সিঙ্গাপুর

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র
(Singapore থেকে পুনর্নির্দেশিত)

সিঙ্গাপুর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটি মালয় উপদ্বীপের নিকটে অবস্থিত। এর সরকারি নাম সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্র (মালয়: Republik Singapura রেপুব্লিক্‌ সিঙ্গাপুরা; {{lang-en|Republic of Singapore}

সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্র Republic of Singapore

Republik Singapura  (মালয়)
新加坡共和国 (চীনা)
சிங்கப்பூர் குடியரசு (তামিল)
সিঙ্গাপুরের জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
নীতিবাক্য: 
"Majulah Singapura" (মালয়)
(বাংলা: "সিঙ্গাপুর এগিয়ে চলো")
জাতীয় সঙ্গীত: মাজুলাহ সিংগাপুরা
(বাংলা: "সিঙ্গাপুর এগিয়ে চলো")
 সিঙ্গাপুর-এর অবস্থান (লাল)
 সিঙ্গাপুর-এর অবস্থান (লাল)
রাজধানীসিঙ্গাপুর (নগররাষ্ট্র)
১°১৭′ উত্তর ১০৩°৫০′ পূর্ব / ১.২৮৩° উত্তর ১০৩.৮৩৩° পূর্ব / 1.283; 103.833
বৃহত্তম পরিকল্পনা অঞ্চলবিডক (bedok)[১]
১°১৯′২৪.৯৭″ উত্তর ১০৩°৫৫′৩৮.৪৩″ পূর্ব / ১.৩২৩৬০২৮° উত্তর ১০৩.৯২৭৩৪১৭° পূর্ব / 1.3236028; 103.9273417
সরকারি ভাষা
সরকারী লিপিসমূহ
নৃগোষ্ঠী
ধর্ম
জাতীয়তাসূচক বিশেষণসিঙ্গাপুরি. সিঙ্গাপুরিয়ান
সরকারএকক একদলীয় আধিপত্যমূলক সংসদীয় প্রজাতন্ত্র
হালিমা ইয়াকুব
লি সিয়েন লুং
আইন-সভাসংসদ
আয়তন
• মোট
৭১৯.৯ কিমি (২৭৮.০ মা)[৩] (১৭৬তম)
জনসংখ্যা
• ২০১৬[৩] আনুমানিক
৫৬,০৭,৩০০ (১১৩তম)
• ঘনত্ব
৭,৭৯৭ /কিমি (২০,১৯৪.১ /বর্গমাইল) (৩য়)
জিডিপি (পিপিপি)২০১৮[৪] আনুমানিক
• মোট
$৫৩৭.৪৪৭ শত কোটি (৩৯তম(2017))
• মাথাপিছু
$৯৩,৬৭৮ (৩য়(২০১৭))
জিডিপি (মনোনীত)২০১৮[৪] আনুমানিক
• মোট
$৩১৬.৮৭২ শত কোটি (৪১তম(২০১৭))
• মাথাপিছু
$৫৫,২৩১ (১০ম(২০১৭))
জিনি (২০১৪)৪৬.৪[৫]
উচ্চ · ৩০তম
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৫)০.৯২৫[৬]
অতি উচ্চ · ৫ম
মুদ্রাসিঙ্গাপুর ডলার (SGD)
সময় অঞ্চলইউটিসি+৮ (SST)
তারিখ বিন্যাসদিদি-মামা-বববব
গাড়ী চালনার দিকবাম
কলিং কোড+৬৫
আইএসও ৩১৬৬ কোডSG
ইন্টারনেট টিএলডি

নামকরণসম্পাদনা

"সিঙ্গাপুর" নামটি আসে মালয় ভাষার Singapura সিঙ্গাপুরা থেকে। সিঙ্গাপুরা শব্দটি আসে সংস্কৃত ভাষা सिंहपुर সিঁহাপুরা থেকে, যার বাংলা অনুবাদ সিংহপুর ।

রাজনীতিসম্পাদনা

একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্রের কাঠামোয় সঙ্ঘটিত হয়। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারের প্রধান। দেশটিতে মূলত একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাব বেশি। দেশের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার ও আইনসভার দায়িত্বে পড়ে। বিচার বিভাগ নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন বিভাগ থেকে স্বাধীন। আইনসভার সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান হলেও তার ভূমিকা মূলত আলংকারিক। তবে ইদানীং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার পরিসর কিছু বাড়ানো হয়েছে।

