সক্রিয়ভাবে একজন জ্ঞানী আলিমের নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্যভাবে কায়েদ-ই-আজমকে সমর্থন করে গিয়েছিলেন।"[৫]

মাওলানা শাব্বির আহমেদ উসমানি এবং তার দল পাকিস্তান আন্দোলনের জনসাধারণের মধ্যে মিশে গিয়েছিলেন।[৫]

মৃত্যু এবং উত্তরসূরি সম্পাদনা

আহমদ আলি লাহোরি ১৯৬২ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে লাহোরেই দাফন করা হয়। তার মৃত্যুর পর তার সন্তান মাওলানা উবাইদুল্লাহ আনওয়ার তার ঐতিহ্যবাহী ইসলামি শিক্ষাপীঠের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।[২]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

উদ্ধৃতি সম্পাদনা

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা