জিওফ মিলম্যান
জিওফ্রে মিলম্যান (ইংরেজি: Geoff Millman; জন্ম: ২ অক্টোবর, ১৯৩৪ - মৃত্যু: ৬ এপ্রিল, ২০০৫) বেডফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জিওফ্রে মিলম্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বেডফোর্ড, ইংল্যান্ড | ২ অক্টোবর ১৯৩৪||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৬ এপ্রিল ২০০৫ বেডফোর্ড, ইংল্যান্ড | (বয়স ৭০)||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফব্রেক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪০৯) | ৩০ ডিসেম্বর ১৯৬১ বনাম ভারত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২১ জুন ১৯৬২ বনাম পাকিস্তান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৪ - ১৯৫৬ | বেডফোর্ডশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৭ - ১৯৬৫ | নটিংহ্যামশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৬ - ১৯৬৮ | বেডফোর্ডশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ নভেম্বর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন জিওফ মিলম্যান।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনাবেডফোর্ডশায়ারের বেডফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জিওফ মিলম্যান বেডফোর্ড মডার্ন স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন।[২] তিনি চমৎকার উইকেট-রক্ষক ছিলেন। মাইনর কাউন্টিজ ক্রিকেটে বেডফোর্ডশায়ারের পক্ষে খেলেছেন।
১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত জিওফ মিলম্যানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৫৭ সাল থেকে নটিংহ্যামশায়ারের নিয়মিত উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতে থাকেন। দলটির পক্ষে নয় মৌসুম খেলেছিলেন তিনি। দূর্বলতর দলটি নয়বছরে শেষের তিনটি স্থানে থাকে ও একবার সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল। তবে, মিলম্যান উইকেট-রক্ষণে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছিলেন। ঐ সময়ে বোলিং আক্রমণ দূর্বলতম হলেও তিনি কাউন্টি রেকর্ড গড়েছিলেন। ১৯৬১ সালে ৮৫টি ডিসমিসাল ঘটান। ঐ সময়ে নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে এক মৌসুমে সর্বাধিকসংখ্যক ছিল।[৩] কার্যকরী ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই মৌসুমে সহস্রাধিক রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।[১]
অধিনায়কত্ব লাভ
সম্পাদনানিয়মিতভাবে কাউন্টি দলটিতে স্থানের অদলবদল ঘটায় তাকে বিভিন্ন অবস্থানে ব্যাটিংয়ে নামানো হতো। প্রায়শঃই ইনিংস উদ্বোধনে নামতেন তিনি। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত কাউন্টি দলের অধিনায়কের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। প্রথম বছরেই নবনিযুক্ত ব্রায়ান বোলাসের সহায়তায় নটিংহ্যামশায়ার নবম স্থানে চলে আসে। এ সাফল্যটি পূর্বেকার সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।
তবে, দুই বছর পর দলটি পয়েন্ট তালিকার নিচেরদিকে চলে যায় ও তিনি অধিনায়কত্ব থেকে চলে আসেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদেয় জানিয়ে বেডফোর্ডশায়ারে ফিরে যান ও ব্যবসায়ের দিকে মনোনিবেশ ঘটান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছয়টিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জিওফ মিলম্যান। ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৬১ তারিখে কলকাতায় স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২১ জানুয়ারি, ১৯৬২ তারিখে লর্ডসে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
জিওফ মিলম্যানের টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ছিল। ১৯৬১-৬২ মৌসুমে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) ভারসাম্যবিহীন দল গঠনপূর্বক চার মাসের সফরে ভারত, পাকিস্তান ও তৎকালীন সিলনে প্রেরণ করে। দলটি বোলিং বিভাগের তুলনায় ব্যাটিংয়ের দিকেই অধিক ঝুঁকে পড়ে। নিয়মিত উইকেট-রক্ষক জন মারের সহকারী হিসেবে দ্বিতীয় উইকেট-রক্ষক হিসেবে জিওফ মিলম্যানকে দলে রাখে। ভারতের বিপক্ষে প্রথম তিন টেস্টে জন মারে তেমন ভালোমানের ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপন করতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে, শেষ দুই টেস্টে তার স্থলাভিষিক্ত হন। উইজডেনে তার দক্ষতায় উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হয়।
অবসর
সম্পাদনাপাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে শেষে জন মারে চিকিৎসার্থে দেশে ফিরে গেলে সিরিজের শেষ দুই টেস্টে তিনি ভালো খেলেন। ১৯৬২ সালে নিজ দেশে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে প্রথম দুই টেস্টে ভালোমানের খেলা উপহার দিলেও সিরিজের বাদ-বাকী টেস্টে পুনরায় জন মারেকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর, ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে এমসিসি দলের সাথে মারে ও অ্যালেন স্মিথকে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমনার্থে রাখা হয়। জিওফ মিলম্যানকে আর দলে রাখা হয়নি। লর্ডসে নিজস্ব সর্বশেষ টেস্টে আঘাত নিয়েও খেলেছিলেন তিনি।
অবসর গ্রহণের পর বেডফোর্ডে পারিবারিক অলঙ্কার ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকেন। অতঃপর, নিজ শহরে ৬ এপ্রিল, ২০০৫ তারিখে ৭০ বছর বয়সে বেডফোর্ড এলাকায় জিওফ মিলম্যানের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Geoff Millman"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৪।
- ↑ The Harpur Trust 1552-1973 by Joyce Godber 1973
- ↑ "Most Victims in a Season for Nottinghamshire"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৪।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জিওফ মিলম্যান (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জিওফ মিলম্যান (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী অ্যান্ড্রু কোর্যান |
নটিংহ্যামশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৬৩ - ১৯৬৫ |
উত্তরসূরী নরম্যান হিল |