১৯৫৯ সালের নির্বাচন থেকে সিঙ্গাপুরের রাজনীতিকে পিপল্‌স অ্যাকশন পার্টি নামের রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে। একাধিক বিরোধী দল উপস্থিত থাকলেও ক্ষমতায় তাদের প্রতিনিধিত্ব নেই বললেই চলে। তাই অনেক বিদেশী পর্যবেক্ষক সিঙ্গাপুরকে কার্যত একটি এক-দলীয় শাসনব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করে থাকেন। তবে সিঙ্গাপুরের সরকার সবসময়েই একটি স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত সরকার হিসেবে বহির্বিশ্বে পরিচিত। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতে সিঙ্গাপুর বহুদিন ধরেই এশিয়ার সবচেয়ে দুর্নীতিমুক্ত দেশ।

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহসম্পাদনা

ভূগোলসম্পাদনা

সিঙ্গাপুর একটি ক্ষুদ্র ও ব্যাপকভাবে নগরায়িত দ্বীপরাষ্ট্র। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে মালয় উপদ্বীপের দক্ষিণতম প্রান্তে, মালয়েশিয়াইন্দোনেশিয়ার মাঝখানে অবস্থিত। সিঙ্গাপুরের স্থলভূমির মোট আয়তন ৬৯৯ বর্গকিলোমিটার। এর তটরেখার দৈর্ঘ্য ১৯৩ কিলোমিটার। এটি মালয়েশিয়া থেকে জোহর প্রণালী এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর প্রণালী দ্বারা বিচ্ছিন্ন।

সিঙ্গাপুরের মূল ভূখণ্ডটি একটি হীরকাকৃতি দ্বীপ, তবে এর প্রশাসনিক সীমানার ভেতরে আরও বেশ কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ অবস্থিত। এদের মধ্যে পেদ্রা ব্রাংকা নামের দ্বীপটি সিঙ্গাপুর থেকে সবচেয়ে বেশি দূরত্বে অবস্থিত। সিঙ্গাপুরের সীমানার অন্তর্গত কয়েক ডজন ক্ষুদ্রাকার দ্বীপের মধ্যে জুরং দ্বীপ, পুলাউ তেকোং, পুলাউ উবিন ও সেন্তোসা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বড়।

সিঙ্গাপুর দ্বীপের বেশিরভাগ এলাকা সমুদ্র সমতল থেকে ১৫ মিটারের চেয়ে বেশি উঁচুতে অবস্থিত নয়। সিঙ্গাপুরের সর্বোচ্চ বিন্দুটির নাম বুকিত তিমাহ; এটি সমুদ্র সমতল থেকে ১৬৪ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত গ্র্যানাইট পাথরে নির্মিত একটি শিলা। সিঙ্গাপুরের উত্তর-পশ্চিমে আছে পাললিক শিলা দ্বারা নির্মিত ছোট ছোট টিলা ও উপত্যকা, অন্যদিকে পূর্বভাগ মূলত বালুময় সমতল ভূমি দিয়ে গঠিত। সিঙ্গাপুরে কোন প্রাকৃতিক হ্রদ নেই, তবে সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য কৃত্রিম জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে।

সিঙ্গাপুর প্রশাসন সমুদ্রতলের মাটি, পর্বত ও অন্যান্য দেশ থেকে মাটি সংগ্রহ করে দেশটির স্থলভাগের আয়তন বৃদ্ধি করে চলেছেন। ১৯৬০-এর দশকে দেশটির আয়তন ছিল প্রায় ৫৮২ বর্গকিলোমিটার, বর্তমান এটি ৬৯৯ বর্গকিলোমিটার এবং ২০৩৩ সাল নাগাদ এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে আরও ১০০ বর্গকিলোমিটার

জলবায়ুসম্পাদনা

সিঙ্গাপুর বিষুবরেখার মাত্র ১ ডিগ্রী উত্তরে অবস্থিত বলে এখানকার জলবায়ু নিরক্ষীয় প্রকৃতির।

জনসংখ্যাসম্পাদনা

সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ মিলিয়ন।

সংস্কৃতিসম্পাদনা

সিঙ্গাপুরের সংস্কৃতি পশ্চিমা ঘরানার হলেও এখানে গোঁড়া হিন্দুবাদ, গোঁড়া খ্রিষ্টানবাদ, গোঁড়া ইসলামবাদ (মালয় সংস্কৃতি) এবং গোঁড়া বৌদ্ধবাদ (চাইনিজ সংস্কৃতি) আছে।

ভাষাসম্পাদনা

সিঙ্গাপুরের ৪টি দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে। এগুলি হল: ইংরেজি, মালয়, চীনা মান্দারিন এবং তামিল। সাধারণ ভাষা হিসেবে এখানে ইংরেজিই প্রচলিত। এছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও সরকারি কর্মকান্ডে প্রধানত ইংরেজিই ব্যবহৃত হয়। সিঙ্গাপুরের প্রায় ৮০% লোক ইংরেজিতে, ৬৫% লোক মান্দারিন, ১৭% লোক মালয় এবং ৪% লোক তামিল ভাষায় কথা বলে থাকে। মালয় ভাষী প্রতিবেশী রাষ্ট্র মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার সাথে বৈপরীত্যতা এড়াতে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৬০ সালে সিঙ্গাপুর সরকার মালয়কে জাতীয় ভাষা হিসেবে গ্রহণ করে। সিঙ্গাপুরের জাতীয় সঙ্গীতও মালয় ভাষাতে রচিত।

শিক্ষাসম্পাদনা

 
সিঙ্গাপুরে কানাডিয়ান আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়

সিঙ্গাপুরের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রধানত রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত। একই সাথে বেসরকারি উদ্যোগ এবং অবস্থানও সেখানে স্বীকৃত। তবে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার পূর্বে অবশ্যই শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত হতে হয়। এখানে শিক্ষা ব্যবস্থা ইংরেজি মাধ্যম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান, পরীক্ষাগ্রহণ সবকিছুই ইংরেজিতে পরিচালিত হয়।

সিঙ্গাপুরে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় - এ তিনটি স্তরে সিঙ্গাপুরের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। সিঙ্গাপুরে ৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যার মধ্যে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর এবং নানইয়াং ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বিশ্বের সেরা ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম। মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিশ্বব্যাপী সিঙ্গাপুরের সুনাম রয়েছে।

বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক এ এই দেশ বিশ্বে ৮ম স্থানে রয়েছে। এশীয় অঞ্চলে যা সর্বোচ্চ।

পর্যটনসম্পাদনা

 
সিঙ্গাপুর শহর

পর্যটন সিঙ্গাপুরের অন্যতম প্রধান শিল্প এবং দেশটির অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখে। প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন পর্যটক সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করে।

নাইট সাফারীসম্পাদনা

সিঙ্গাপুর চিড়িয়াখানা, পৃথিবীর প্রথম ও একমাত্র নাইট সাফারী[৭]। নাইট সাফারীতে গভীর রাতে জঙ্গলের ভিতরের নানান পশুপাখিদের মাঝ দিয়ে ট্রামে করে পর্যটকরা বিচরণ করেন। বাঘ, হরিন, ভালুক, হাতি, উট, কুমির এ সাফারীর প্রাণিদের মধ্যে অন্যতম। এ সাফারীতে পশুপাখিরা উন্মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায়।

মারলাওন পার্কসম্পাদনা

মারলিন বা সিংহ-মৎস হচ্ছে সিঙ্গাপুরীদের গর্বের প্রতীক, বীরত্বের প্রতীক। কথিত আছে বহু পুর্বে সিঙ্গাপুর যখন তেমাসেক বা সমূদ্রনগরী নামে পরিচিত ছিলো তখন প্রচন্ড এক সামূদ্রিক ঝড় ওঠে দ্বীপে। অধিবাসীরা যখন নিজেদের স্বপে দেয় ঈশ্বরের হাতে ঠিক তখনই সমুদ্র থেকে সিংহ-মৎস আকৃতির এক জন্তু এসে ঝড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাচিয়ে দেয় অধিবাসীদের। আর সে থেকে মারলিন নামের সিংহ-মৎস সিঙ্গাপুরীদের গর্ব আর বীরত্বের প্রতীক। মারলিনের মূর্তি ম্যারিনা বে-এর মারলাওন পার্কে অবস্থিত।

 
সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে সেন্ডসের টেরেস

সেন্টোসা আইল্যান্ডসম্পাদনা

সমুদ্রের মাঝে ছোট এক দ্বীপে গড়ে তোলা বিনোদন কেন্দ্র।

বার্ড পার্ক

বার্ড পার্ক সিঙ্গাপুরের অন্যতম একটি আকর্ষণ। এখানে বিভিন্ন রকমের প্রচুর পাখি যেমন রয়েছে তেমনি প্রশিক্ষিত পাখিদের দ্বারা নানারকমের ক্রীড়া-নৈপুণ্য প্রদর্শন করা হয়। শকুন, সারস, পেলিকন, টিয়া-সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এখানে থাকে।

অর্থনীতিসম্পাদনা

 
কেন্দ্রীয় ব্যবসা জেলার প্যানোরামিক দৃশ্য

১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা লাভের পূর্বে সিঙ্গাপুর ব্রিটিশদের অধীনে একটি 'ক্রাউন কলোনি' ছিল।[৮] এই দ্বীপটি পূর্ব এশিয়াতে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি ছিল। ব্রিটিশ নৌবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি থাকার কারণে সিঙ্গাপুরকে তখন ' জিবরালটার অব দা ইস্ট ' বলা হত।[৯] ১৮৬৯ সালে সুয়েজ ক্যানাল খোলার পর ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যে সমুদ্র বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়, ঠিক তখনই সিঙ্গাপুরকে বিশ্বের প্রধান সমুদ্র বন্দর হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়।[১০]

১৯৬৫ সালে অর্থাৎ স্বাধীনতা লাভের বছরে এই দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫১৬ মার্কিন ডলার। এই ৫১৬ ইউ.এস. ডলার ছিল তখন পূর্ব এশিয়ার মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ। স্বাধীনতার পরে ইউরোপ থেকে বিনিয়োগ আসার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি ধীরে ধীরে শক্তিশালী হওয়া শুরু করে। আশির দশকের মাঝখান দিকে এই দেশটি উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করে। জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে সিঙ্গাপুরের অবস্থান বিশ্বে নবম। সিঙ্গাপুর আসিয়ানের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের মধ্যে অন্যতম। [১১][১২][১৩][১৪]

আয়তনে এটি কোনো নগরাঞ্চলের সমান হলেও এর জিডিপি ভারতের দিল্লি, মুম্বাই ও ব্যাঙ্গালুরুর সমষ্টিগত জিডিপির সমতুল্য। চীন, মালয়েশিয়া ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন দেশটির প্রধান বাণিজ্য সহযোগী দেশ।

জনসংখ্যাতাত্ত্বিকসম্পাদনা

মালয় ভাষা, চীনা ভাষার বিভিন্ন উপভাষা, ইংরেজি ভাষা এবং তামিল [১৫] যৌথভাবে সিঙ্গাপুরের সরকারি ভাষা। এছাড়াও এখানে আরও প্রায় ২০টি ভাষা প্রচলিত। এদের মধ্যে জাপানি ভাষা, কোরীয় ভাষা, মালয়ালম ভাষা, পাঞ্জাবি ভাষা এবং থাই ভাষা উল্লেখযোগ্য। ইংরেজি ভাষা সার্বজনীন ভাষা বা লিঙ্গুয়া ফ্রাংকা হিসেবে ভূমিকা পালন করে। আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডেও ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়।

ধর্মবিশ্বাসসম্পাদনা

সিঙ্গাপুরের ধর্মবিশ্বাস, ২০১৫[২]
ধর্ম শতাংশ
বৌদ্ধ
  
৩৩.২%
খ্রিস্টান
  
১৮.৮%
ধর্মহীন
  
১৮.৫%
ইসলাম
  
১৪.০%
তাও ধর্ম এবং অন্যান্য লোকজ চীনা ধর্ম
  
১০.০%
হিন্দু
  
৫.০%
অন্যান্য
  
০.৬%



আরও দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "Singapore Residents by Planning Area/Subzone, Age Group and Sex, June 2000 – 2015"। Statistics Singapore। ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (XLS) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৬ 
  2. Statistics Singapore:
  3. "Population & Land Area (Mid-Year Estimates)"। Statistics Singapore। জুন ২০১৪। ২৯ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  4. "Singapore"আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল 
  5. "Distribution of family income – Gini Index"। CIA। ২০১৫। ২৯ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  6. "2016 Human Development Report" (পিডিএফ)। United Nations Development Programme। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৭ 
  7. সিঙ্গাপুর ডট কম
  8. Bureau of Economic and Business Affairs (জুন ২০১২)। "2012 Investment Climate Statement – Singapore"। United States Department of State। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৪ 
  9. "The familiar pattern of Chinese consumption growth"। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৫ 
  10. (পিডিএফ) http://www.mti.gov.sg/ResearchRoom/SiteAssets/Pages/Economic-Survey-of-Singapore-2012/FullReport_AES2012.pdf  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  11. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; tem1 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  12. Statistical Report, March 2014 (প্রতিবেদন)। Singapore Exchange। 
  13. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৯ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫ 
  14. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২১ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫ 
  15. http://eresources.nlb.gov.sg/infopedia/articles/SIP_2013-08-12_114422.html

https://web.archive.org/web/20150703181537/http://singapore-dine.sg/ Singapore food guide

বহিঃসংযোগসম্পাদনা